বরিশালে সংঘর্ষে নয়, কৃষকলীগ নেতার মৃত্যু হার্ট অ্যাটাকে: কাদের

আওয়ামী লীগ, রাজনীতি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-12-30 13:59:32

বরিশালে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় মারা যাওয়া কৃষক লীগ নেতা সংঘর্ষে নয়, হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে আওয়ামী লীগের সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয় সাংবাদিক ব্রিফিংয়ে তিনি একথা বলেন।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, কৃষক লীগ নেতা জনসভায় মারা যায়নি। হাসপাতালে মারা গেছে, হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছে। ডাক্তার তাই বলেছে। কি নানক? ঠিক আছে। এসময় উপস্থিত সবাই হেসে উঠলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এটা হাসির বিষয় না। আমরা সত্যকে মিথ্যা বানানো.....যদি সত্যিই সংঘর্ষে মারা যায়। নির্বাচনী সংঘর্ষে দেশে দেশেই...... আমাদের প্রতিবেশী দেশে আরও বেশি লোকের মৃত্যু হয়। তাই বলে সত্যকে আমরা অস্বীকার করবো কেন? এটা আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি। আর কয়টা নিহত হয়েছে, বলেন? নিহত হবার আর কোনো ঘটনা আছে কি? তার তো সংঘর্ষে মৃত্যু হয়নি। একটা লোকের হার্ট অ্যাটাক হতে পার, স্ট্রোক হতে পারে অথবা উত্তেজনা থেকেও হতে পারে। সে মারা গেছে কিন্তু হাসপাতালে। তার গায়ে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই চ্যালেঞ্জ আমরা অতিক্রম করবো ইনশাআল্লাহ। এই চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করার জন্য সারা বাংলাদেশে আমাদের নেতাকর্মীদের যার যা দায়িত্ব পালনের জন্য বলবো। আমরা বাংলাদেশের জনগণের কাছে আহ্বান জানাবো, এই অপশক্তিকে যারা নির্বাচনকে নির্বাসনে পাঠাতে চায় তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

তিনি বলেন, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে আমরা ব্যর্থ হতে দেবো না। নির্বাচন হবে ইনশাআল্লাহ। এই নির্বাচনে উপস্থিতি কি হবে, শেখ হাসিনার জনসভাগুলো জনসমুদ্রে পরিণত হচ্ছে সেখান থেকেও তারা টের পাচ্ছে না মানুষ কত উৎসবমুখর, মানুষ কত স্বতঃস্ফূর্তভাবে এ নির্বাচনে ভোট দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে। ইনশাল্লাহ ৭ জানুয়ারি ভোটার টার্ন-আউট যেটা নিয়ে তারা সন্দেহ করছে, লিফলেট বিতরণ করছে মানুষ যেন ভোট না দেয়, এমনও হতে পারে তারা লাশ বানিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে পারে মানুষ যেন ভোটকেন্দ্র না আসে। এ বিষয়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকেও আরও সতর্ক হতে হবে।

বিএনপিকে দমনের জন্য ও নির্বাচনে আসতে না দিতেই আওয়ামী লীগ মামলা-গ্রেফতার করছে বিএনপির এমন অভিযোগের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নিজেরাই নিজেদের অপকর্ম, নেতিবাচক রাজনীতির কারণে নিজেরাই নিজেদেরকে নিশ্চিহ্ন করেছে। এটার জন্য আর কারো দরকার হবে না। বিএনপির অপরাজনীতি তাদের ধ্বংসের জন্য দায়ী হবে। অন্য কারো প্রয়োজন নেই। বিএনপির অপকর্মই বিএনপিকে গভীর খাদে ফেলে দিয়েছে।

বিএনপি এখন সংলাপ চাচ্ছে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, সংলাপের কথা বলছে? নির্বাচন হোক। নির্বাচন হওয়ার পরে আমরা দেখব সংলাপ করার কোনো সুযোগ আছে কিনা।

সেতুমন্ত্রী বলেন, সংকট তো কিছু আছে। সেটা তো বিশ্ব সংকট, সেটার জন্য তো আমরা দায়ী না। সংকট যারা সৃষ্টি করছে তারা বড় বড় শক্তি। গরিব দেশগুলো আমরা তার শাস্তি পাচ্ছি। অপরাধটা তাদের শাস্তি পাচ্ছি আমরা।

তিনি বলেন, দ্রব্যমূলের ব্যাপারটা অবশ্যই চ্যালেঞ্জিং। তা না হলে আমাদের প্রধানমন্ত্রী বলে দিয়েছেন দ্রব্যমূলের বিষয়টা কমাতে হবে। এ ব্যাপারেও আমাদের ইশতেহারে ঘোষণা আছে। দ্রব্যমূল্য নিয়ে আমাদের উদ্বেগ আছে। উদ্বেগ থাকার কারণেই দ্রব্যমূল্য কমানোর তাগিদ আছে। সেটা আমরা অনুভব করি। আমরা প্রয়োগিক বাস্তবতায় ও দ্রব্যমূল্য যেনো মানুষের জীবনে খুব কঠিন অবস্থা সৃষ্টি করতে না পারে, যতটুকু নিয়ন্ত্রণ রাখা যায় সে ব্যাপারে সরকার সর্বাত্মক চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা যেটুকু খবর পেয়েছ, তারা মানুষ পুড়িয়ে, আন্দোলনের নামে গাড়ি পুড়িয়ে, বাস পুড়িয়ে, ট্রেন পুড়িয়ে মা ও সন্তানকে মেরে তাদের কাঙ্ক্ষিত রেজাল্ট পাচ্ছে না। এখন তারা এই নির্বাচনের বিষয়ে লাশ বানানোর যে অপরাজনীতি সে পথেও তারা যেতে পারে এমন ইনফরমেশন আমরা পাচ্ছি।

এ সম্পর্কিত আরও খবর