জব্দ হওয়া মোবাইল নিতে ডিবিতে যান মামুনুল হক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গ্রেফতারের সময় জব্দকৃত নিজের মোবাইল ফোন নিতে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) কার্যালয়ে এসেছিলেন হেফাজতে ইসলামের সাবেক নেতা ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক।

শনিবার (১৮ মে) সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটের দিকে ডিবি কার্যালয় থেকে বের হওয়ার সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে তিনি একথা জানান।

মাওলানা মামুনুল হক বলেন, আমাকে যখন গ্রেফতার করা হয়, তখন মামলার আলামত হিসেবে আমার মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছিল। সেই ফোন নিতেই ডিবিতে এসেছি। আমাকে ডাকা হয়নি। আমি নিজেই এসেছি।

গত ৩ মে সকাল ১০টার দিকে মামুনুল হক কারাগার থেকে মুক্তি পান।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ১৮ এপ্রিল রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসা থেকে মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় তার বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের মামলা করেন তার সঙ্গে রিসোর্টে অবরুদ্ধ হওয়া নারী। যদিও ওই নারীকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করে আসছেন মামুনুল হক। এরপর ওই মাসেই দেশের বিভিন্ন স্থানে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহসহ অর্ধশতাধিক মামলা হয়। পরে সেসব মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়েছে পুলিশ। গ্রেফতারের পর থেকে এসব মামলায় কারাগারেই ছিলেন মামুনুল হক।

কোটা আন্দোলনে এক নেতা নুরকে চার লাখ টাকা দেন: ডিবিপ্রধান



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশজুড়ে কোটা আন্দোলন চলাকালীন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরকে এক নেতা চার লাখ টাকা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। 

এই ৪ লাখ টাকা কাকে, কীভাবে, কী জন্য খরচ করা হয়েছে সেসব বিষয়ে জানার জন্য ঢাকা মহানগর (গোয়েন্দা) পুলিশ চেষ্টা করছে বলেও জানান তিনি।

শনিবার (২৭ জুলাই) দুপুরে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান তিনি।

হারুন অর রশীদ বলেন, নুরকে আমরা রিমান্ডে নিয়েছিলাম। তার কাছ থেকে অনেক তথ্য পেয়েছি। সেই তথ্যগুলো যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। নুর একটা কথা স্বীকার করেছেন। আন্দোলন চলাকালীন সময়ে একজন নেতা তাকে চার লাখ টাকা দিয়েছেন। আমরা সেই নেতাকেও নিয়ে এসেছি। সে চার লাখ টাকা নুরকে দিয়েছেন বলে স্বীকার করেছেন।

কি জন্য সেই নেতা নুরকে দিয়েছেন সেসব বিষয়ে ওই নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

কোটা আন্দোলনে সমন্বয়কদের সঙ্গে সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের ডিজিটাল যোগাযোগের তথ্য পাওয়া গেছে বলেও জানান হারুন অর রশীদ।

এছাড়া বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির সভাপতি (বিজেপি) ও সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ পাঁচ দিনের রিমান্ডে রয়েছেন আমাদের কাছে। তার কাছ থেকে কিছু বিষয় জানার চেষ্টা করছি।

গতকাল শুক্রবার (২৬ জুলাই) পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। পরে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। এর আগে গত ২১ জুলাই তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

এদিকে বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। পরে পার্থকে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

;

কোটা আন্দোলন

তিন সমন্বয়ককে হেফাজতে নেয়ার কারণ জানাল ডিবি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলামসহ তিন জনকে রাজধানীর গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল থেকে হেফাজতে নিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। সমন্বয়কদের হেফাজতে নেয়ার বিষয়ে মুখ খুলছেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

শনিবার (২৭ জুলাই) রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নের জবাবে হেফাজতে নেয়ার কারণ জানান তিনি।

হারুন অর রশীদ বলেন, প্রধান সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার এই তিন জনকে আমরা গতকাল রাতে নিয়ে এসেছি। আপনারা জাানেন তারা বিভিন্ন জায়গা ফেসবুকে নিরাপত্তাহীনতার কথা বলছিলেন। তাদের একজনের বাবাও নিরাপত্তাহীনতার কথা বিভিন্ন জায়গা বলেছেন। আমরা মনে করি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী হিসেবে কেউ যদি কোথাও নিরাপত্তাহীনতার কথা বলে আমাদের দায়িত্ব তাদের সেইফলি সিকিউরিটি দেয়া। তাই আমরা তাদেরকে সেইফলি সিকিউরিটি দিচ্ছি।

পাশাপাশি আপনারা জানেন নুর এবং আরও কিছু নেতৃবৃন্দকে আমরা রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসা করেছি তারা তাদের জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে আমাদের কাছে বলেছেন সমন্বয়কদের সাথে তাদের কথা হয়েছে। তাই অন্যান্য নেতৃবৃন্দের সাথে তাদের কি কথা হয়েছে এগুলো জানার জন্য আমরা তাদেরকে কিছু জিজ্ঞাসাবাদ করবো। পাশাপাশি আমরা তাদের সেইফলি সিকিউরিটি দিবো।

