২০২২ আসরেও ফাইনালে উঠেছিল ফরচুন বরিশাল। সেখানে প্রতিপক্ষ ছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। সেখানে ১৫২ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য তাড়ায় ১ রান দূরে থেকে গিয়েছিল সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বাধীন দলটি। বছর দুই পর ফের ফাইনালে বাংলার ভেনিসের দলটি, এবার তামিম ইকবালের হাত ধরে। এখানেও বিপক্ষে টুর্নামেন্টের সবচেয়ে সফল দল কুমিল্লা। এবারেও আগে ব্যাটিং কুমিল্লার। সেখানে লক্ষ্যটা সেই আসর থেকে খানিকটা বেড়ে ১৫৫ রানের।
সেই লক্ষ্য ছাপিয়ে নিজেদের প্রথম শিরোপা জয়ের লড়াইয়ে এবার ব্যাট হাতে নামবে তামিম-মুশফিকরা। এদিকে বরিশালকে আরও একবার থামিয়ে টানা তৃতীয় এবং মোটে পঞ্চম শিরোপা জয়ের সামনে কুমিল্লা।
মিরপুর হোম অব ক্রিকেটে এদিন টসের জয় বরিশালের। সেখানে আগে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৪ রান তুলেছে কুমিল্লা।
এদিকে ব্যাট করতে নেমে ভাগ্যের কয়েনের দুই পিঠই দেখলেন সুনীল নারাইন। ইনিংসের তৃতীয় বলের নিজ দেশের ক্রিকেটার ওবেদ ম্যাককয়ের ক্যাচ মিসে সুযোগ পান এই বাঁহাতি ব্যাটার। পরে এক বল বাদেই সেই ম্যাককয়ের দারুণ এক ক্যাচেই সাজঘরে রাস্তা মাপেন নারাইন।
সেই চাপ অনেকটাই সামলে নিয়েছিলেন আগের ম্যাচের দলের হয়ে রেকর্ড ১৪৩ রানের জুটি গড়া লিটন-হৃদয়। খেলছিলেনও দারুণ ছন্দে। তবে জেমস ফুলারের পরপর দুই ওভারে একদম কার্বন কপির আউটে সাজঘরে ফেরেন দুজনই। চতুর্থ ওভারে অফ স্ট্যাম্পের বাইরে এক বলে হৃদয়ের (১৬) নেওয়া শট ডিপ থার্ডম্যান অঞ্চলে দারুণভাবে লুফে নেন মাহমুদউল্লাহ। পরে পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে ঠিক একইভাবে আউট হন লিটনও (১৬)।
পিচে সেট হয়ে উইকেট হারানো পরেও থাকে চলমান। তবে আশার আলো দেখাচ্ছিলেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। তবে দলীয় ১১৫ রানের মাথায় ফেরেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের বলে বোল্ড হয়ে। তার ব্যাট থেকেই আসে দলীয় সর্বোচ্চ ৩৮ রান।
শেষ দিকে এসে ১৪ বলে ২৭ রানের এক ক্যামিও খেলেন রাসেল। এতে দেড়শ পেরোনো সংগ্রহ পায় লিটন দাসের দল। বরিশালের হয়ে সর্বোচ্চ দুটি উইকেত নেন জেমস ফুলার।