ফটিকছড়ি উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কর্ণেল (অব.) আজিম উল্লাহ বাহার বলেছেন, আমাদের সংখ্যালঘু যে সম্প্রদায় আছে, তাদের জানমালের ওপর আক্রমণ করা যাবে না। এদেশ সম্প্রীতির দেশ। সবাইকে মনে রাখতে হবে, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানসহ অন্যান্য সম্প্রদায়ে লোকজন আমাদের ভাই। এ রাষ্ট্রে আমাদের মতো তাদেরও সমান অধিকার রয়েছে। ফলে সবাইকে সহযোগিতা করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) বিকেলে ফটিকছড়ি উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে বেগম খালেদা জিয়ার কারামুক্তি ও স্বৈরাচার হাসিনার পতন উপলক্ষ্যে আয়োজিত আনন্দ মিছিল শেষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
কর্ণেল বাহার বলেন, আমাদের তরুণ প্রজম্মের ছাত্ররা স্বৈরাচার খুনি হাসিনাকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করেছে। তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। আমরা তরুণ প্রজম্মের ছাত্র ও জনতার প্রতি কৃতজ্ঞ। আমরা চাই, তরুণ প্রজম্মকে সাথে নিয়ে একটি সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খল রাষ্ট্র বিনির্মাণে কাজ করতে। ফটিকছড়ি উপজেলা বিএনপি গত ১৬ বছরে অনেক হামলা মামলা ও নির্যাতনের শিকার হয়েছে। কিন্তু আমরা দমে যায়নি, আমরা ঐক্যবদ্ধ আছি, ভবিষ্যতেও থাকবো।
বিএনপির এই নেতা পুলিশকে অনুরোধ করে বলেন, দেশে পুলিশ বাহিনী কর্মবিরতি পালন করছেন। আমরা তাদের অনুরোধ করবো, তারা যেন দ্রুত সময়ে কাজে যোগ দেন। থানাসহ সরকারী স্থাপনাগুলো আমাদের সম্পদ। এগুলো রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। কোনো দুর্বৃত্ত যেন এ সব রাষ্ট্রীয় সম্পদে হামলা করতে না পারে, সে ব্যাপারে আমরা সজাগ রয়েছি। প্রশাসনকে বলেছি, আমরা তাদের সহযোগিতা করবো।
এর আগে ফটিকছড়ি উপজেলার গাউসিয়া মার্কেট এলাকা থেকে একটি বিশাল আনন্দ মিছিল শুরু হয়ে বিবিরহাট বাসস্টেশন ও কলেজ রোড হয়ে উপজেলা পরিষদ চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। মিছিলে ফটিকছড়ি ও নাজিরহাট পৌরসভাসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড থেকে আগত বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের ঢল নামে। সেখানে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও শেখ হাসিনার পতনের গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের স্মরণে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব জহির আজম চৌধুরীর সঞ্চালনায় এসময় উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি নেতা শওকত উল্লাহ চৌধুরী, সাবেক চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, বীরমুক্তিযোদ্ধা মাহাবুবুল আলম চৌধুরী, ইদ্রিস মিয়া ইলিয়াছ, সরওয়ার হোসেন, বোরহান মেম্বার, যুবদল নেতা মোর্শেদ হাজারী, মাহমুদুল হাসান দিলু, হাসান চৌধুরী দিপু, ছাত্রদল নেতা ইঞ্জিনিয়ার মুন্না, আব্দুল্লাহ আল মামুন, তানভীর চৌধুরী প্রমুখ।