ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আসামির ছুরিকাঘাতে সহকারি উপপরিদর্শক (এএসআই) আমির হোসেন মারা যাওয়ার ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। এই মামলায় এজাহারভূক্ত দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১৭ জুলাই) রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় সহকারী উপ পরিদর্শক (এএসআই) মনি শংকর বাদি হয়ে ৫ জনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন। গ্রেফতার হওয়া আসামিরা হল উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের চানপুর এলাকার আবুল হোসেন ও ইসমাইল।
এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে এএসআই আমির হোসেনের মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। তার মরদেহ নিজ বাড়ি ময়মনসিংহের কতোয়ালী এলাকায় পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে বলে জানায় পুলিশ।
পুলিশ সূত্র জানায়, মাদক মামলার পরোয়ানাভূক্ত আসামি জেলা সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের চানপুর এলাকার মূসা মিয়ার ছেলে মামুনকে ধরতে অভিযান চালায় এএসআই মো. আমির হোসেন ও এএসআই মনি শংকর। এসময় আসামিরা পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। এতে দুই পুলিশ গুরুতর আহত হয়। পরে আহতদের উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে আনার পথে আমির হোসেন মারা যায়। এই ঘটনায় রাতেই আহত এএসআই মনি শংকর বাদি হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। পরে ভোরে সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এজাহারনামীয় আসামি আবুল হোসেন ও ইসমাইলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ সেলিশ উদ্দিন বার্তা২৪.কমকে বলেন, পরোয়ানাভূক্ত আসামি ধরতে যায় পুলিশ। এসময় তাদের উপর আসামিরা হামলা চালায়। এতে এএসআই আমির হোসেন মারা যায় ও মনি শংকর আহত হয়েছে। এই ঘটনায় রাতেই আহত এএসআই মনি শংকর বাদি হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এই ঘটনায় ভোররাতে দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতার করার জন্য পুলিশের অভিযান চলছে।
তিনি আরো জানান, নিহত এএসআই আমির হোসেনের লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। তার লাশ নিজ বাড়ি ময়মনসিংহের কতোয়ালী এলাকায় পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।