বিরোধী দল ভাঙার চেষ্টা করছে আওয়ামী লীগ: মান্না

বিবিধ, রাজনীতি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-11-26 14:59:53

আওয়ামী লীগ বিরোধী দল ভাঙতে এবং নতুন দল গড়তে চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন সরকার পতনের দাবিতে বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা গণতন্ত্র মঞ্চের অন্যতম শরিক দল নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না।

একতরফা নির্বাচনের প্রতিবাদে অবরোধের পক্ষে মিছিল শেষে রোববার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি একথা বলেন।

মান্না বলেন, এই নির্বাচন সরকারের জন্য, আওয়ামী লীগের জন্য কোনো নির্বাচন নয়। এটা তাদের নির্বাসনে পাঠাবে, অপেক্ষা করেন। চিল যেমন মুরগির বাচ্চা ধরে নিয়ে যায়, এমন করে বিএনপির নেতাদের ধরে নিয়ে যাচ্ছেন, বিচার করছেন, রাত-দিন করে কারো নামে দুই বছর, কারো নামে আড়াই বছর, কারো নামে তিন বছর সাজা দিয়ে দিচ্ছেন। মামলা চালুই হয়নি, সাজা নির্ধারিত। দুই হাত কাটা মানুষের নামে সন্ত্রাসের মামলা, মৃত মানুষের নামে ফৌজদারি সাজা। আর ওনারা (সরকার) বলছেন নির্বাচনের চমৎকার পরিবেশ বিরাজ করছে।

এজেন্সির টাকা খেয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতাদের নামে মিথ্যা তথ্য প্রকাশ করা হচ্ছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, আমরা রাজনীতির চামচিকা নই। আমরা রাজনীতির কিং। আমরা লড়াই করেছি জনগণের জন্য। লড়াই চলছে, লড়াই চলবে।

তিনি আরও বলেন, এই সরকার বলে, মারো, কাটো, গাল দাও, কান টানো, চুল টানো ক্ষমতার গদি ছাড়বো না। দেশ রসাতলে চলে যাবে, তবু সে (প্রধানমন্ত্রী) ক্ষমতা ছাড়তে চায় না। আর আমরা বলছি, আমরা দেশকে রসাতলে যেতে দেবো না। তাই আপনাকেও ক্ষমতায় থাকতে দেবো না।

সমাবেশে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, আমাদের আন্দোলন চলবে। আমাদের আন্দোলনকে বিজয় পর্যন্ত নিয়ে যেতে হবে। এখানে পরাজয়ের কোনো সুযোগ নেই, পরাজয় মানে মৃত্যু।

তিনি আরও বলেন, এক এগারো সরকার বিভিন্ন দল থেকে লোক ভাগিয়ে এনে কিংস পার্টি বানিয়েছে। আর এখন শেখ হাসিনা গোয়েন্দা সংস্থা দিয়ে বিভিন্ন দল থেকে লোক ভাগিয়ে এনে কিংস পার্টি বানাচ্ছে। আওয়ামী লীগ ফোর ডিভিশন দলের সঙ্গে খেলতে গিয়ে এখন নিজেরাও ফোর ডিভিশন হয়ে গেছে।

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, এই সরকার এতই নির্লজ্জ বেহায়া তারা প্রধান বিরোধী দলের অফিস এখনো তালাবদ্ধ করে রেখেছে। দেশে নাকি নির্বাচনের উৎসব চলছে। তারা মানুষের ভোটের অধিকারের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে আজকে খেলায় যুক্ত হয়েছেন। ৭০ শতাংশ মানুষ নাকি আওয়ামী লীগকে ভোট দেওয়ার জন্য প্রস্তুত আছেন। তাহলে কেনো ১৫ বছর পরে একটা বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন দিতে ভয় পাচ্ছেন? কেনো মানুষের ভোটের অধিকারের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন? এরকম করার কারণটা কি? কারণ হচ্ছে ১৯৫৪ সালে মুসলিম লীগের অবস্থা যেরকম হয়েছিল, ২০২৪ সালে এসে আওয়ামী লীগের অবস্থাও সেরকম হবে। এই ভয়তেই তিনি এমন অনৈতিক নির্বাচন করছেন।

আরও উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহবায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয় কারী এডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম প্রমুখ। এর আগে অবরোধের পক্ষে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে মিছিল করেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর