তৃতীয় দিনেও নরসিংদীতে পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির কর্মবিরতি
টানা তৃতীয় দিনেও সারাদেশের পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির প্রায় ৪০ হাজার কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কর্মবিরতি পালন করছেন নরসিংদী পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বিআরইবি) ও পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির (পবিস) মধ্যকার বৈষম্য দূরীকরণসহ অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়নের দাবিতে অনির্দিষ্টকালব্যাপী এ কর্মসূচি পালন করছেন তারা।
সরকার বা যথাযথ কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে তাদের দাবি-দাওয়ার ব্যাপারে কোনো সাড়া না পাওয়ায় কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন আন্দোলনরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
আন্দোলনরত নরসিংদী পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-২ এর কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা জানান, রোববার (৫ মে) সকাল ৯টা থেকে শুরু হওয়া এ কর্মসূচি মঙ্গলবারও (৭ মে) দেশের ৮০টি পবিসের সদর কার্যালয়ের সামনে প্রতীকী অবস্থান কর্মসূচি, মানববন্ধন করছেন তারা। এসময় জরুরি বিদ্যুৎ সরবরাহ ছাড়া সব ধরনের গ্রাহক সেবা ও অন্যান্য কার্যক্রম থেকে বিরত থাকবেন তারা।
তারা জানান, একই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করলেও পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ও পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সুযোগ-সুবিধা, চাকরির নিরাপত্তা ও নিশ্চয়তার রয়েছে বিস্তর ফারাক। পদ, পদবি, পদোন্নতি, বেতন গ্রেড, সাপ্তাহিক ছুটি, একই প্রতিষ্ঠানে একই পদে নিয়মিত এবং চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ, লোকবলের স্বল্পতাসহ সব ক্ষেত্রেই বৈষম্যের শিকার সমিতির কর্মকর্তা এবং কর্মচারীরা।
এসব বৈষম্যের বিষয়ে অনেকদিন ধরেই অভিযোগ জানানো হলেও কোনো প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না। বরং এসব ন্যায়-সঙ্গত অধিকারের কথা বললেই নানাভাবে হয়রানি করা হয়। এমনকী আন্দোলন শুরুর পরেও নানাভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও আন্দোলন বন্ধে নানামুখী চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন আন্দোলনরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কর্মকর্তা বলেন, বৈষম্যের অবসান না হলে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো।
সরকারের বিশেষায়িত এই প্রতিষ্ঠানটি দেশে শতভাগ বিদ্যুতায়ন এবং নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎসেবা পৌঁছে দিতে গ্রাহকদের প্রান্তিকপর্যায়ে সেবা দিয়ে থাকে।
এদিকে, জরুরি বিদ্যুৎ ছাড়া অন্যান্য গ্রাহকসেবা বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন পল্লী বিদ্যুতের প্রায় ৪ কোটি গ্রাহক। এভাবে চলতে থাকলে দেশজুড়ে লোডশেডিংয়ের শঙ্কাও তৈরি হয়েছে।