দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের বিস্তার রোধে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনসহ পাঁচ উপ-নির্বাচন আপাতত স্থগিতের দাবি জানিয়েছে বিএনপি। একই সঙ্গে দেশের আদালতসমূহ ‘যতদিন প্রয়োজন’ বন্ধের দাবি জানিয়েছে দলটি।
বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৫টায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির স্থায়ী কমিটির বৈঠক শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব দাবি জানান।
তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের আতঙ্কের কারণে জনগণ ও বিভিন্ন জায়গা থেকে ইতোমধ্যে নির্বাচন বন্ধ করার কথা এসেছে। কিছুক্ষণ আগে নির্বাচন কমিশন বলেছে, ২১ তারিখে যে নির্বাচনগুলো আছে তা হবে ও ২৯ তারিখের নির্বাচনের ব্যাপারে ২১ তারিখ সিদ্ধান্ত নেবে। আমরা এটাকে একেবারেই একটা একপেশে সিদ্ধান্ত বলব।
এ দুর্যোগের সময় কমিশন মানবিক আচরণ করবে কিন্তু তারা সেটা করছেন না। বরং অমানবিক আচরণ করছেন। আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে আহ্বান জানাচ্ছি, কমিশন তাদের সিদ্ধান্তকে প্রত্যাহার করে জনগণের স্বার্থে, মানুষের বেঁচে থাকার স্বার্থে এই নির্বাচনগুলোকে আপাতত স্থগিত রাখবেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের আদালতগুলোতে ব্যাপক সংখ্যক মানুষের ভিড় হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মিথ্যা মামলায় আসামিদের আসতে হয়, হাজিরা দিতে হয়। প্রায় প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ সেখানে উপস্থিত হন। ঢাকায় সবচেয়ে বেশি। অন্যান্যগুলোতে এর সংখ্যা হাজারের কম হবে না। প্রতিদিন হাজার হাজার লোক সেখানে যায়।
তিনি বলেন, আমি রিপোর্টে পেয়েছি ৩০ জন বিচারক ইতোমধ্যে সঙ্গরোধে চলে গেছেন। ৩০ জন বিচারক যদি সঙ্গরোধে যান, সেক্ষেত্রে এটা পরিষ্কার আদালতগুলোতে ভাইরাসের সংক্রামণটা বেশি হচ্ছে। আমরা সেই কারণে আহ্বান জানাচ্ছি আদালতগুলো আপাতত কিছু দিন বন্ধ রাখা প্রয়োজন।
সংবাদ সম্মেলনে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু উপস্থিত ছিলেন।