আওয়ামী দুঃশাসনের অবসানের পরে গত ৫ আগস্ট থেকে সমগ্র চট্টগ্রাম জুড়ে বিভিন্ন জায়গায় সরকারি স্থাপনায় হামলা, সম্পদ নষ্ট, ভাঙচুর ও নৈরাজ্যের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে অবিলম্বে এসব বন্ধ করার আহবান জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক আলহাজ্ব এরশাদ উল্লাহ ও সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) বিকেলে নগর বিএনপির পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা এ আহবান জানায়।
নেতারা বলেন, শেখ হাসিনা গত ১৫ বছর জনগণের ওপর স্বৈরশাসন চাপিয়ে দিয়েছিলেন। সাড়ে ১২ কোটি ভোটারের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছিলেন।সাহসি ছাত্রজনতার ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে গণতন্ত্র হত্যাকারী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। দেশ আজ ফ্যাসিস্ট হাসিনা মুক্ত। বাংলাদেশ আজ কারামুক্ত। হাজারো শহীদের জীবনের বিনিময়ে ৫ আগস্ট বাংলাদেশের জনগণ আরেকটি বিজয় দেখেছে। কিন্তু এই বিজয়কে কালিমাযুক্ত করার ষড়যন্ত্র আবার শুরু হয়ে গেছে। গণতন্ত্রে উত্তরণের চলমান প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে সারা দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির ষড়যন্ত্র স্পষ্ট হয়ে উঠছে। শেখ হাসিনা পালানোর পরে বর্তমানে সুকৌশলে একটি চক্র পুলিশের মনোবল ভেঙে দেওয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। পুলিশকে অকার্যকর করা গেলে দেশকে অস্থিতশীল করা সহজ, ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টি করা সহজ।
বিএনপির এই দুইনেতা চট্টগ্রামবাসী ও দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি বিনীত আহ্বান জানিয়ে বলেন, কেউ দয়া করে নিজের হাতে আইন তুলে নেবেন না, প্রতিহিংসা প্রতিশোধে লিপ্ত হবেন না। বিচারের ভার নিজ হাতে নেবেন না। অতীত সমালোচনা কিংবা নৈরাজ্যের বদলে শান্তি প্রতিষ্ঠা করুন। নৈরাজ্য কোনো সমাধান হতে পারে না। আজ এই মুহূর্ত থেকে হামলা কিংবা নৈরাজ্য বন্ধ করুন। এমনকি কেউ বিএনপির নাম ব্যবহার করে কোনো অপকর্ম করতে চাইলে তাঁকে ধরে আইনের হাতে তুলে দিন। বিএনপির কোন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে যদি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকে তাহলে নিচের মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করুন। আমরা মহানগর বিএনপির পক্ষ থেকে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। যোগাযোগের মোবাইল নাম্বার ০১৮১৯৩৮৭২০১. ০১৮৮১৬৪৩৪০০. ০১৮১৯৮৩২৪৯০।
নেতারা প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আপনারা শক্ত হাতে আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করুন। প্রতিটি মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন। ধর্ম বর্ণের পরিচয়ে কেউ যেন নিরাপত্তাহীনতায় না থাকেন, সবার আগে সেটি নিশ্চিত করুন।
নেতৃবৃন্দ বিভেদ, হিংসা প্রতিহিংসা ভুলে সবাই মিলে দেশ গঠনে মুক্তিযুদ্ধের মূলমন্ত্র সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার প্রতিষ্ঠায় সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।