এদিকে সরকারের আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন বিএনপিকে আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য আহ্বান জানাচ্ছে, অপরদিকে সিনিয়র নেতৃবৃন্দসহ সর্বস্তরের নেতাকর্মীকে গ্রেফতারে ক্র্যাকডাউন শুরু হয়েছে। এটি যেন এক মহা তামাশা।
রোববার (৫ নভেম্বর) বিএনপির পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকার সমালোচনা করে এসব কথা বলেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
শনিবার (৪ নভেম্বর) রাতে ঢাকা থেকে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ওমর, এয়ার ভাইস মার্শাল (অব) আলতাফ হোসেন চৌধুরীকে আটক করা হয়েছে বলে এই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
এ ছাড়া আজ রোববার ভোরে ঢাকা থেকে দলের সাংগঠনিক সম্পাদক (ময়মনসিংহ বিভাগ) ইমরান সালেহ প্রিন্সকে আটকের কথাও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এসব ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান রিজভী।
রিজভী বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক বিএনপির বন্ধ কার্যালয়ে ইসির চিঠি প্রেরণও ছিল আরেকটি তামাশা। আসলে সরকার নিজেদের অতি চালাক ভাবছে এবং সবকিছুতেই ধরাকে সরা জ্ঞান করছে।’
তিনি আরও বলেন, নেতাকর্মীদের যেভাবে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে তাতে এটি সুস্পষ্ট যে, আগামী নির্বাচন যে কোনো প্রকারে অনুষ্ঠিত করে আবারও রাষ্ট্রক্ষমতা দখলে নিতে বদ্ধপরিকর অবৈধ শাসকগোষ্ঠী। কিন্তু এবার আওয়ামী অবৈধ সরকারের এ স্বপ্ন বাস্তবায়িত হতে দেবে না জনগণ।
বর্তমান সরকারের পদত্যাগসহ নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থা বাস্তবায়ন ছাড়া জনগণ রাজপথ ছেড়ে ঘরে ফিরে যাবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বিজ্ঞপ্তিতে ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ওমর, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক (ময়মনসিংহ বিভাগ) ইমরান সালেহ প্রিন্সকে নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী।