সাবেক সংসদ সদস্য, সাবেক হুইপ আশরাফ হোসেন আর নেই। শুক্রবার (১৭ জুলাই) রাত ৩টা ২০ মিনিটে রাজধানীর গুলশান-২ এ ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। গত ২০ দিন ধরে তিনি গুলশান-২ এর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
মরহুমের বড় ছেলে মঈন উদ্দিন আশরাফ জানান, শনিবার বাদ জোহর রাজধানীর নিকুঞ্জ-২ এর বড় মসজিদে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর আশরাফ হোসেনের অসিয়ত অনুযায়ী তাকে কুমিল্লার গ্রামে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে বাদ আসর দ্বিতীয় জানাজা শেষে তার বাবা মায়ের পাশে সমাহিত করা হবে।
খুলনা-৩ আসন থেকে চারবার নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য আশরাফ হোসেন দীর্ঘদিন রাজনীতি নিষ্ক্রিয় ছিলেন। তিনি এক সময় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ছিলেন। জোট সরকারের ক্ষমতার শেষ দিকে তিনি বিএনপিতে ‘পরিবারতন্ত্র’ এবং দলের চেয়ারপারসনের একক ক্ষমতার অবসান চেয়ে বিভিন্ন বিবৃতি প্রদান করেন। কঠোর ভাষায় তারেক রহমানেরও সমালোচনা করেন। ২০০৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর বিএনপি চেয়ারপারসন তাকে দল থেকে বহিষ্কার করেন। এরপর থেকে রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় তিনি। এক সময়ে খুলনা-যশোরের শিল্পাঞ্চলের শ্রমিক রাজনীতির মুকুটহীন সম্রাট ছিলেন আশরাফ হোসেন। নিউজপ্রিন্ট মিলের সিবিএ নেতা হিসেবে খুলনায় রাজনীতিতে অবস্থানকে সুদৃঢ় করেন। তিনিও মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর নেতৃত্বাধীন ন্যাপের খুলনা অঞ্চলের শীর্ষ নেতা ছিলেন। জন্মলগ্ন থেকেই বিএনপির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। বিএনপির টিকিটেই খুলনা-৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।