ফরচুন বরিশালের প্রথম বিপিএল শিরোপা, নেতৃত্বে তামিম ইকবালের প্রথম শিরোপা। তবে খেলোয়াড় হিসেবে এর আগেও একটি শিরোপা জিতেছেন তামিম। ২০১৯ সালের কুমিল্লার হয়ে। তবে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে শিরোপা জেতার অনুভূতিটাই অন্যরকম। গতকাল শিরোপা জয়ের ম্যাচের পর পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তার এই অনুভূতিটাই জানতে চাইলেন অনুষ্ঠানের সঞ্চালক এইচডি অ্যাকারম্যান। তবে সেখানে সবার আগে দলের সতীর্থ এবং একসঙ্গে লম্বা সময় পাড়ি দেওয়া দুই সতীর্থ মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে ডেকে নিলেন তামিম। এবং বরিশালের এই প্রথম শিরোপা উৎসর্গ করলেন দেশের এই দুই তারকা ক্রিকেটারকে।
উৎসর্গ করার কারণ ব্যাখ্যা তামিম প্রথমে বলেন, ‘ট্রফিটা আসলে মুশির।’ জানালেন নেতৃত্বে কতটা সাহায্য পেয়েছেন মুশফিকের কাছ থেকে। ‘মুশি মাঠে অসাধারণ সব কাজ করেছে। ফিল্ডিং সে পরিবর্তন করেছে, আরও অনেকভাবে সাহায্য করেছে। এটাকে আমি মুশির ট্রফি বলব।’
মুশফিকের এই সাহায্যেই ব্যাটিংয়ে বাড়তি মনোযোগ দিতে পেরেছেন তামিম। এবং ফলাফল সবার সামনে। এসব যোগ করে তামিম আরও বলেন, ‘আমি অধিনায়ক ছিলাম বলে মানুষ আমাকেই কৃতিত্ব দেবে। তবে এই ধরনের টুর্নামেন্টে অনেক চাপ থাকে। মুশি আমার চাপ অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছে। তাই নিজের ব্যাটিংয়ে মনোযোগ দিতে পেরেছি। মুশি, মাহমদুউল্লাহ এবং অন্যদের সমর্থন ছাড়া এটা সম্ভব হতো না।’
সতীর্থদের সুনাম ম্যাচ পরবর্তী প্রেস কনফারেন্সেও ছড়িয়েছেন তামিম। সেখানেও একাধিক উত্তরে মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ-মিরাজদের দিয়েছেন কৃতিত্ব। এবং কেনই আলাদাভাবে মুশফিক-মাহমুদউদল্লাহকে করেছেন শিরোপা উৎসর্গ সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছেন। ‘প্রত্যেকটা ট্রফির অনুভূতিই দারুণ। কিন্তু এবার একটু আলাদা চ্যালেঞ্জ ছিল। কারণ আমাদের দলে এমন কয়েকজন ছিল, কিছু তরুণ খেলোয়াড়, মিরাজ বলেন, সৌম্য বলেন, সঙ্গে দুজন সিনিয়র ক্রিকেটার, রিয়াদ ভাই, মুশফিক, তারা দেশকে অনেক দিন ধরে সার্ভিস দিচ্ছেন, কিন্তু এই ট্রফিটা তাদের পাওয়া হয়নি। আমার ভেতরে এই ভাবনাটা ছিল যদি আল্লাহ এই ট্রফিটা আমাদের দেয়, তাহলে এটা আমি তাদের উৎসর্গ করব।’
এই জয়ে তরুণদের কৃতিত্ব দিতেও ভোলেননি তামিম। ‘আমি জানি, মিরাজ, সৌম্য, তাইজুল, তাদের আরও সময় আছে অনেক শিরোপা জেতার। আমি জানি না রিয়াদ ভাই, মুশফিক যেভাবে তারা খেলছে, আরও খেলবে, তবে অন্যদের মতো লম্বা সময় পাবে না, অন্যদের সুযোগটা আরও বেশি। এ কারণেই আপনি যদি দেখেন আমার প্রেজেন্টেশনের সময় আমি ওদেরকে নিয়ে গেছি, কারণ আমি সত্যিই তাদেরকে শিরোপাটা উৎসর্গ করতে চেয়েছিলাম। তারা বেশ কয়েকবার খুব কাছে চলে এসেছিল, কিন্তু জেতা হয়নি। এটা একটা চ্যালেঞ্জ ছিল। তাই আমি বেশ খুশি।’