করোনা মুক্ত হয়েই নড়াইলে ছুটে বেড়াচ্ছেন মাশরাফি বিন মর্তুজা

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকেই মানুষের পাশে থেকে মানুষের সেবা করে আসছেন সদ্য সাবেক বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। আর মানুষের সেবা করতে গিয়ে তরুণ এই সংসদ সদস্য নিজেই করোনা পজিটিভ হিসেবে ধরা পড়েন। শুধু তাই না তার স্ত্রী ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও করোনা পজিটিভ আসে।

সদ্য করোনা পজিটিভ থেকে নেগেটিভ আসা মাত্রই আবার ছুটে গেছেন প্রিয় নড়াইলে সেখানে মানুষের মাঝে নিজের সর্বোচ্চটুক দিয়ে চেষ্টা করছেন নড়াইল এক্সপ্রেস খ্যাত ক্রিকেটার মাশরাফি।

বৃহস্পতিবার (৩০জুলাই)) সকাল থেকেই নড়াইলবাসীর কাছে আলোকবর্তিকার মতো নদী ভাঙনে দুঃখে থাকা মানুষের মনে আশার আলো জ্বালাতে হাজির জনতার এমপি মানবিক সংসদ মাশরাফি বিন মর্তুজা। দীর্ঘ ২৪ দিন করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার সময়কালে বিশ্রাম নেওয়ার কথা থাকলেও নড়াইলে এসে তিনি একবিন্দুও বসে নেই। সবসময় নড়াইলের মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। মল্লিকপুর ইউনিয়নে নদী ভাঙন হচ্ছে এমন খবর পেয়ে আজ হঠাৎ করেই সেইসকল স্থানে সশরীরে উপস্থিত তিনি। নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার মল্লিকপুর ইউনিয়নের মহিষাপাড়া ও করফা-আতশপাড়া এলাকার ভাঙন কবলিত এলাকায় গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে কথা বলেন নড়াইল এক্সপ্রেস।

এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই এলাকায় ভাঙন চলছে। গত কয়েক বছরে বহু বসতবাড়ি, ফসলি জমি, লোহাগড়া-ইতনা সংযোগ সড়কের নদী তীরবর্তী অংশ, মল্লিকপুর ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, প্রাথমিক বিদ্যালয়, মসজিদ, বাজার, দোকান-পাট নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। বর্ষাকালে মঙ্গলহাটা, করফা, মহিশাপাড়া গ্রামের মানুষের স্বপ্নগুলো ডুবিয়ে নেয় মধুমতির তীব্র স্রোত।

সংসদ সদস্য মাশরাফি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বাসিন্দাদের সাথে কথা বলেন। তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই তাঁর নির্বাচনী এলাকার নদী ভাঙন সমস্যা সমাধানে তিনি কাজ করছেন বলেও জানান। এমনকি মহিশাপাড়া ও করফা-আতশপাড়া পয়েন্টে দ্রুতগতিতে আপদকালীন কাজ ও স্থায়ী ভাঙন রোধে কাজ শুরু করার কথা জানান।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের তীব্র ভাঙন কবলিত জেলার তালিকায় খুলনা বিভাগে সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, খুলনা ও কুষ্টিয়ার নাম থাকলেও সবচেয়ে বেশি ভাঙন হলেও নড়াইল জেলার নাম ছিল না। সংসদ সদস্যের প্রচেষ্টায় গতবছর নড়াইল জেলার নাম ওই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। নদী ভাঙন রোধে এটি নড়াইলের মানুষের জন্য অনেক বড় প্রাপ্তি,যার ফলে ভাঙন রোধে নড়াইলে টেকসই কাজ হওয়া এখন শুরু হবে। এসময় মাশরাফি মহিশাপাড়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে তিনটি বৃক্ষরোপণ করেন।