পটুয়াখালীতে আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছে ৪৩ হাজার মানুষ

  ঘূর্ণিঝড় রিমাল


ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, পটুয়াখালী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমেলের তাণ্ডব চলছে পটুয়াখালীসহ দক্ষিণ উপকূলে। ফলে জেলার বিভিন্ন সাইক্লোন সেল্টারসহ বিভিন্ন সরকারি ভবনগুলোতে দুর্গত মানুষরা আশ্রয় নিতে শুরু করেছেন।

রোববার (২৬ মে) সন্ধ্যার পর থেকে টানা বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাসের কারণে স্থানীয়দের জনজীবন স্থবির হয়ে পড়লে মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে আসতে শুরু করে।

সকাল থেকে ১০ নম্বর মহা বিপদ সংকেত চললেও তা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে তেমন কোনো আগ্রহ দেখা যায়নি। তবে সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে বাড়তে শুরু করে পানির উচ্চতা আর বাতাসের গতিবেগ। এমন পরিস্থিতিতে নিম্নাঞ্চল ও নদী পাড়ের মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে শুরু করেছেন। আশ্রয়কেন্দ্রে অনেকে নিয়ে আসছেন গবাদি ও গৃহপালিত পশু-পাখিসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র।

কলাপাড়া ও রাঙ্গাবালী উপজেলার কিছু কিছু এলাকা থেকে দুর্গত মানুষদের জোরপূর্বক আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা সুমন চন্দ্র দেবনাথ বলেন, জেলার ৭০৩টি সাইক্লোন শেল্টার ও ৩৫টি মুজিবকেল্লায় এখন পর্যন্ত ৪৩ হাজার দুর্গত মানুষরা আশ্রয় নিয়েছে। প্রতিটি আশ্রয় কেন্দ্রে পর্যাপ্ত শুকনা খাবার ও সুপেয় পানির নিশ্চিত করা হয়েছে। এছাড়াও রাঙ্গাবালী উপজেলার যে সকল এলাকা পানিতে প্লাবিত হয়েছে, সে সকল এলাকার পানিবন্দি দুর্গত মানুষদের সাইক্লোন শেল্টারে আসতে বাধ্য করা হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড -এর নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে কথা হয়েছে, যাতে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ দ্রুত মেরামত করা হয়।

   

কক্সবাজারে গোসলে নেমে তরুণ নিখোঁজ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
কক্সবাজারে গোসলে নেমে তরুণ নিখোঁজ

কক্সবাজারে গোসলে নেমে তরুণ নিখোঁজ

  • Font increase
  • Font Decrease

কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতে গোসল করতে নেমে এক কিশোর নিখোঁজ হয়েছে। নিখোঁজ কিশোরের নাম মোহাম্মদ তারেক (১৫)। ৭ ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও তাঁকে এখনো উদ্ধার করা যায়নি।

সোমবার (১৭ জুন) দুপুর দেড়টার দিকে কলাতলী পয়েন্টে বন্ধুদের সাথে গোসল করতে নেমেছিল তারেক। কিন্তু অন্যান্য বন্ধুরা ফিরে এলেও সে আর ফেরেনি। রাত আটটা পর্যন্ত তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।

পর্যটন সেলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ রানা জানান, “লাইফগার্ড ও বিচ কর্মীরা তারেককে খুঁজতে কাজ করে যাচ্ছেন। তার পরিবারকেও বিষয়টি অবগত করে হয়েছে।”

তারেকের বাড়ি কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার শাহ ফকির বাজার এলাকায়। সে মোহাম্মদ জয়নালের ছেলে। ঈদের ছুটিতে ৬ বন্ধু মিলে কক্সবাজার বেড়াতে এসেছিল।

তারেকের বন্ধুর বরাতে বিচকর্মীদের সুপারভাইজার মাহবুবুর রহমান বলেন, দুপুর একটার দিকে তারা গোসলে নামে। দেড়টার দিকে ৫ বন্ধু উঠে এলেও তারেক উঠেনি। এরপর থেকেই তাকে খোঁজা শুরু হয়।

ঈদের দিন হওয়ায় সৈকতে স্থানীয় ও পর্যটকের কিছুটা ভিড় থাকলেও ছিলেন না লাইফগার্ড কর্মীরা।

