ব্রাজিল ছাড়লেন মেসিরা, স্থগিত ম্যাচের ভাগ্য ফিফার হাতে

ফুটবল, খেলা

স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম | 2023-08-22 11:43:23

পুরো দুনিয়ার নজর ছিল ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার ম্যাচটিতে। দুই ফুটবল পরাশক্তির লড়াই মাঠেও গড়িয়েছিল। কিন্তু পূর্ণতা পায়নি। পাঁচ মিনিট না যেতেই অতিথি দলের ফুটবলারদের স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘনের কারণে স্থগিত করা হয় লিওনেল মেসি ও নেইমারদের ম্যাচটি।

ম্যাচের আয়োজক ব্রাজিলের স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী, দেশটিতে প্রবেশের ১৪ দিন আগে কেউ ইংল্যান্ডে থাকলে তাকে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হয়। কিন্তু আর্জেন্টিনার চার ফুটবলার সে নিয়ম মানেননি। নিয়ম অনুযায়ী ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে অ্যাস্টন ভিলার হয়ে খেলা এমিলিয়ানো বুয়েন্দিয়া ও এমিলিয়ানো মার্তিনেজ এবং টটেনহ্যাম হটস্পারের হয়ে খেলা জিওভানি লো সেলসো ও ক্রিস্টিয়ান রোমেরো ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনের শর্ত পূরণ করেননি।

স্বাস্থ্যবিধি না মেনে ম্যাচ খেলতে মাঠেই নেমে পড়েন তাদের তিনজন। মার্তিনেজ, লো সেলসো ও রোমেরো। ব্যাপারটা নজরে আসতেই মাঠে ঢুকে পড়েন ব্রাজিলিয়ান স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। খেলাই বন্ধ করে দেন তারা। অনেক নাটকের পর ম্যাচ রেফারি ম্যাচটি স্থগিত দেন। খবরটি নিশ্চিত করেছে দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবলের অভিভাবক সংস্থা কনমেবল।

আর্জেন্টিনার চার ফুটবলারের স্বাস্থ্যবিধি ভাঙার অভিযোগ নিয়ে তদন্ত শুরু হয় আগেই। ব্রাজিলিয়ান স্বাস্থ্য কর্তারা ম্যাচ শুরুর আগেই আর্জেন্টিনার টিম হোটেলে গিয়েছিল। কিন্তু ততক্ষণে দল চলে আসে মাঠে। খেলাও শুরু হয়ে যায়।

ব্রাজিলের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা মাঠে যান বুয়েন্দিয়া, মার্তিনেজ, লো সেলসো ও রোমেরোকে আটক করে দেশে পাঠাতে। তাদের বাধা পেয়ে আর্জেন্টিনার ফুটবলাররা চলে যান ড্রেসিংরুমে। আরও কয়েক ঘণ্টা ব্রাজিলে থাকতে আটক হয়ে যেতেন ওই চার ফুটবলার। কেবল লিওনেল মেসি টানেল ও মাঠে এসে সবার সঙ্গে অদ্ভুদ এ কাণ্ড নিয়ে আলোচনা করেন। তবে ঝামেলা এড়াতে দেশে ফিরে গেছেন আর্জেন্টাইন ফুটবলাররা। তাদের চোখ এবার বলিভিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের প্রস্তুতিতে।

ব্রাজিলের ফুটবলাররা মনে প্রাণেই চেয়েছিলেন আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ম্যাচটি খেলতে। তবে স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের বাধায় শেষ পর্যন্ত সেটা সম্ভব হয়নি। অনাকাঙ্ক্ষিত এ ঘটনায় অবাক ব্রাজিলিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনও।

কোনো কারণে ম্যাচটি বাতিল হলে পুরো তিন পয়েন্ট পাবে আর্জেন্টিনা। কনমেবলের একটি নিয়ম বলছে সে কথা। তবে তার আগে ম্যাচের ভাগ্য এখন নির্ভর করছে ফিফার ওপর। বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা কি সিদ্ধান্ত নেয় সেটাই এখন দেখার বিষয়।

এ সম্পর্কিত আরও খবর