ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠন করে সাম্রাজ্যবাদী অপশক্তি আজ বাংলাদেশকে গিলে খাচ্ছে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।
তিনি বলেন, আমাদের অর্থনীতির অবস্থা দেখেন। আজকে আমাদের সন্তানরা ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পরে বিদেশ চলে যেতে চায়, কেন? কারণ বাংলাদেশের জনগণের দেশে চাকরির ব্যবস্থা নেই। পার্শ্ববর্তী দেশের সকলের চাকরির সুব্যবস্থা বাংলাদেশের রয়েছে। তাই আমরা আইনজীবী সমাজ এভাবে বসে থাকতে পারিনা। ইনশাল্লাহ কথা দিচ্ছি যতক্ষণ পর্যন্ত সরকারের পতন না হবে আমরা ঘরে ফিরে যাব না।
বুধবার (১০জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর হাইকোর্টে প্রাঙ্গনে ইউনাইটেড লইয়ারস ফ্রন্ট আয়োজিত ডামি নির্বাচন বাতিলের দাবিতে এক বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
কায়সার কামাল বলেন, গত ৭ তারিখ যা হয়েছে শুধুমাত্র বাংলাদেশের ইতিহাস নয় বিশ্বের গণতান্ত্রিক কাঠামো এবং বিশ্বের ইতিহাসে একটা কলঙ্কজনক দিন ছিল। আমরা দেখতে পেয়েছি বিশ্বের সকল গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলো ৭ জানুয়ারিতে যে নাাটক মঞ্চস্থ্য হয়েছে তা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। এই জন্যই আজ এই নির্বাচনকে মানুষ নাম দিয়েছে ডামি নির্বাচন। এই ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে রাষ্ট্রের হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। সারা বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে ক্ষুন্ন করা হয়েছে। পরিশেষে আমরা পেয়েছি পার্লামেন্ট নামে আওয়ামী লীগের একটা ক্লাব।
তিনি বলেন, আজকে আবার তারা নাকি শপথ নিয়েছে। স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশের প্রথম নির্বাচন হয়েছিল সাত মার্চ ১৯৭৩ সালে। সেই নির্বাচনে আজকের যে আওয়ামী লীগ সেই আওয়ামী লীগ ২৯৩ টা আসন নিয়েছিল। পেয়েছিল না কিন্তু নিয়েছিল। আর সাত জন ছিল বিরোধী দল। তখন আনুষ্ঠানিকভাবে বিরোধী দল ছিল না ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত। ঠিক সেই ভাবে এখনো আওয়ামী লীগের কোন বিরোধী দল নেই। কারণ স্বতন্ত্রের নামে যারা নির্বাচিত হয়েছে তারাও কিন্তু আওয়ামী লীগের। তাই রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমরা বলতে চাই এই পার্লামেন্ট তথাকথিত পার্লামেন্ট। কারণ কোন রাজনৈতিক দল এই সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে নাই। তাই এই পার্লামেন্ট অবৈধ।
তিনি বলেন, আমরা আইনজীবী সমিতি আগেও বলেছি এই ফ্যাসিস্ট রেজিনকে ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত করার জন্য নেতৃত্ব গঠনের জন্য আমরা টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া জনমত গঠনের কাজ করেছি। এই সাম্রাজ্যবাদী শক্তি আজকে বাংলাদেশের উপর ভর করেছে। এই সাম্রাজ্যবাদীর কাছে সারা বাংলাদেশের মানুষ মাথা নত করতে পারে না। যতক্ষণ পর্যন্ত এই সরকারকে ক্ষমতার ছোট করতে না পারবো ততক্ষণ আমরা ঘরে ফিরে যাব না।