সিলেট স্ট্রাইকার্সের শনির দশা কাটছেই না! একের পর এক হারে নাস্তানাবুদ মাশরাফি বিন মুর্তজার দল। ঢাকা থেকে দুই হার নিয়ে সিলেটে গিয়েছিল দলটি। ভেবেছিল ঘরের মাঠে যদি ভাগ্য ফেরে। কিন্তু সে আশায় গুঁড়েবালি! নিজেদের আঙ্গিনাতেও ভাগ্য বদল হচ্ছে না। সিলেটে প্রথম ম্যাচে কুমিল্লার কাছে হারের এবার চট্টগ্রামের কাছেও অসহায় আত্মসমর্পণ মাশরাফিদের। বিপিএলে আজ (সোমবার) দিনের প্রথম ম্যাচে চট্টগ্রামের বিপক্ষে ৮ উইকেটে হেরে গেছে তারা।
এবারের আসরে সিলেটে আগের চার ম্যাচেই টসজয়ী অধিনায়করা আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। সিলেটও এখানে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আগে বোলিং করেছিল। কিন্তু প্রতিটি ম্যাচেই হেরেছে রান তাড়া করা দল। এবার তাই টস জিতে আগে প্রতিপক্ষ চট্টগ্রামকে বোলিংয়ে পাঠায়।
কিন্তু ৮ রানের মধ্যেই দুই ওপেনার মিঠুন এবং শান্তকে হারিয়ে সম্ভাব্য সবচেয়ে বাজে শুরুটাই পায় স্বাগতিক সিলেট। তৃতীয় উইকেটে আইরিশ ব্যাটার হ্যারি টেক্টর এবং জাকির হাসান মিলে ৫৭ রানের জুটি গড়ে শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করেন। সাজঘরের পথ ধরার আগে টেক্টর ৪৫ এবং জাকির করেন ৩১ রান। তাদের পরে নেমে জিম্বাবুয়ের রায়ান বার্লও খেলেন ৩৪ রানের ইনিংস।
তবে টি-টোয়েন্টির বিচারে তাদের ইনিংসগুলো ছিল বেশ ধীরগতির। ১০০-১২০ এর মধ্যে ঘুরপাক খেয়েছে তাদের স্ট্রাইকরেট। তাদের মাঝারিমানে ইনিংসগুলোতে উইকেট হাতে থাকলেও দল বড় সংগ্রহ পায়নি। ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৩৭ রান নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় সিলেটকে।
চট্টগ্রামের বাঁহাতি পেসার বিলাল খান নেন সর্বোচ্চ ৩ উইকেট।
রান তাড়ায় নেমে ওপেনার তানজিদ হাসান এবং তিনে নামা নিউজিল্যান্ডের উইকেটকিপার-ব্যাটার টম ব্রুসের ফিফটিতে ১৪ বল হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে গেছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। ৮ উইকেটের বড় জয়ে এখন পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে তারা। ৫ ম্যাচ খেলে ৪ জয়ে তাদের পয়েন্ট ৮।