ইসলামী আইনজীবী পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি অ্যাডভোকেট শেখ লুৎফুর রহমান, সেক্রেটারী জেনারেল অ্যাডভোকেট মশিউর রহমান এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেছেন, দুই কেন্দ্রীয় নেতার বিরুদ্ধে ম্যিথা অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্ব) এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে, কতিপয় স্বার্থান্বেষী অপপ্রচারকারী পীর সাহেব চরমোনাইর নেতৃত্বাধীন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সহযোগী সংগঠন ‘ইসলামী আইনজীবী পরিষদ’-এর দুইজন কেন্দ্রীয় সদস্য যারা বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের (হাইকোর্ট বিভাগের) সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল (এএজি) হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন, তাদেরকে নিয়ে বিভিন্ন প্রকারের অপপ্রচারে লিপ্ত।
ইসলামী আইনজীবী পরিষদের ২০২৩-২৪ সেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক, অ্যাডভোকেট মো. জমারত আলী, মহামান্য হাইকোর্টের (এএজি) পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হলে তাকে স্বৈরাচারের দোসর হিসেবে চিহ্নিত করার ব্যর্থ চেষ্টা করছেন। অথচ অ্যাডভোকেট মো. জমারত আলী, রাজনীতির প্রথম জীবনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমিরের পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনে শৈলকুপা উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক, ঝিনাইদহ জেলা শাখার সহ-সাধারণ সম্পাদক এবং ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন।
তারা বলেন, একইভাবে অ্যাডভোকেট বিল্লাল আহমেদ মজুমদার ২০২০ সালে চরমোনাই পীর সাহেব হুজুরের হাতে বায়াত গ্রহণ করেন এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সদস্য ফরম পূরণ করে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান করেন। একই বছরে ইসলামী আইনজীবী পরিষদেরও সদস্য ফরম পূরণ করে সদস্য পদ গ্রহণ করেন। এর পাশাপাশি তিনি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার আইন ও মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। সেই সঙ্গে ২০২৩-২০২৪ সেশনে ইসলামী আইনজীবী পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক এবং ঢাকা বারের ইসলামী আইনজীবী পরিষদের সহ-সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালনরত আছেন। উভয়ই নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
উল্লেখ্য, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার পতনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ‘ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ’ ও এর সকল সহযোগী সংগঠন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে যা দেশের জাতীয় প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ায় গুরুত্বের সঙ্গে প্রচার করে। সদ্য নিয়োগপ্রাপ্তরাও (এএজি) স্বৈরাচার আওয়ামী সরকার পতনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজপথে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। আমরা ইসলামী আইনজীবী পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে এমন অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।