রংপুরে বিশেষ অভিযান চালিয়ে জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (রংপুর বিভাগ) ও মহানগর কৃষকদলের আহবায়ক শাহ্ নেওয়াজ লাবুসহ ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১৩ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে রংপুর নগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। রংপুর মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (অপরাধ) আবু মারুফ হোসেন গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশের দাবি, চলমান অবরোধ কর্মসূচিতে নাশকতা করার প্রস্তুতির সময় তাদেরকে নগরীর প্রাইম মেডিকেল কলেজ রোড ও লালবাগ এলাকা থেকে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়।
উপ-পুলিশ কমিশনার আবু মারুফ হোসেন বার্তা২৪.কমকে জানান, সোমবার সকাল সাড়ে আটটায় দিকে প্রাইম মেডিকেল কলেজ রোড এবং লালবাগ এলাকা থেকে নাশকতার প্রস্তুতির ঘটনায় হাতেনাতে কৃষকদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (রংপুর বিভাগ) ও মহানগর কমিটির আহবায়ক শাহ নেওয়াজ লাবুসহ ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়াও পৃথক আরেক অভিযানে নাশকতা মামলার আসামি রংপুর মহানগরীর পরশুরাম থানা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক ছামছুজ্জামান ওরফে শুখীকে (৩৯) গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে বিএনপি-জামায়াতের ডাকা ৪র্থ দফা অবরোধের দ্বিতীয় দিন সোমবার (১৩ নভেম্বর) সকাল থেকে রংপুর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল, কামারপাড়া ঢাকা কোচ স্ট্যান্ডসহ নগরীর বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা গেছে, যাত্রী অভাব ও নিরাপত্তার আশঙ্কায় ঢাকা, সিলেট, বরিশাল, চট্টগ্রাম, যশোর, খুলনাসহ বিভিন্ন রুটের দূরপাল্লার কোনো বাস চলাচল করছে না। তবে হাতেগোনা কয়েকটি আন্তঃজেলা বাস চলাচল করতে দেখা যায়। এছাড়া অন্যান্য দিনের মতো ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
গণগ্রেফতারের ঘটনার নিন্দা জানিয়ে মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটির এক নেতা নাম প্রকাশে অনিচ্ছা জানিয়ে বলেন, সরকার পতনের এক দফার আন্দোলন বাধাগ্রস্ত করতে সরকার নিরুপায় হয়ে পুলিশ বাহিনীকে ব্যবহার করছে। হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণার পর থেকে মহানগর বিএনপির আহবায়ক সামসুজ্জামান সামু ও সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাহফুজ উন-নবী ডনসহ বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের অন্তত শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এসব ঘটনার আমরা তীব্র নিন্দা জানাই। বিনা অপরাধে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান তিনি।