  ঘূর্ণিঝড় রিমাল

;

এবার আশা দেখাচ্ছে চামড়ার দাম, তবে নেই মৌসুমী ব্যবসায়ীরা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
পোস্তায় কাঁচা চামড়া আনছেন ব্যবসায়ীরা/ছবি: নূর এ আলম

পোস্তায় কাঁচা চামড়া আনছেন ব্যবসায়ীরা/ছবি: নূর এ আলম

  • Font increase
  • Font Decrease

কোরবানি ঈদকে কেন্দ্র করে দেশে গড়ে উঠেছে চামড়া বড় বাজার। কিন্তু সিন্ডিকেটের দৌরাত্ব্যে গত কয়েক বছর ধরে চামড়া নিয়ে কাঁদছেন শতশত মৌসুমী ব্যবসায়ী। ফলে চামড়া কেনা নিয়ে পুরোই সেই চেনা দৃশ্যের দেখা মেলেনি। স্থানীয় তরুণদের চামড়া কেনার তোড়জোড়ও চোখে পড়েনি।

তবে টানা কয়েক বছর ধরে চলা চামড়ার বাজারের আক্ষেপ এবার এসে কিছুটা আশার আলো দেখাচ্ছে।

সোমবার (১৭ জুন) ঈদের দিন বিকেলে রাজধানীর লালবাগের পোস্তায় দেখা গেছে, মৌসুমী ব্যবসায়ীরা চামড়া বিক্রি করতে এসে ফিরছেন হাসিমুখে। তাদের একজন মো. আমির হোসেন।


নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থেকে মৌসুমী ব্যবসায়ী মো. আমির হোসেন এক ট্রাক চামড়া নিয়ে এসেছেন পোস্তায়। এবার গরুর চামড়া বিক্রি করে হতাশা নিয়ে ফিরতে হয়নি।

চামড়ার দাম কেমন পাচ্ছেন জানতে চাইলে আমির বলেন, 'দাম ঠিক আছে। ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত দাম দিতাছে। সাইজ যেইটা ভালো, সেটা আর একটি বেশি দিতাছে।'

আমির হোসেন ছাড়াও বেশ কয়েকজন মৌসুমী ব্যবসায়ী গরুর চামড়া বিক্রি করে প্রত্যাশিত দাম পেতে দেখা গেছে।


এদিকে আড়ৎদারদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, এবার মৌসুমী ব্যবসায়ীদের সংখ্যা তুলনামূলক কম। ঢাকা ও এর আশপাশের বিভিন্ন এলাকার মাদ্রাসা থেকেই আসছে বেশির ভাগ চামড়া। পোস্তায় বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত চামড়াবাহী ট্রাকের বেশির ভাগই বিভিন্ন এলাকার মসজিদ মাদসাসার। হাতে গোনা কয়েকজন মৌসুমী ব্যবসায়ী এসেছেন।

চামড়ার আকার ও অবস্থা দেখে দাম নির্ধারণ করছেন আড়ৎদাররা। সেক্ষেত্রে ছোট আকার ও কাটাছেঁড়া চামড়া কেনা হচ্ছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায়। ৬০০ থেকে ৮০০ টাকায় কেনা হচ্ছে মাঝারি আকারের চামড়া। বড় আকারের চামড়া কিনতে আড়ৎদাররা ৯০০ থেকে হাজার টাকা পর্যন্ত গুণছেন।


আড়ৎদার ও বিক্রেতাদের মতে, এই দাম গত কয়েক বছরের তুলনায় বেশি।

প্রসঙ্গত, এবার সরকারিভাবেও চামড়ার দাম বাড়ানো হয়েছে। লবণযুক্ত প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। যা গত বছর ছিলো ৫০ থেকে ৫৫ টাকা।

  ঘূর্ণিঝড় রিমাল

;

৬ ঘণ্টায় শতভাগ কোরবানির বর্জ্য অপসারণ, দাবি আতিকের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কোরবানির বর্জ্য ছয় ঘণ্টায় অপসারণের ঘোষণা দিয়ে তা বাস্তবায়ন করেছেন বলে দাবি করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

