দল হিসেবে বিএনপি দুর্বল একথা বলতে চাই না: কাদের

আওয়ামী লীগ, রাজনীতি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2024-01-22 13:53:25

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দল হিসেবে বিএনপি দুর্বল একথা আমি বলতে চাই না।

বিরোধী দল হিসেবে বিএনপিকে কোন অবস্থায় দেখতে চান এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, তাদের অবস্থান তারা (বিএনপি) নিজেরাই পরিষ্কার করে দিয়েছে। আন্দোলনে বুঝা গেছে তারা দুর্বল না শক্তিশালী। নির্বাচনে হেরে যাবার ভয়ে অংশ নেয়নি সেখানে তাদের অবস্থান পরিষ্কার। জনগণকে নিয়ে নির্বাচন করবে সেখানেও তারা ব্যর্থ। তাদের কোনো অবস্থান তো দেখতে পাচ্ছি না। দল হিসেবে তারা দুর্বল একথা আমি বলতে চাই না।

সোমবার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা (বিএনপি) সব কিছু হারিয়ে শোক সাগরে নিমজ্জিত। শোকের মিছিল হারানোর বেদনা থেকে হয়। ইলেকশন হেরে গেছে, আন্দোলন হেরে গেছে এখন আর কিছু করার নেই। আমি বলবো কালো পতকার সঙ্গে কালো ব্যাজ ধারণ করলে ১৬ কলা পূর্ণ হবে।

তিনি বলেন, অগ্নিসন্ত্রাসের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে গুজব সন্ত্রাস। দেশে বিদেশে গুজব চালাচ্ছে, সারা বিশ্বে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, অথচ বাংলাদেশে তারা এটাকে দুর্ভিক্ষের পদধ্বনি বলে অপপ্রচার করছে। মনে হয় যেনো সরকার কচু পাতার ওপর শিশির বিন্দু। টুকা লাগলেই পড়ে যাবে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এই সরকারের শক্তির উৎস বাংলাদেশের জনগণ। কথার বোমা মেরে এই সরকারকে উৎখাত করা যাবে না।

খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, চাইতে পারে কোন অসুবিধা নেই। তাদের দলের নেত্রীর মুক্তি তো তারা চাইবেই।

সরকারের দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখার অঙ্গীকারের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী সব মন্ত্রণালয়কে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি এটা নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এটাতো একদিন দুই দিনের ব্যাপার নয়। খুব দ্রুত এই কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া সবাই দেখতে পাবে।

শুধু সরকারিভাবে নয়, দলীয়ভাবে ও আমাদের দলের আজ জরুরি সভা ডাকা হয়েছে বলেও জানান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।

বিএনপি'র মন্তব্য সরকার যেকোনো সময়ে পতন হবে, এর জবাবে তিনি বলেন, তারা যত পতন বলবে সরকারের তত উত্থান হবে।

বিরোধী দলের ভূমিকা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সব দলই তো মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে থাকতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের দল, তারা তো স্বাধীনতার বিপক্ষে। যে মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বাস করে না সে স্বাধীনতায়ও বিশ্বাস করে না। কাজেই ওই রকম বিরোধিতা আমরা চাই না। মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীরা, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে সংসদে বিকৃত করবে, এমন আমরা প্রত্যাশা করিনা।

বিএনপি বলছে, সরকার স্বীকৃতির জন্য বিদেশে ধর্না দিচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, নিকৃষ্ট মন-মানসিকতা থেকে এ ধরনের নিকৃষ্ট উচ্চারণ বিএনপি করতে পারে। তাদের দলের ভাষাই এটা। তারা যদি রাজনীতির ইতিবাচক ভাষা নিয়ে এগোতো। তাহলে তাদের হঠাৎ করে এরকম একটা পতন হত না। তারা সরকারের পতনের জন্য আন্দোলন করে এখন নিজেরাই পতনের খাদে পড়েছে।

নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে ও উন্মুক্ত রাখাতে দলের ক্ষতি হচ্ছে কিনা? জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনে অনেক কিছু ওপেন করে দেওয়ার পরেও নৌকার জনপ্রিয়তা নৌকার জায়গায় রয়েছে। নির্বাচনের ২২৩টি আসন নৌকা পেয়েছে, তাহলে কিভাবে আপনি মনে করেন নৌকার জনপ্রিয়তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জনমতের প্রতিফলন ২২৩ সিটে নৌকার জয়। গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে সংঘাত সহিংসতা আমাদের দেশে হয়। কখনো বেশি কখনো কম। এবার নির্বাচনে খুব কি রক্তক্ষয় ঘটনা ঘটেছে? কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে।

উপজেলা নির্বাচনে প্রতীক থাকছে কিনা জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের ওয়ার্কিং কমিটির মিটিং হবে। সেই মিটিংয়ে এইসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে বলে জানান তিনি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, সুজিত রায় নন্দী, দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।

এ সম্পর্কিত আরও খবর