বিশ্ব বেনিয়াদের হাতে দেশটাকে তুলে দিতে চায় বিএনপি-জামায়াত বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আকরাম খাঁ হলে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট কর্তৃক আয়োজিত বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠপুত্র শহীদ শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত বিশ্ব বেনিয়াদের হাতে দেশটাকে তুলে দিতে চায়। তাদের লক্ষ্য ক্ষমতায় যাওয়া নয়, তারা জানে নির্বাচন হলেও তাদের পক্ষে ক্ষমতায় যাওয়া সম্ভব হবে না। নির্বাচনের মাঠে তারা যে পানি ঘোলা করছে সেখানে মাছ শিকার করবে অন্যরা। সেটাও তারা জানে। তাদের লক্ষ্য হচ্ছে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে নামিয়ে বিশ্ব বেনিয়াদের হাতে দেশকে তুলে দেওয়া। দেশের সম্পদকে তুলে দেওয়া।
তিনি বলেন, দেশে যখন নির্বাচনের সময় আসে তখন বিএনপি-জামায়াত ধর্মাশ্রয়ী রাজনীতি করে। আজকে যে ফিলিস্তিনে পাখি শিকারের মত মানুষ শিকার হচ্ছে সে বিষয়ে বিএনপি জামায়াতের মুখে একটা কথাও নেই। মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে সে নিয়ে বিএনপির জামায়াতের মুখে একটা কথাও নেই। তারেক জিয়া নির্দেশ দেয় এটি নিয়ে কোন কথা বলার দরকার নেই। এটি নিয়ে কথা বললে বিশ্ব মোড়লরা অখুশি হতে পারে। বিশ্ব মোড়লরা অখুশি হতে পারে সেজন্য যারা একটি শব্দও উচ্চারণ করে না, তারা যদি সুযোগ পায় তাহলে নিজেদের স্বার্থে দেশটাকেই বিক্রি করে দিবে।
তিনি আরও বলেন, আমি সবাইকে অনুরোধ জানাই আগামী ১০০ দিন দেশটাকে পাহারা দিতে হবে। কারণ দেশটাকে তারা বিশ্ব বেনিয়াদের কাছে তুলে দিতে চাচ্ছে। ক্ষমতা পাহারা দিতে হবে না, ক্ষমতা পাহারা দেওয়ার দায়িত্ব হচ্ছে জনগণের। কিন্তু দেশটাকে পাহারা দিতে হবে।
বিএনপিকে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা ভেবেছে ঢাকা শহরে কয়েকটা মানববন্ধন করে, সারাদেশ থেকে তাদের অগ্নি সন্ত্রাসীদের জড়ো করে সরকার হটিয়ে দিবে! কয়েকটা মানববন্ধন এবং নয়াপল্টনের সামনে ২০ থেকে ৩০ হাজার মানুষ জড়ো করে এবং কিছু গাড়ি ভাঙচুর করে, গাড়িতে আগুন দিয়ে এই আওয়ামী সরকারকে হটানো সম্ভব নয়।
তারা (বিএনপি) ১৪ সালে অনেক চেষ্টা করেছিল গাড়ি ঘোড়া ও মানুষ পুঁড়িয়েছে। এতকিছু করেও তারা শেখ হাসিনাকে হটাতে পারেনি। আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু হবে এ বিষয়ে আমরা খুবই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি আগামী নির্বাচনে দেশের মানুষ দৃঢ়ভাবে অংশগ্রহণ করবে। আশা করবো বিএনপিও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে এবং তারা তাদের জনপ্রিয়তা যাচাই করবে। রাজপথে দাঁড়িয়ে সরকারকে হুংকার দিবেন না।
মির্জা ফখরুলকে ইঙ্গিত করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, মির্জা ফখরুল গলা উঁচু করে সারাক্ষণ মিথ্যা কথা বললেও তিনি কিন্তু ভদ্রলোক। আপনি এত উঁচু গলায় কথা বলবেন না। আপনি এমপি হওয়ার পরেও আপনার দল আপনাকে শপথ গ্রহণ করতে দেয়নি। আপনার দল এমপিদের অনিচ্ছা সত্ত্বেও দল থেকে পদত্যাগ করিয়েছে। আপনার দলের মূল নেতারা বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমান চায় না আপনারা নির্বাচনে এসে ভালো ফলাফল করুন এবংএমপি হন।আমি ফখরুল সাহেবকে অনুরোধ জানাবো তারেক রহমানের লাঠিয়াল বাহিনীর সরদার হিসেবে কাজ করবেন না। আপনি রাজনীতিবিদ হিসেবে কাজ করুন এবং দেশের স্বার্থে কাজ করুন। তাহলে দেশ উপকৃত হবে।
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কার্যকরী সভাপতি কন্ঠশিল্পী রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র অরুন সরকার রানা,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য মানিক লাল ঘোষ প্রমুখ।