দেশি-বিদেশি মিলিয়ে সামর্থ্যের বিচারে শক্তিশালী দল নিয়ে আসরটা শুরু করলেও, পারফর্মের বিচারে বেশ পিছিয়েই ছিল ফরচুন বরিশাল। শুরুর চার ম্যাচে কেবল এক জয়ের শেষ চারের রাস্তা সেখান থেকেই বেশ কঠিনই দেখাচ্ছিল। তবে সেই অবস্থান থেকে বেশ ভালোভাবেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে তামিম ইকবালের দল।
সেই ধারা বজায় রেখে আসরের গ্রুপ পর্বের শেষ দিকে নিজেদের দশম ম্যাচে সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে ১৮ রানের পেয়েছে বাংলার ভেনিসের দলটি। এটি সবশেষ ছয় ম্যাচে দলটির পাঁচ জয়। এবং শেষ তিনটির তিনটিতেই।
শনিবার দিনের প্রথম ম্যাচে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বরিশাল। সেখানে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৮৩ রান তোলে তারা।
চ্যালেঞ্জিং এই তাড়া করতে নেমে শুরুতেই তালগোল পাকিয়ে বসে সিলেট। ৯ ওভার ৪ বলে কেবল ৪০ রান তুলেই ৬ উইকেট হারায় তারা। যেখানে বরিশালের হয়ে বল হাতের মূল কারিগর ক্যারিবীয়কাইল মায়ার্স। ব্যাট হাতে সময় উপযোগী পারফর্মের পর বল হাতেও শুরুতে ৩ উইকেট নেন এই অলরাউন্ডার। শেষ পর্যন্ত ৪ ওভার বল করে দেন স্রেফ ১২ রান।
৪০ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ম্যাচে সেখানেই অনেকে সিলেটের হার দেখে ফেলেছিলেন। তবে আরিফুল হক ও বেনি হাওয়েলের শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়া দুর্দান্ত জুটি সব ছাপিয়ে একসময় জয়ের দারুণ সম্ভাবনা তৈরি করেছিল। তবে শুরুর দিকে নিয়মিত বিরতিতে হারানো উইকেট এবং ধীর রান গতির না হলে শেষটায় হয়তো মোড় নিত নাটকীয়তায়। শেষ পর্যন্ত সপ্তম উইকেটে ৫২ বলে ১০৮ রানের জুটি গড়ে এই ডানহাতি ব্যাটার। ৩১ বলে ৫৭ রান করে আরিফুল আউটের পর শেষ ওভারে গড়ায় ম্যাচ। সেখানে দরকার ২৩ রান
তবে শেষে নাটকীয় অবস্থা তৈরি হতে যেয়েও যেন হলোনা। শেষ ওভারের দ্বিতীয় বলে হাওয়েলকে ফেরান সাইফউদ্দিন। এর আগে এই ব্যাটার করেন ৫৩ রান। শেষ ওভারে স্রেফ ৪ রান দিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন সাইফউদ্দিন।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে কিছুটা ছন্দহীন দেখায় বরিশালের ব্যাটারদের। পাওয়ার প্লের মধ্যেই আউট হন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল (১৯) এবং আহমেদ শেহজাদ (১৭)। সৌম্যও (৮) ফিরেছেন দ্রুতই।
তবে মুশফিকের ৫২, মায়ার্সের ৪৮ এবং শেষে মিরাজের ১৫ রানের ক্যামিওতে ১৮৩ রানের ভালো সংগ্রহ পায় তামিম ইকবালের দল।
এই জয়ে ১০ ম্যাচের ছয়টিতে জিতে ১২ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার তিনে নিজেদের জায়গা শক্ত করেছে বরিশাল। ১০ ম্যাচের ৮টিতে জিতে সবার আগে প্লে-অফে উঠেছে রংপুর, নয় ম্যাচের সাতটিতে জিতে রংপুরের পথেই আছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা।
এদিকে কাগজে-কলমের সম্ভাবনাতেও ভাটা দিল সিলেট। ১০ ম্যাচের সাতটিতেই হেরে ধরে রাখল ষষ্ঠ অবস্থান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ফরচুন বরিশাল: ১৮৩/৬ (২০ ওভারে, মায়ার্স ৪৮, মুশফিক ৫২, মিরাজ ১৫*, তানজিম সাকিব ৩/৪৮)
সিলেট স্ট্রাইকার্স: ১৬৫/৮ (২০ ওভারে, আরিফুর ৫৩, হাওয়েল ৫৭, মেয়ার্স ৩/১২)
ফলাফল: ফরচুন বরিশাল ১৮ রানে জয়ী
ম্যাচসেরা: কাইল মায়ার্স