এর আগে গতকাল শুক্রবার (২৬ জুলাই) হাসপাতালে থাকা নাহিদের স্বজনেরা জানান, বেলা সাড়ে ৩টার দিকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য পরিচয় দিয়ে একদল লোক এসে প্রথমে নাহিদকে তুলে নিয়ে যান। পরে আসিফ ও বাকেরকে নিয়ে যান।

উল্লেখ্য, এই তিনজনকে এর আগেও একবার তুলে নেওয়া হয়েছিল। গত ১৯ জুলাই মধ্যরাতে খিলগাঁওয়ের নন্দীপাড়া থেকে নাহিদকে তুলে নেওয়া হয়। পরে ২১ জুলাই ভোরে পূর্বাচল এলাকায় তাকে ফেলে যাওয়া হয়। অপর দুই সমন্বয়ক আসিফ ও বাকেরকেও ১৯ জুলাই তুলে নেওয়া হয়েছিল। পাঁচ দিন পর ২৪ জুলাই আসিফকে হাতিরঝিল ও বাকেরকে ধানমন্ডি এলাকায় ফেলে যাওয়া হয়। এর পর থেকে আসিফও গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। হাসপাতালে তার সঙ্গে থাকছিলেন বাকের। তারা তিনজনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

;

আন্দোলনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পুলিশ বাহিনী: ধর্মমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান

ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান

  • Font increase
  • Font Decrease

কোটা সংস্কার আন্দোলনে পুলিশ বাহিনী সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।

শনিবার (২৭ জুলাই) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ ইউনাইটেড ইসলামী পার্টির উদ্যোগে আয়োজিত কোটা সংস্কারের নামে বিএনপি-জামায়াত কর্তৃক রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংসের প্রতিবাদে এক মানববন্ধনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ধর্মমন্ত্রী বলেন, ছাত্ররা কোটা সংস্কারের নামে যে আন্দোলন করেছে তাকে আমরা সমর্থন করি। ছাত্ররা যা করেছে ঠিক করেছে এবং প্রধানমন্ত্রী ছাত্রদের কথা রেখেছেন। ছাত্রদের আন্দোলনে সুযোগ নিয়ে বিএনপি-জামায়াত ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চেয়েছিল। এই আন্দোলনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আমাদের পুলিশ বাহিনী। আজকে পুলিশ বাহিনীর অনেক সদস্য হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন। পুলিশ সদস্যকে মেরে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।

তিনি বলেন, মেট্রোরেলের মাধ্যমে মানুষ খুব অল্প সময়ের মধ্যে আসা-যাওয়া করতে পারতো, সেই মেট্রোরেলে হামলা চালানো হয়েছে। এখন সাধারণ জনগণ যাতায়াত করতে কষ্ট পাচ্ছেন। বাংলাদেশকে অচল করে দেওয়ার জন্য দেশের প্রত্যেকটা গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় তারা (বিএনপি-জামায়াত) হামলা করেছে। ক্ষয়ক্ষতি করার চিন্তা যারা করে ইসলাম তাদেরকে কখনো সমর্থন করে না। যারা দেশজুড়ে এই ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে তাদেরকে আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।

;

খাগড়াছড়িতে প্রতিপক্ষের গুলিতে ইউপিডিএফ কর্মী নিহত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, খাগড়াছড়ি
খাগড়াছড়িতে প্রতিপক্ষের গুলিতে ইউপিডিএফ কর্মী নিহত

খাগড়াছড়িতে প্রতিপক্ষের গুলিতে ইউপিডিএফ কর্মী নিহত

  • Font increase
  • Font Decrease

খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় প্রতিপক্ষের গুলিতে জুনেল চাকমা নামে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) এক কর্মী নিহত হয়েছেন।

শনিবার (২৭ জুলাই) সকাল ১১টার দিকে দীঘিনালার কবাখালী ইউনিয়নের কাঙ্গারীমা ছড়ায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত জুনেল চাকমা দীঘিনালার আমতলী গ্রামের তত্তরঞ্জন চাকমার ছেলে।

হত্যাকাণ্ডের জন্য ইউপিডিএফ জনসংহতি সমিতি এমএন লারমাকে দায়ী করলেও সংগঠনটি তা অস্বীকার করেছে।

ইউপিডিএফ সংগঠক অংগ্য মারমা জানান, শনিবার সকালে দীঘিনালার কাঙ্গারীমা ছড়া এলাকায় মাস্টার ললিত চাকমার বাড়িতে অবস্থান নেয় জুনেল। এ সময় প্রতিপক্ষের অস্ত্রধারীরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি করলে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়।

দীঘিনালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল হক জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে রওনা দিয়েছে। মরদেহ উদ্ধারের পর বিস্তারিত বলা যাবে।

;