দুঃখ, ঢাবির থেকে পড়াশুনা শেষ করতে পারিনি: প্রধানমন্ত্রী

ঢাকা, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-25 02:09:18

ঢাকা: পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের কারণে ছয় বছর দেশে আসতে না পারায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মার্স্টাস ডিগ্রি সম্পন্ন করতে পারেননি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই দুঃখ এখনও  তার মনে পড়ে।

শনিবার (১ সেপ্টেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলের নব নির্মিত ৭ মার্চ ভবন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একটি দঃখ আছে মনে, দুঃখটা একটাই; আমার বাবা( বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান) তার পড়াশুনা শেষ করতে পারেনি; এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাকে বহিস্কার করা হয়েছিল। আর আমার ভাগ্যে জুটেছিল এটা।’

পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও পরিবারকে হত্যা করা হয়েছিল কিন্তু ১৫ দিন আগে দেশ ছেড়ে ছিলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও  তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানা। ছয় বছর দেশে আসতে না পারায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স ডিগ্রি শেষ করতে পারেনি শেখ হাসিনা।

সেই নির্মম হত্যাকাণ্ডের ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘পচাঁত্তুরে যখন আমি জার্মানিতে চলে যাই। মাত্রা ১৫ দিন আগে আমি দেশ ছেড়েছিলাম এরপর ছয় বছর আর ফিরে আসতে পারিনি। আমি মাস্টার্সে ভর্তি হয়েছিলাম কিন্তু তা আর সমাপ্ত করতে পারিনি। আমার সেই শিক্ষা অধুরাই থেকে গেলে। এই দুঃখ টা সব সময় আমার মনে আছে মনে থাকবে।’

পরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পরে শেখ হাসিনাকে ডিগ্রি প্রদান করেন বলে জানান তিনি ।

তিনি বলেন, ‘তবে এই বিশ্ববিদ্যালয়ও আমাকে সম্মান দিয়েছে আমাকে সম্মান ডিগ্রি দিয়েছে; সেজন্য আমি কৃতজ্ঞ এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে।’

‘দেশ স্বাধীন হয়েছে চিন্তা করলাম নিজে পড়াশুনা করে একটি ডিগ্রি নেয়ার। তখন আমার মাকে বলেছিলাম ‘মা- এবার খুব মনযোগ দিয়ে পড়াশুনাটা করব।এবং ভালোভাবে মাস্টার্স ডিগ্রিটা নিব; কিন্ত সেটাও আমার ভাগ্যে জুট না।’

তিনি বলেন, ‘৭ মার্চকে স্মরণ করে এই হল সেখানে প্রায় এক হাজার ছাত্রীর আবাসন ব্যবস্থা হল; আমি আমার এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বাঙ্গীন সাফল্য কামনা করছি।’

‘রোকেয়া হল; এটা তো আমারও হল। সেখানে ৭ মার্চের ভবনটি নির্মিত হল; বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্রী হিসাবে গর্ববোধ করি।’

দেশকে এগিয়ে নিতে পারেন সেজন্য সবার সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য তিনি বলেন, ‘উত্শৃঙ্খলা কখনও গ্রহনযোগ্য না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়াশুনা করতে হলে একটি নিয়ম মেনে, সেভাবেই আচরণ করতে হবে- সেটাই আমরা আশা করি; জাতি আশা করে। আমি চাই, আমাদের ছেলেমেয়েদের জীবনমান সবদিক থেকেই উন্নত হোক। তারা এই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাক।’

মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় তরুণ প্রজন্মকে গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন,‘আমাদের তো সময় শেষ; বয়স হয়ে গেছে আর কতদিন! এরপর প্রজন্মের পর প্রজন্ম যাতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশকে গড়ে তুলবে।

‘জাতির পিতার যে স্বপ্ন ছিল ক্ষুধামুক্ত দারিদ্র মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার সেই স্বপ্ন পূরণে করে; তারা যেন দেশকে এগিয়ে নিয়ে যায়।’

এ সম্পর্কিত আরও খবর