আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান বলেছেন, বিএনপি বলে যে অত্যন্ত জনপ্রিয় দল হিসেবে তারা পরিণত হয়েছে এবং তাদের সভা-সমাবেশ ডাকলে মানুষের জোয়ারে ভাসে। আমার প্রশ্ন হল, তাহলে নির্বাচনে আসতে বিএনপির ভয় কিসের?
রোববার (২০ নভেম্বর) সমসাময়িক রাজনীতির পেক্ষাপট নিয়ে বার্তা২৪.কম এর সাথে আলাপকালে বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্যে এই প্রশ্ন করেন তিনি।
আব্দুর রহমান বলেন, জনপ্রিয়তা থাকায় অনেক বাধা সত্ত্বেও পশ্চিম পাকিস্তান সরকারের অধীনে বঙ্গবন্ধু সত্তরের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন। অনেক বাধা ছিল। তারপরও বঙ্গবন্ধুর আত্নবিশ্বাস ছিলেন এই নির্বাচনে তিনি জিতবেন। এবং তিনি বলেছিলেন আমি ১৬৯ টি সিটের মধ্যে ১৬৭ টি সিট পাব এবং সেটাই হয়েছে। তাদের যদি এই রকম আত্নবিশ্বাস থাকে তাহলে তারা নির্বাচনে আসতে বাধ্য। এবং তাদের উচিত নির্বাচনে আসা।
বিএনপির এই সভা সমাবেশ হঠাৎ করে তাদের এই ধরনের সংগঠিত হওয়া আমি মনে করি গণতন্ত্রের জন্য একটা ভালো দিক উল্লেখ করে আব্দুর রহমান বলেন, তাদের সভা সমাবেশ শান্তিপূর্ণ নয় ফলে মানুষ মনে করে বিএনপির সভা সমাবেশ মানে গাড়ি ভাংচুর, সন্ত্রাসী নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি তৈরি করা। বিভিন্ন জায়গায় যে পরিবহন মালিকরা ধর্মঘট ডাকে এটা তাদের নিজেদের তাগিদে। এবং তারা মনে করে যে তাদের গাড়িঘোড়া সাবধানে না রাখলে বা আমরা সতর্কতার সঙ্গে না থাকলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এটা তাদের সম্পর্কে মানুষের একটা আতঙ্ক,বিরূপ ধারণা।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, বিদেশিদের কাছে গিয়ে আসলে কোন লাভ হবে না। বিদেশি কূটনীতিকদের নিয়ে মাঝে মাঝে ভিন্ন নামে তাদেরকে জড়ো করা হচ্ছে, তাদেরকে একটা নির্দিষ্ট মহল থেকে ঠিক করা প্রশ্নগুলো করা হচ্ছে। মিট দ্যা প্রেস, মিট দ্যা আ্যাম্বেসেডর নানান নামে। এরা কি করবে। বাংলাদেশের মানুষের যে শক্তি সেটা হচ্ছে জনগণের শক্তি। জনগণের শক্তি যদি থাকে কেউ বিদেশিদের সাথে ধর্না দিয়ে লাভবান হতে পারবে না।
তারা নির্বাচন করতে চায় না উল্লেখ করে তিনি বলেন, কারণ নির্বাচন করতে চাইলে তাদের দলের নেতৃত্ব দৃশ্যমান হতে হবে। সেক্ষেত্রে তাদের দলের দুজনেই দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। যেহেতু তাদের নির্বাচনে যাওয়ার সুযোগ নেই কাজেই বিএনপি নির্বাচনে যাবে না।
২০০৬ সালের আদলে বিএনপি একটি অসাংবিধানিক সরকারের জায়গা করে দেওয়ার চক্রান্ত করছে উল্লেখ করে আব্দুর রহমান বলেন, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা যখন তারা ফোকাস করে তখন আমাদের মনে সন্দেহ হয়, অতীত অভিজ্ঞতা থেকে ধারণা হয়, এই যে তারা তাদের সভা সমাবেশের মাধ্যমে দেশটাকে ভিন্ন দিকে, অসাংবিধানিক পথে, অসাংবিধানিক শক্তিকে আহবান করার চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে।
বিএনপির এই স্বপ্ন কখনোই পূরণ হবে না উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের এই সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য বলেন, আমাদের নেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মানুষের যে অভাবনীয় উন্নয়ন, সামাজিক নিরাপত্তা বলয়, আর্থিক, অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ মেগা প্রকল্প গুলো সফলতার সাথে শেষ করছেন। পদ্মা সেতু দিয়ে এখনো যখন চলাচল করি, তখন মনে হয় এখনো স্বপ্ন। সর্বপরি সব অসাধ্য কে সাধন করেছেন তিনি। ফলে দেশের জনগণ বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ইতিবাচক।
জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর আদর্শিক রাজনীতির সাথে জড়িয়ে থাকতে চাই উল্লেখ করে সাবেক এই ছাত্রনেতা বলেন, এখানে আমার কোন সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ঠিক করি নাই যে আমাকে এই পদ অর্জন করতে হবে, এই জায়গায় যেতে হবে, সম্পদের মালিক হতে হবে এই ধরনের কোন টার্গেট আমার নেই। একটাই টার্গেট আমার প্রিয় নেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সাথে বিশ্বস্ততার সাথে তার দেওয়া দায় দায়িত্ব পালন করতে পারি।