ফেনীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে ১ লাখ টাকা করে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী ফেনী জেলা শাখা। পাশাপাশি আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা ব্যয় বহন করার কথাও জানান তারা। জেলা জামায়াতের আমির একেএম শামসুদ্দিন গণমাধ্যমের সাথে আলাপকালে এ ঘোষণা দিয়েছেন।
তিনি বলেন বলেন, সূর্য সন্তানদের জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য আমরা দাবি জানাই। আন্দোলনে নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে ১ লাখ টাকা করে দেয়া হবে। পাশাপাশি আহতদের চিকিৎসার খরচ জামায়াত ইসলামী বহন করবে। দেশের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ন্যায় তাদের পরিবারের জন্য একটি ভাতা প্রক্রিয়া চালু করার দাবিও জানান তিনি। তাদের দেওয়া সুন্দর পরিবেশ ধরে রাখার দায়িত্ব আমাদের। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও লুটপাট বন্ধ করতে না পারলে ছাত্র-জনতার সব ত্যাগ বৃথা যাবে।
দেশে এখনো ষড়যন্ত্র হচ্ছে উল্লেখ করে জেলা জামায়াতের এ নেতা বলেন, স্বৈরাচার সরকার দেশ থেকে চলে গেলেও তাদের প্রেতাত্মারা এখনও ষড়যন্ত্র করছে। কেউ যেন আর রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষতি করতে না পারে সেজন্য সজাগ থাকতে হবে। আমরা এতে ব্যর্থ হলে এতজন শিক্ষার্থীর জীবন বৃথা যাবে।
জেলা জামায়াতের প্রচার সম্পাদক আ.ন.ম আব্দুর রহিম বলেন, আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে সব উপজেলায় টিম করে মন্দির পাহারাসহ শৃঙ্খলা রক্ষার্থে কাজ করছে। হিন্দুরা দেশে সংখ্যালঘু নয়। এ ধরনের কোনো শব্দ নেই। সবাই আমরা একসঙ্গে বসবাস করব। তারাও আমাদের ভাই। পরিবেশ ঘোলাটে করার জন্য মন্দিরে হামলার গুজব ছড়ানো হচ্ছে।
এ সময় জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মুফতি মাওলানা আব্দুল হান্নান, শহর জামায়াতের আমির মোহাম্মদ ইলিয়াস, জেলা ইসলামী ছাত্র শিবিরের সভাপতি ইমাম হোসেন এবং শহর শিবিরের সভাপতি শরিফুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।