ছাত্র-জনতার আন্দোলনের কল্যাণে সাধারণ মানুষ এখন সত্যিকারের বিজয়ের সুফল ভোগ করছে বলে মন্তব্য করেছেন উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ন আহ্বায়ক সরোয়ার আলমগীর।
বুধবার (১৪ আগস্ট) বিকেলে ফটিকছড়িতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সমাজের স্থানীয় সমন্বয়কদের সঙ্গে মতবিনিময় কালে এই মন্তব্য করেন তিনি।
সরোয়ার আলমগীর বলেন, ডান-বাম সহ সর্বস্তরের ছাত্র জনতাকে একই ছাতার নিচে এনে আপনারা যে বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছেন, আপনাদের বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ, যারা শহীদ হয়েছেন তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। যেদিন স্বৈরাচারের পতন ঘটেছে, সেদিনই নেতাকর্মীদের আমরা বলে দিয়েছি কেউ কোনো অপকর্মে জড়িত হলেই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে, ইতিমধ্যে অনেককেই বহিষ্কার করা হয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ থেকে শুরু করে পরবর্তী সকল আন্দোলন-সংগ্রামের নেতৃত্বে ছিল ছাত্ররা।
সরকার পতনের পর দেশের বিভিন্ন থানা ও পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা হলেও ফটিকছড়ির দুই থানা নিরাপদ ও অক্ষত ছিল জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা যারা রাজনীতি করি, আমাদের পিছুটান আছে। কিন্তু ছাত্ররা অদম্য, তাদের কোনো পিছুটান নেই। আপনাদের কারণে আমরা এই বিজয়ের স্বাদ গ্রহণ করতে পারছি। এই বিজয় রক্ষা করতে হবে আমাদের। লুটপাট, চাঁদাবাজিসহ সব ধরনের অপকর্মের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। একটা ভালো দিক হলো, আমাদের ফটিকছড়ি আর ভুজপুর থানা পুরোপুরি নিরাপদ ছিল। কোনো অস্ত্রও লুট হয়নি, কোনো ক্ষয়ক্ষতিও হয়নি। এটা সম্ভব হয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সমাজ আর আপামর জনতার কারণে। ন্যায়ের আন্দোলনের পক্ষে আগেও ছিলাম, এখনও আছি, ভবিষ্যতেও থাকব ইনশাআল্লাহ।
তিনি আরও বলেন, সংখ্যালঘুদের উপাসনালয় আর স্থাপনায় যে হামলার কথা বলা হচ্ছে, সেসব বহির্বিশ্বকে দেখানোর জন্য পরাশক্তিরাই করছে। কিন্তু তারা যেন সফল না হয় সেজন্য আমরা মন্দিরসহ সব ধরনের উপাসনালয়ে পাহারা বসিয়েছি।
এসময় ফটিকছড়ি পৌরসভা বিএনপির আহ্বায়ক মোবারক হোসেন কাঞ্চন, স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্রসমাজের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।