খালেদা জিয়া কারাবন্দি থাকায় বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকার মৃত্যুতে প্রতিক্রিয়া জানাতে না পারা অত্যন্ত দুঃখের ও কষ্টের বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, তার (খালেদা জিয়া) কাছে আমরা সাদেক হোসেন খোকার মৃত্যুর সংবাদ পৌঁছে দিয়েছি, কিন্তু এই সংবাদ শোনার পর উনার যে প্রতিক্রিয়া ও অনুভূতি তা দিতে পারছেন না। কারণ উনি মিথ্যা মামলায় কারাগারে। এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত দুঃখের, অত্যন্ত কষ্টের। যার নেতৃত্বে সাদেক হোসেন খোকা গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন, লড়াই-সংগ্রাম করেছেন সেই দেশনেত্রী খোকার মৃত্যুতে প্রতিক্রিয়া জানাতে পারছেন না। তিনি তার কষ্ট ও অনুভূতিগুলো বলতে পারছেন না।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর গোপীবাগে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের সর্বশেষ সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার বাসভবনে স্বজনদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাদেক হোসেন খোকার গোপীবাগের বাসায় পৌঁছার পর শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন। এরপর সেখানে সাদেক হোসেন খোকার ভাই আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে শোকাবহ পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা দেন।
সাদেক হোসেন খোকার কথা বলতে গিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, সাদেক হোসেন খোকার পুরো রাজনৈতিক জীবনটা অনেক বর্ণাঢ্য ও সফল। বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকায় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে একজনের কাছেই পরাজিত হয়েছিলেন, এই সাদেক হোসেন খোকার কাছে।
তিনি বলেন, সাদেক হোসেন খোকার প্রতি সকলের ভালোবাসা আছে, মমত্ববোধ আছে। তার প্রতি সবাই শ্রদ্ধাশীল। আমরা সাদেক হোসেন খোকাকে যেভাবে চিনি, তিনি মূলত; একজন অকুতোভয় মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন এবং একই সঙ্গে গণতন্ত্রের সংগ্রামী ও লড়াকু সৈনিক। গণতন্ত্রের জন্য তিনি তার শরীরের রক্ত ঝরিয়েছেন, জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তিনি গণতন্ত্রের জন্য কথা বলেছেন। গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করতে গিয়েই তিনি ঠিকমতো তার চিকিৎসা করাতে পারেননি। কারণ গণতন্ত্রের লড়াই করার জন্য তাকে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে, মিথ্যা মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে। এই লড়াকু মানুষটির শূণ্যস্থান পূরণ করা সম্ভব নয়।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাবীব উন নবী খান সোহেল, মহানগর দক্ষিণের নেতা নবী উল্লাহ নবীসহ স্থানীয় বিএনপি নেতারা।