কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে চরমোনাই পীর ঘোষিত ৯ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকালে কটিয়াদী বাসস্ট্যান্ডে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে এই সমাবেশ হয়৷
সভায় চরমোনাই পীর ঘোষিত ৯ দফা দাবি বাস্তবায়ন ও ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে গণহত্যার বিচার, দুর্নীতিবাজদের অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত, তাদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা, সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচনের দাবি জানিয়ে জেলা ও উপজেলা নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন৷
উপজেলা শাখা ইসলামী আন্দোলনের সভাপতি মুফতি মো. বরকত হোসাইন এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আব্দুল কাদির বকুলের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জ জেলা সভাপতি প্রভাষক হাফেজ মাওলানা আলমগীর হোসেন তালুকদার, জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম, জেলা সহ- অর্থ সম্পাদক মাওলানা ইমদাদুল্লাহ মাহবুব, জেলা ইসলামী শ্রমীক আন্দোলনের সভাপতি মুহাম্মদ মুসা খান, জেলা সহ প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা আবু হানিফ, কার্যকরী সদস্য মাওলানা মাহমুদুর রহমান মাহমুদ, কটিয়াদী উপজেলা ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র সহ-সভাপতি মুফতি বায়জিদ। এছাড়াও ইসলামী যুব আন্দোলন, ছাত্র আন্দোলন, ইসলামী শ্রমীক আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
গণসমাবেশে বক্তারা বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ দেশ ও জাতির ক্রান্তিলগ্নে সকল আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয় অংশগ্রহণ করে। দেশের করোনা ইস্যুতে মরদেহ দাফন, রোহিঙ্গা ইস্যু বন্যাকবলিত বিভিন্ন ইস্যুতের ত্রাণ তৎপরতা জুলাই আগস্ট এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে শুরু থেকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এবং তার সকল অঙ্গ সহযোগী সংগঠন বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচার পতনের পর ইসলামী আন্দোলনের পীর সাহেব চরমোনাই দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিচার বিশ্লেষণ করে দেশ সংস্কারের নয় দফা দাবি প্রস্তাব করেন।
সমাবেশে ছাত্র-জনতার গণবিপ্লবে সংঘটিত গণহত্যার বিচার, দুর্নীতিবাজদের গ্রেফতার করে অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত এবং তাদেরকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা, সংখ্যানুপাতিক (PR) পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন, ইহকালীন শান্তি ও পরকালীন মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামী সমাজভিত্তিক কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবি তোলেন।