রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেদের বিরুদ্ধে রাজধানীর উত্তরা-পশ্চিম থানায় করা প্রতারণার মামলার তদন্ত করছে র্যাব। তবে জিজ্ঞাসাবাদ থাকাকালীন সাহেদকে সঙ্গে নিয়ে উত্তরায় অভিযান চালিয়ে গাড়ি অস্ত্র ও মাদক জব্দ করা হয়। সেই মামলার তদন্ত করবে ডিবি পুলিশ।
বুধবার (২২ জুলাই) ডিবি পুলিশের প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আব্দুল বাতেন বলেন এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘অভিযানে যে অবৈধ অস্ত্র পেয়েছি। এখন পর্যন্ত সাহেদের অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার সম্পর্কে কোনো তথ্য পাইনি আমরা। তবে একটা মানুষ বৈধ অস্ত্রের পাশাপাশি অবৈধ অস্ত্র কেন রাখে? প্রমাণ গোপন করতে সেখানে অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার করে থাকে। আমরা এই মামলাটির তদন্ত করছি। তদন্ত শেষে এ বিষয়ে জানা যাবে।’
ডিবির এই প্রধান কর্মকর্তা বলেন, ‘সাহেদের প্রতিষ্ঠান রিজেন্ট হাসপাতাল করোনা পরীক্ষা না করে রিপোর্ট প্রদান, পজিটিভকে নেগেটিভ দেখানো আবার নেগেটিভকে পজিটিভ দেখিয়ে টাকা আদায়ে বিভিন্ন যে প্রতারণার অভিযোগ ছিল। সেগুলোর তদন্ত আমরা গুছিয়ে এনেছি। তবে আরও কিছুটা সময় লাগবে। এসব মানুষদের আলাদা করে ডেকে কথা বলতে। একটু সময় সাপেক্ষ ব্যাপার।’
আব্দুল বাতেন বলেন, ‘আমরা শুরু থেকেই জানতাম এই মামলা র্যাবের কাছে যাবে। কেন না মামলার শুরু থেকে গ্রেফতার পর্যন্ত র্যাব করেছে। তবে কিছু প্রসেসিং রয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থেকে সেটি সম্পন্ন হবার পর তারা আজ থেকে মামলাটি তদন্ত কার্যক্রম শুরু করছে। তবে আমরা মনে করি খুব দ্রুত এ মামলার চার্জশিট প্রদান করতে পারবে।’
সাবরিনার বিষয়ে ডিবির এই কর্মকর্তা বলেন, ‘জেকেজিতে সাবরিনার চেয়ারম্যান পদবির সঙ্গে কোনো সংশ্লিষ্টতা আমরা পাইনি। তবে জেকেজির যে অর্গানোগ্রাম, তার প্রধান কর্মকর্তা হিসেবেই সাবরিনা ছিলেন।’