সীমান্ত উদারভাবে খুলে দেওয়ার সুযোগ নেই: ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগ, রাজনীতি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2024-02-08 18:03:28

মিয়ানমার সীমান্তে শক্ত অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। সীমান্ত উদারভাবে খুলে দেওয়ার সুযোগ নেই’- বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। 

বিএনপি প্রথম রোহিঙ্গাদের আসতে দেয় এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিলো তখন তারাই প্রথম রোহিঙ্গাদের এদেশে আসার অনুমতি দিয়েছিল।তারা ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় যে সুযোগ দিয়েছিলো, সেটা কি তারা ভুলে গেছে?

বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৫টায় রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, আমাদের নেত্রী যেটা করেছেন সেটা সারা পৃথিবী প্রশংসা করেছে এমনকি জাতিসংঘও। তখনকার বাস্তব অবস্থার প্রেক্ষিতে মানবিকতার জন্য সীমান্ত খুলে দিয়েছিলেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সে জন্য তাকে মানবতার মা বলা হয়।

কাদের বলেন, বিএনপির মাথা খারাপ হয়ে গেছে। আমেরিকা, ঋষি সুনাক একসাথে কাজ করার কথা বলেছে, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টও বার্তা দিয়েছিলেন এক সাথে কাজ করার। এখন তো তাদের সব আশাই শেষ। তারা ভেবেছিলেন বিদেশি বন্ধু তাদের পাশে এসে দাঁড়াবে। সে আশা একেবারেই শেষ হয়ে গেছে। আটলান্টিকের ওপার থেকেও কোন বার্তা আসেনি, আবার আমাদের এই অঞ্চল থেকেও কোন বার্তা আসেনি বা আসার কারণ ও নেই।

সরকার দুর্বল ও জনমত না থাকায় মিয়ানমারের বিপক্ষে কোন লিখিত প্রতিবাদ জানাতে পারেনি এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা পাগলের প্রলাপ বকছে। এদের মাথা ঠিক নেই। দেখে চারদিক থেকে প্রশংসা। শেখ হাসিনার সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে। তারা বলছে, আরে এটা তো হবার কথা না, এটা কিভাবে হলো। আরও অনেক কিছুই হবে তারা শুধু চেয়ে চেয়ে দেখবে। চেয়ে চেয়ে চোখের পানি ফেলবে।

মিয়ানমারে চলমান সংঘাতে ভারত কোন প্রভাব ফেলছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, এর প্রভাব ভারতেও পড়েছে। ভারতীয় সীমান্ত দিয়েও মিয়ানমারের বেশ কিছু লোকের অনুপ্রবেশ ঘটেছে। ওদের সীমান্ত রক্ষীও গেছে। ভারত যে মাথা ঘামাচ্ছে না, তা না। ভারতের নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দেওয়ালও আমাদের প্রধানমন্ত্রীর সাথে আলাপ করে গেছেন। আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারতে আছেন। তিনি এরমধ্যেই ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর ও অজিত দেওয়ালের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ আলাপ-আলোচনা করেছেন। এই আলোচনার মধ্যে মিয়ানমারের ইস্যুটা গুরুত্ব পেয়েছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর