দক্ষ ও স্মার্ট প্রশাসনের প্রতিশ্রুতি আওয়ামী লীগের

আওয়ামী লীগ, রাজনীতি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-12-27 13:41:29

জনকল্যাণমুখী ও জবাবদিহিতামূলক, দক্ষ ও স্মার্ট প্রশাসনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইশতেহার ঘোষণা করেছেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ইশতেহার ঘোষণা অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সভাপতি এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, নাগরিকমুখী, কল্যাণমূলক দক্ষ ও স্মার্ট প্রসাশন গড়ার মাধ্যমে জনগণকে উন্নত সেবা প্রধান ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ অঙ্গীকারবদ্ধ। মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের মাধ্যমে দক্ষ, উদ্যোগী, তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর ও দুর্নীতিমুক্ত দেশপ্রেমিক প্রশাসন গড়ে তুলার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য সরকারের তথ্যসমূহ উম্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। উদ্যোগী ও জনবান্ধব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজের স্বীকৃতি হিসেবে বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক দেওয়া হচ্ছে। সততা ও অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপনকারীদের পুরষ্কার ও প্রণোদনার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, জনবান্ধব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গড়ে তুলার লক্ষে আওয়ামী লীগ কাজ করেছে। ফলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সক্ষমতা বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। স্মার্ট বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে স্মার্ট ও আধুনিক হিসেবে গড়ে তুলবো।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি আমরা গ্রহণ করেছি। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে সমাজ থেকে দুর্নীতির মূলোৎপাটন করতে কাজ করে যাচ্ছে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে দুর্নীতি বিরোধী মনোভাব গড়ে তোলার জন্য পাঠক্রমে দুর্নীতির কুফল সংযোজন করে ছোটবেলা থেকেই তাদের সচেতন করে গড়ে তোলা হবে।

তিনি বলেন, সন্ত্রাস এবং সাম্প্রদায়িকতা দমন, সকল নাগরিকের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা, ও জনগণের জীবনমান উন্নয়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। রাষ্ট্র পরিচালনায় সংবিধানকে প্রাধান্য ও সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ গঠন সুনিশ্চিত করা হবে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ সকল ধর্মবর্ণ মানুষের আবাস ভূমি। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠন আমাদের কাম্য, যেখানে সকল ধর্মের মানুষ স্বাধীনভাবে তার ধর্ম পালন করতে পারবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা স্থানীয় সরকারকে আরও শক্তিশালী করতে চাই। কেন্দ্রীয় বাজেটের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে বিভিন্ন স্তরে সরকার কর্তৃক বাজেট প্রণয়ন লক্ষে সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে। জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে দায়িত্ব বিভাজন অধিকতর স্পষ্ট করা হবে।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, আমাদের ভূমি ব্যবস্থা এখন ডিজিটাল ব্যবস্থায় নিয়ে আসছি। জায়গা স্বল্পতা, ব্যবস্থাপনা গত দীর্ঘ সূত্রতা ও জটিলতার কারণে ভূমি ব্যবস্থাপনা পূর্ণ স্বচ্ছতার চাহিদা দীর্ঘদিনের। প্রশাসনিক সংস্কার, ডিজিটাল ব্যবস্থাপনা প্রয়োগের মাধ্যমে ভূমি সংক্রান্ত সমস্যাধির কার্যকর সমাধানের জন্য দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ল্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে তিনটি পার্বত্য জেলা ব্যতীত ৬১টি জেলায় ২০১৯ থেকে শতভাগ ই-নামজারি নিশ্চিত করা হয়েছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর