বিএনপির কারণে এখনো মেলেনি গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি: হানিফ

আওয়ামী লীগ, রাজনীতি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2024-03-25 16:06:20

আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, জাতির পিতাকে হত্যার মধ্য দিয়ে যারা ক্ষমতায় এসেছিলো তারা মুক্তিযুদ্ধের সব ইতিহাস মুছে দিয়েছিলো। তাদের কারণে আমরা এখনো স্বীকৃতি পাইনি। খালেদা জিয়া বলেন মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ মানুষ প্রাণ হারায়নি। এই মিথ্যাচারের কারণে আমরা এখনো আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাইনি।

সোমবার (২৫ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর গুলিস্তানের ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভার তিনি একথা বলেন।

মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, এইদিন আমাদের নিরস্ত্র মানুষের উপর হামলা চালিয়ে পাকিস্তান গণহত্যা শুরু করেছিলো। আজকে ২৫ মার্চ, সে পঁচিশে মার্চ যেদিন গণহত্যা শুরু হয়েছিলো। এই গণহত্যায় ত্রিশ লাখ প্রাণ হারিয়েছে কিন্তু এখনো স্বীকৃতি পাইনি। জার্মানির নাৎসি বাহিনীর হাতে ১ লাখ ১০ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলো সেটা স্বীকৃতি আছে, রুয়ান্ডার গণহত্যা, বসনিয়ার গণহত্যার স্বীকৃতি আছে কিন্তু আমাদের ত্রিশ লাখ মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলো সেটার স্বীকৃতি নাই।

জাতির পিতাকে হত্যার মধ্য দিয়ে যারা ক্ষমতায় এসেছিলো তারা মুক্তিযুদ্ধের সব ইতিহাস মুছে দিয়েছিলো। তাদের কারণে আমরা এখনো স্বীকৃতি পাইনি। তারা বলে ৩০ লাখ মানুষ প্রাণ হারায়নি। এই মিথ্যাচারের কারণে আমরা এখনো আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাইনি, বলেন তিনি।

আওয়ামী লীগ যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম বলেন, রাতের অন্ধকারে অপারেশন সার্চ লাইটের নামে ইয়াহিয়া খান, টিক্কা খানদের নির্দেশে নির্মম হত্যাকাণ্ড করা হয়েছে। এই গণহত্যার স্বীকৃতি আমরা এখনো জাতিসংঘ থেকে পাইনি। যতদিন স্বীকৃতি আমরা আদায় করতে না পারবো আমাদের যে বীর সন্তানরা নির্মম হত্যার শিকার হয়েছেন তাদের মর্যাদা আমরা দিতে পারবো না।

নাছিম বলেন, দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে। ত্রিশ লাখ শহীদ যারা হত্যার শিকার হয়েছে তাদের হত্যার স্বীকৃতি আমাদের আদায় করতে হবে। খুনি মুশতাক, জিয়া স্বাধীনতার মাত্র সাড়ে তিন বছরের মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে হত্যা করে। খুনি জিয়া ক্ষমতা দখল করে খুনিদের দেশের বাহিরে পাঠিয়ে দেয়।

পাকিস্তানিদের দোসর সাম্প্রদায়িক শক্তি বিষবাষ্প ছড়িয়ে দেওয়াদের প্রতিহত করতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের এই গণহত্যার স্বীকৃতি আদায় করতে হবে। এর মধ্য দিয়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনী হবে যুদ্ধাপরাধী সেনাবাহিনী আর পাকিস্তান হবে যুদ্ধাপরাধী দেশ।

জাতির পিতা শেখ মুজিব ৭ মার্চের ভাষণের মাধ্যমে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করেছিলেন জানিয়ে যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেন, এই দেশে জননেত্রী শেখ হাসিনা জন্মেছিলো বলেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে। শেখ হাসিনা যতদিন থাকবেন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ততদিন চলবে।

ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত এ আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করছেন দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী ও সঞ্চালনা করছেন সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির।

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, কার্যনির্বাহী সদস্য সানজিদা খানম, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ প্রমুখ।

এ সম্পর্কিত আরও খবর