‘কচুপাতার ওপর শিশির বিন্দু আওয়ামী লীগ নয়, যে একটু টোকা লাগলেই পড়ে যাবে’- এমন মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শুক্রবার (২১ জুন) দুপুরে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন অব বাংলাদেশ প্রাঙ্গণে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আনন্দ র্যালি ও শোভাযাত্রার শুরুতে তিনি এ কথা বলেন।
নেতাকর্মীদের সভানেত্রী শুভেচ্ছা জানিয়েছেন জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা আন্দোলনের হুমকি দিচ্ছেন, তাদেরকে পরিষ্কারভাবে বলতে চাই আমাদের ক্ষমতার উৎস বাংলাদেশের জনগণ। কচুপাতার ওপর শিশির বিন্দু আওয়ামী লীগ নয়, যে একটু টোকা লাগলেই পড়ে যাবে।
বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, আন্দোলন করবেন, ২৮ অক্টোবরের মতো পালিয়ে যাবেন না তো? বিএনপি'র আন্দোলন ভুয়া। বিএনপির নেতৃত্ব, দফা ভুয়া। এই ভুয়া দলের ভুয়া আন্দোলনে জনগণ নেই। আগেও ছিলো না ভবিষ্যতেও থাকবে না। যে আন্দোলনে জনগণ নেই সেই আন্দোলন, আন্দোলন নয়।
কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ মাথা নত করার দল নয়, ব্যক্তি অপরাধ করলে দুদক স্বাধীন, বিচার বিভাগ স্বাধীন। শেখ হাসিনার সৎ সাহস আছে বিচার করার সে যেই হউক। আজকে যে চক্রান্ত চলছে এটা আওয়ামী লীগকে হঠানোর জন্য কি না এটা ভেবে দেখতে হবে।
নেতাকর্মীদের গুজবের বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সাবধানে থাকবেন, সতর্ক থাকবেন। ফখরুলরা আজকে গুজব ছড়াচ্ছে। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ঢালাওভাবে গুজব ছড়াচ্ছে। পুলিশের উপর আক্রমণ করছে। সেনাবাহিনীর প্রতিও তাদের সেই মতলব আছে। তারা আজকে গুজব ছড়িয়ে আওয়ামী লীগকে দুর্নীতিবাজ দল বানানোর চক্রান্ত চলছে।
আওয়ামী লীগ বিরোধী অপপ্রচারে গণমাধ্যমও জড়িত জানিয়ে তিনি বলেন, কিছু কিছু মিডিয়া সেই অপপ্রচারে নেমেছে। আওয়ামী লীগ জনগণের শক্তি নিয়ে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তৈরি রয়েছে। আওয়ামী লীগ মাথা নত করার দল নয়।
শোভাযাত্রা অংশ নিতে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী প্রমুখ।