শেষ রক্ষা হলো না বাংলাদেশের। সত্য হলো ফলোঅনের শঙ্কা। প্রথম ইনিংসে ভারতের করা ৪০৪ রানের বিপরীতে ১৫০ রানেই থামে বাংলাদেশের ইনিংস। অর্ধশতক তো দুরের কথা, ৩০ রানের গণ্ডিও পাড়ি দিতে পারেনি কোনো ব্যাটসম্যান। সর্বোচ্চ ২৮ এসেছে মুশফিকুর রহিমের ব্যাটে। ভারতের হয়ে ৫ উইকেট শিকার করেছেন কুলদীপ যাদব।
৮ উইকেটে ১৩৩ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শুরু করে বাংলাদেশ। আগের দিন ৩৩ রানে অপরাজিত থাকা মিরাজ-এবাদতের নবম উইকেট জুটি এইদিন যোগ করে আরো ১১ রান। এবাদত ১৭ করে ফিরে গেলে ভাঙে তাদের ৪৪ রানের জুটি৷ এরপর খালেদ আহমেদকে নিয়ে মাত্র ৬ রান যোগ করেই অলআউট হয় বাংলাদেশ।
এর আগে ভারতের করা ৪০৪ রানের জবাবে প্রথম বলেই ভাঙন ধরে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপে। ইনিংসের প্রথম বলেই শূন্য রানে নাজমুল হোসেন শান্ত ও ৪ রান করে ইয়াসির রাব্বির বিদায় নিলে ৫ রানেই ২ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ। সেখান থেকে লিটন-জাকির মিলে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও সিরাজের বোলিং তোপে তা আর হয়নি, ২০ রান করে জাকির ও ২৪ রান করে লিটন সিরাজের শিকার হন।
ভরসার পাত্র হতে পারেননি সাকিব। সাকিব ফিরেন মাত্র ৩ রান করে। ফলে ৭৫ রানেই ৫ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। মুশফিক-সোহানের চেষ্টাও ব্যর্থ হয়। সোহান ১৬ ও ও ২৮ রান করে মুশফিকও বিদায় নেন কুলদীপের শিকার হয়ে। কোনো রান যোগ না করেই তাইজুল ফিরেন শূন্য রানে। ফলে ১০২ রানেই ৮ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। সেই সাথে ঝেঁকে বসে ফলোঅনের শঙ্কা।
তবে দিনশেষে এবাদতকে সাথে নিয়ে ইনিংসের সব থেকে বড় (৩১) রানের জুটি গড়ে অপরাজিত ছিলেন মিরাজ। ফলোঅন এড়াতে প্রয়োজন ছিল ৭২ রান। কিন্তু তা আর হয়নি।
১৭ রান যোগ করতেই শেষ ২ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এবাদত করেন ১৭ রান, আর মিরাজ আউট হন ২৪ রান করে।
ভারতের কুলদীপ যাদব সর্বোচ্চ ৫ উইকেটটি শিকার করে। ৩ উইকেট নেন মোহাম্মদ সিরাজ।