নিজের সঙ্গেই লড়াই আকবর আলির
তিনি বিশ্বকাপ জয়ী দলের অধিনায়ক। বাংলাদেশকে যুব বিশ্বকাপ ট্রফি এনে দিতে নেতৃত্ব দিয়েছেন সামনে থেকে। ২০২০ সালের পর ৪ বছর পেরিয়ে গেল তার অনেক সতীর্থই জাতীয় দলে ঢুকলেও আকবর আলি বাইরে। সুযোগ আসছে না। যদিও ঘরোয়া ক্রিকেটেও নিজেকে সেভাবে প্রমাণ দিতে পারছেন না এই উইকেট কিপার ব্যাটার।
তবে হাল ছাড়ছেন না ২৩ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার। তিনি বিশ্বাস করেন ভালো খেললে একদিন সুযোগ আসবেই। ৩০ ডিসেম্বর শুরু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) একাদশতম আসর। যেখানে তিনি খেলবেন দুর্বার রাজশাহী দলে।
আজ শুক্রবার আকবর আলি মুখোমুখি হলেন গণমাধ্যমের। যেখানে জানালেন ভাল খেলে আসতে চান জাতীয় দলে। এমন কী বিপিএলে রাজশাহীকে নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ আসলে সেটি গ্রহণ করবেন কীনা তাও জানালেন তিনি। সেই সংবাদ সম্মেলনে আকবর যা বললেন তার কিছু অংশ তুলে ধরা হলো বার্তা২৪.কম-এর পাঠকদের জন্য-
এবারের বিপিএলে রাজশাহী চ্যাম্পিয়ন হতে পারবে?
দেখুন, আপনি যখন একটা দলে খেলবেন, সেই দলটা নিয়ে আপনাকে সর্বোচ্চ পর্যায়ের আশাবাদী হতে হবে। আমরাও আমাদের দল নিয়ে আশাবাদী। আমাদেরও যথেষ্ট ভালো দল আছে। আমরা যদি নিজেদের পটেনশিয়াল অনুযায়ী খেলতে পারি, যেকোনো দিন যেকোনো দলকে হারাতে পারি। টি-টোয়েন্টি এমন একটা খেলা, যেখানে আপনি কাগজে-কলমে দল বানিয়ে ফল বের করতে পারবেন না। মাঠের খেলাই আসলে সবকিছু।
আপনি নিজে কত নম্বরে ব্যাট করতে পারলে খুশি হবেন?
আমি ব্যক্তিগতভাবে চিন্তা করলে মনে করি, পাঁচ নম্বর জায়গাটা খুব ভালো হবে। চার বা পাঁচ নম্বর। এর নিচে না। তবে দিন শেষে দল আমাকে যেভাবে চিন্তা করবে, সেভাবে খেলতে হবে। ব্যক্তিগত ইচ্ছার কথা নেওয়া হলে চার বা পাঁচ নম্বরে খেলতেই পছন্দ করব।
বিপিএল রাজশাহীর অধিনায়কত্ব দেওয়া হলে কী করবেন?
এটা ভাবতে হবে। ম্যানেজমেন্ট থেকে প্রস্তাব এলে আমি অবশ্যই ভেবে দেখতে পারি। টিম ম্যানেজমেন্ট কীভাবে সবকিছু চাচ্ছে, এর ওপর এসব নির্ভর করছে।
দলের সঙ্গে পাচ্ছেন এজাজ আহমেদকে। এই পাকিস্তানি এবার রাজশাহীর প্রধান কোচ। তার কাছ থেকে কেমনটা চাইছেন?
বিপিএলে এখানে অনুশীলন করার খুব কম সময় পাওয়া যায়। যে অল্প সময়টাই পাব, ওটাকে সর্বোচ্চ কাজে লাগানোর চেষ্টা করব। তার যে অভিজ্ঞতা, টেকনিক ছিল, চমৎকার একজন ক্রিকেটার ছিলেন। এগুলো নেওয়ার চেষ্টা করব। তিনি যে পরামর্শ গুলো দেবেন, নিজের মধ্যে আনার চেষ্টা করব।
টুর্নামেন্ট এত ব্যস্ত থাকে যে, অনুশীলনের সময় খুব কমই থাকে। একটা বা বড়জোর দুইটা মাঠে সবগুলো দলকে প্রস্তুতি নিতে হয়। তাই সময় বেশি পাওয়া যায় না। এখানে আসলে অল্প সময়ের মধ্যে টেকনিক বদলানো খুব কঠিন। তবে তারা যে কথাগুলো বলেন, সেগুলো নোট নিয়ে পরে অফ সিজনে সেগুলো নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করি।
নিজের ব্যাটিং নিয়ে বিশেষ কাজ করেছেন কি?
এইচপি ক্যাম্প যেটা ছিল, এখানে আমি সাদা বলে বেশি মনোযোগ দিয়েছি। রাজিন স্যারের সঙ্গে কাজ করা হয়েছিল। সোহেল স্যারের সঙ্গেও প্রায়ই কাজ করা হয়। তো এইচপিতে সাদা বলেই আমার মূল মনোযোগ ছিল।
জাতীয় দলে কিপার হিসেবে জায়গা করে নেওয়াটা বেশ কঠিনই হচ্ছে আপনার? কিভাবে প্রস্তুত হচ্ছেন?
দেখুন, এক্ষেত্রে আমার মনে হয় না, প্রতিযোগিতাটা অন্য কারও সঙ্গে। আমার মতে, প্রতিযোগিতাটা নিজের সঙ্গে। আমি যদি ভালো করতে পারি, অবশ্যই আমার সুযোগ আসবে আমার।