রাজধানীর আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত দীর্ঘ প্রতীক্ষিত মেট্রোরেলের দ্বিতীয় ধাপের উদ্বোধন উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আরামবাগ মাঠে জনসভায় যোগ দিতে ঢল নেমেছে নেতাকর্মীদের।
শনিবার (৪ নভেম্বর) দুপুরের পর থেকে রাজধানীর আরামবাগ মাঠে দলে দলে আসতে শুরু করে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের বিভিন্ন স্লোগানসহ সরকার প্রধানের পক্ষে বিভিন্ন স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে সমাবেশস্থল।
দ্বিতীয় অংশের উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে দেশের প্রথম মেট্রোরেল কার্যত পূর্ণতা পেল। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মেট্রোরেল চালুর মধ্য দিয়ে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার দূরত্বের পথ মাত্র ৩৮ মিনিটে পার হতে পারবেন যাত্রীরা। এলিভেটেড লাইন হওয়ায় রাজধানীর চিরচেনা যানজটে পড়তে হবে না যাত্রীদের। উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত পুরো পথের জন্য ভাড়া গুণতে হবে ১০০ টাকা।
উত্তরা-মতিঝিল রুটে রোববার (৫ নভেম্বর) থেকে প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৭টা থেকে সকাল বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত মেট্রোরেল চলাচল করবে। আগারগাঁও-মতিঝিল অংশে ফার্মগেট-সচিবালয়-মতিঝিল তিনটি স্টেশনে মেট্রোরেল থামবে। আর উত্তরা থেকে আগারগাঁও অংশে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত চলবে।
আওয়ামী লীগ ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর রাজধানীর ওপর চাপ কমাতে নানা উদ্যোগ নেয়। যানজট নিরসনে রাজধানীজুড়ে মেট্রোরেল নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। প্রতিটি ট্রেন ২ হাজার ৩০০ যাত্রী নিয়ে ১০০ থেকে ১১০ কিলোমিটার গতিতে চলতে পারবে। তবে বাঁকযুক্ত এলাকায় গতি কমে যাবে। মেট্রোরেল প্রতি ঘণ্টায় ৬০ হাজার যাত্রী এবং প্রতিদিন ৫ লাখ যাত্রী বহন করতে পারবে। প্রতি চার মিনিটে প্রতিটি স্টেশনে একটি ট্রেন আসবে।