সোমবার (১৭ জুন) সন্ধ্যায় বার্তা২৪.কমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন করপোরেশন জনসংযোগ কর্মকর্তা মকবুল হোসাইন।

তিনি জানান, ডিএনসিসির যে ৫ টি ওয়ার্ড রয়েছে তার সবগুলোতে শতভাগ কোরবানির বর্জ্য অপসারণ সম্ভব হয়েছে।

জনসংযোগ কর্মকর্তা মকবুল হোসাইন বলেন, সোমবার সকালে পশু কোরবানির পর দুপুর ২টায় বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম শুরু হয়ে রাত ৮টায় কার্যক্রম শেষ হয়। অর্থাৎ ৬ ঘণ্টায় বর্জ্য অপসারণের কার্যক্রম শেষ হয়েছে। বর্জ্য অপসারণে সিটি কর্পোরেশনের ১০ হাজার পরিচ্ছন্নতা কর্মী কাজ করেছেন। মেয়রের সরাসরি তত্ত্বাবধানে অপসারণের পুরো কাজ সম্পন্ন হয়।

এর আগে, দুপুরে বর্জ্য অপসারণের কাজ উদ্বোধন করে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, কোরবানির বর্জ্য অপসারণ ছয় ঘণ্টার মধ্যে সম্পন্ন হবে। বর্জ্য নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অপসারণের জন্য সিটি কর্পোরেশনের ১০ হাজার পরিষ্কারক পরিচ্ছন্নতা কর্মী কাজ করছে। এবং বর্জ্য নির্দিষ্ট জায়গায় সংরক্ষণের জন্য বাসা বাড়ি ১০ লাখ পলিথিন ব্যাগ দেওয়া হয়েছে।

মেয়র আতিক বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা আস্তে আস্তে নির্দিষ্ট জায়গায় কোরবানির ব্যবস্থা করছি। তার ধারাবাহিকতায় মিরপুর ৭ নাম্বার ওয়ার্ডে চারটি নির্দিষ্ট স্থানে ১২০০ টি গরু কোরবানি হয়েছে। ফলে বর্জ্য অপসারণ সহজ হচ্ছে আমাদের।

এদিকে উত্তর সিটি কর্পোরেশন ছয় ঘণ্টায় বর্জ্য অপসারণের ঘোষণা দিলেও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ২৪ ঘণ্টায় বর্জ্য অপসারণ করা হবে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী দক্ষিণ সিটির ৭২ ওয়ার্ডের মধ্য প্রায় ৪০ টি ওয়ার্ডের বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে।

  ঘূর্ণিঝড় রিমাল

;

মানিকগঞ্জে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় স্কুলছাত্র নিহত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মানিকগঞ্জ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার ধুল্লা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে চালক রিজভী রহমান (১৫) নিহত হয়েছেন। নিহত রিজভী আকিজ স্কুল অ্যান্ড কলেজের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র ছিলো।

সোমবার (১৭ জুন) দুপুরে মানিকগঞ্জ কর্ণেল মালেক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান রিজভী। সাটুরিয়া উপজেলার জান্না এলাকার মো. আবু দাউদের একমাত্র সন্তান ছিলেন রিজভী।

নিহত রিজভীর চাচা আব্দুল আহাদ জানান, দুপুরে স্থানীয়দের দেওয়া খবরের উপর ভিত্তি করে রিজভীর দুর্ঘটনার সংবাদ পেয়ে সাটুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ যাওয়া হয়। রিজভীর অবস্থা গুরুতর হলে সেখানকার চিকিৎসক কর্লেন মালেক মেডিকেল কলেজে রেফার্ড করেন রিজভীকে।

পরে তাকে কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। রিজভীর বাবা আকিজ গ্রুপে চাকরি করেন। দুর্ঘটনার বিষয়ে তারা কোনো কিছু জানেন না বলে জানান আব্দুল আহাদ।

সাটুরিয়া থানার উপ-পরিদর্শক মোস্তফা হোসেন বলেন, উপজেলার ধুল্লা বাসস্ট্যান্ডে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে রিজভী গুরুতর আহত হয় বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। রিজভী নিহতের ঘটনায় পরিবার থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় আর কোন খোঁজ নেওয়া হয়নি বলে জানান তিনি।

  ঘূর্ণিঝড় রিমাল

;