ইনার ভ্যালেন্সিয়া। ইকুয়েডরের অধিনায়ক। লাতিন আমেরিকার দলটির ইতিহাসের সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক গোলের মালিক। বিশ্বকাপেও ইকুয়েডরের সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ডও ভ্যালেন্সিয়ার।
ফিফা বিশ্বকাপের ২২তম আসরে উদ্বোধনী ম্যাচে নেমেছিল স্বাগতিক কাতার ও ইকুয়েডর। ম্যাচ জিতেছে অতিথিরা। বিশ্বকাপের ৯২ বছরের রেকর্ড ভেঙে এবারই স্বাগতিক দেশকে হারিয়েছে লাতিন আমেরিকা অঞ্চলের দেশটি।
রোববার (২০ নভেম্বর) আল বাইত স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচে জোড়া গোল করেন ভ্যালেন্সিয়া। ম্যাচ সেরা স্বাভাবিকভাবেই তিনিই।
এই জয়, এই গোলের মাধ্যমে অনেক রেকর্ডের সঙ্গে নিজের নাম যুক্ত করেছেন তুর্কি ক্লাব ফেনারবাখে খেলা ইকুয়েডরের এই অভিজ্ঞ ফরোয়ার্ড ও অধিনায়ক।
দেশের হয়ে বিশ্বকাপের মঞ্চে সবশেষ ৫ গোলের সবকটির মালিক ভ্যালেন্সিয়া।
২০১৮ সালের রাশিয়া বিশ্বকাপে অংশগ্রহণের যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি ইকুয়েডর। এরআগে ২০১৪ সালের ব্রাজিল বিশ্বকাপে ইকুয়েডর বাদ পড়েছিল গ্রুপ পর্ব থেকে। গ্রুপের অন্য দলগুলো ছিল সুইজারল্যান্ড, হন্ডুরাস ও ফ্রান্স।
ব্রাজিল বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে দলের হয়ে একমাত্র গোলটি করেছিলেন ভ্যালেন্সিয়া। ওই ম্যাচে ইকুয়েডর হার মানে ২-১ গোলের ব্যবধানে। পরের ম্যাচে প্রতিপক্ষ ছিল হন্ডুরাস। এই ফরোয়ার্ডের জোড়া গোলে ২-১ গোলে ম্যাচ জিতে লাতিন দলটি। এরপর গ্রুপের শেষ ম্যাচে ফ্রান্সের বিপক্ষে গোল পাননি ভ্যালেন্সিয়া; ম্যাচ শেষ হয় গোলশূন্য ড্রতে।
এই রেকর্ডই কেবল নয়, এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপের ২২টি আসরে উদ্বোধনী ম্যাচে জোড়া করা ফুটবলার হচ্ছেন তিনজন। ব্রাজিলিয়ান তারকা ফুটবলার নেইমার জুনিয়র ও রাশিয়ার ড্যানিশ চেরিশভের পাশে নাম লিখালেন ভ্যালেন্সিয়া।
২০১৪ বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে জোড়া গোল করেন নেইমার। পরের আসরে রাশিয়ার হয়ে সৌদি আরবের বিপক্ষে জোড়া গোল করেন ড্যানিশ চেরিশভ। এবার ভ্যালেন্সিয়ার মাধ্যমে উদ্বোধনী ম্যাচে জোড়া গোলের রেকর্ড হলেও এই রেকর্ড স্বাগতিক দেশের পক্ষে না গিয়ে গেছে সফরকারী দেশের পক্ষেই।
রোববার কাতারের বিপক্ষে ম্যাচের ষোড়শ মিনিটে সফল স্পট-কিকে প্রথম গোলটি করেন ভ্যালেন্সিয়া। বিশ্বকাপ ইতিহাসে এই প্রথম উদ্বোধনী ম্যাচের প্রথম গোলটি আসলো পেনাল্টি থেকে। এর আগে ২১ আসরের কোনো উদ্বোধনী ম্যাচেই প্রথম গোল পেনাল্টি থেকে হয়নি।
পরের গোলটি আসে ম্যাচের ৩১তম মিনিটে। ডান দিক থেকে সতীর্থ ডিফেন্ডার আনহেলো প্রেসিয়াদোর দারুণ ক্রস দূরের পোস্টে পেয়ে লাফিয়ে হেডে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন তিনি।
এছাড়াও ম্যাচের তৃতীয় মিনিটে ভ্যালেন্সিয়ার করা আরেকটি গোল ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারির (ভিএআর) মাধ্যমে অফসাইডের কারণে বাতিল হয়ে যায়।
আন্তর্জাতিক ফুটবলে এখন পর্যন্ত ইনার ভ্যালেন্সিয়া ৭৫ ম্যাচে করেছেন ৩৭ গোল। বিশ্বকাপেও তিনি দলটির সর্বোচ্চ গোলদাতা। বিশ্বকাপে ইকুয়েডরের হয়ে এখন পর্যন্ত তার গোলসংখ্যা ৫; ৩ গোল নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন আগুস্তিন দেলগাদো।