বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেছেন, খুনি হাসিনাসহ যেসকল ব্যক্তিগণ গণহত্যার সাথে জড়িত তাদের সকলকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। গণহত্যার বিচারের দাবিতে দেশের জনগণ ঐক্যবদ্ধ। যেসকল ছাত্র-জনতা আওয়ামী বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই করে জীবন দিয়েছে, তাদের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা আছে।
তিনি বলেন, ছাত্র-জনতা হত্যার বিচার না করলে দেশ কলঙ্কমুক্ত হবে না। শেখ হাসিনার নির্দেশে দেশে বারবার গণহত্যা সংঘটিত হয়েছে। ভবিষ্যতে যেন কেউ এরকম দুঃসাহস না দেখায় সেজন্য উপযুক্ত বিচারের দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। ফ্যাসিবাদী সরকার লুটপাট করে দেশের অর্থনীতি পঙ্গু করে দিয়েছে।
বুধবার (১৪ আগস্ট) দুপুরে নগরীর অক্সিজেন চত্বরে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে ছাত্রজনতার ওপর গুলি চালিয়ে গণহত্যা এবং খুনি হাসিনাসহ তার খুনি দোসরদের বিচারের দাবিতে বায়েজিদ বোস্তামী থানা বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এতে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক আলহাজ এরশাদ উল্লাহ।
এসময় মীর হেলাল বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলন সফলতার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে। একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে সকলকে ধারাবাহিক সংগ্রাম বজায় রাখতে হবে। বিএনপি'র নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। দেশনায়ক তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ফ্যাসিস্ট সরকারের ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে। আওয়ামী লীগ ভারতে বসে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার ও গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। তাদের সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় বিএনপির সাথে জনগণ প্রস্তুত রয়েছে।
এরশাদ উল্লাহ বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে দেশে আইন বলে কিছু ছিল না। ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলে এখন সেটা ক্রমান্বয়ে ফিরে আসছে। এই আন্দোলন দমনে শেখ হাসিনা দেশে গণহত্যা চালিয়েছে। যে গণহত্যার ঘটনা ঘটেছে, তা সারা বিশ্বের কাছে ঘৃণিত হয়েছে এবং সারা বিশ্ব এসব ঘটনার প্রতিবাদ করেছে। এখন একটি আন্তর্জাতিক মানের নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে এই গণহত্যার বিচার করতে হবে।
বায়েজিদ থানা বিএনপির সভাপতি আবদুল্লাহ আল হারুনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের জসিমের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দ আজম উদ্দিন, কাজী বেলাল উদ্দিন, সদস্য ইকবাল চৌধুরী, এস এম আবুল ফয়েজ। উপস্থিত ছিলেন পাঁচলাইশ ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি হাজী মো. ইলিয়াছ, জালালাবাদ ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো, বেলাল, পাঁচলাইশ ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এস এম আবুল কালাম আবু, জালালাবাদ ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মামুন আলম প্রমুখ।