পটুয়াখালীতে আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছে ৪৩ হাজার মানুষ
ঘূর্ণিঝড় রিমালপ্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমেলের তাণ্ডব চলছে পটুয়াখালীসহ দক্ষিণ উপকূলে। ফলে জেলার বিভিন্ন সাইক্লোন সেল্টারসহ বিভিন্ন সরকারি ভবনগুলোতে দুর্গত মানুষরা আশ্রয় নিতে শুরু করেছেন।
রোববার (২৬ মে) সন্ধ্যার পর থেকে টানা বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাসের কারণে স্থানীয়দের জনজীবন স্থবির হয়ে পড়লে মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে আসতে শুরু করে।
সকাল থেকে ১০ নম্বর মহা বিপদ সংকেত চললেও তা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে তেমন কোনো আগ্রহ দেখা যায়নি। তবে সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে বাড়তে শুরু করে পানির উচ্চতা আর বাতাসের গতিবেগ। এমন পরিস্থিতিতে নিম্নাঞ্চল ও নদী পাড়ের মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে শুরু করেছেন। আশ্রয়কেন্দ্রে অনেকে নিয়ে আসছেন গবাদি ও গৃহপালিত পশু-পাখিসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র।
কলাপাড়া ও রাঙ্গাবালী উপজেলার কিছু কিছু এলাকা থেকে দুর্গত মানুষদের জোরপূর্বক আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা সুমন চন্দ্র দেবনাথ বলেন, জেলার ৭০৩টি সাইক্লোন শেল্টার ও ৩৫টি মুজিবকেল্লায় এখন পর্যন্ত ৪৩ হাজার দুর্গত মানুষরা আশ্রয় নিয়েছে। প্রতিটি আশ্রয় কেন্দ্রে পর্যাপ্ত শুকনা খাবার ও সুপেয় পানির নিশ্চিত করা হয়েছে। এছাড়াও রাঙ্গাবালী উপজেলার যে সকল এলাকা পানিতে প্লাবিত হয়েছে, সে সকল এলাকার পানিবন্দি দুর্গত মানুষদের সাইক্লোন শেল্টারে আসতে বাধ্য করা হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড -এর নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে কথা হয়েছে, যাতে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ দ্রুত মেরামত করা হয়।