পূর্ণকালীন অধিনায়কত্ব পাওয়ার পর প্রথম সংবাদ সম্মেলন। সেখানে নাজমুল হোসেন শান্ত এমন কিছু একটা বলেছিলেন, যা তাকে তার পূর্বসূরীদের থেকে আলাদা করে দিল একেবারে। তিনি বললেন, ‘আমরা কখনো বড় কোনো ট্রফি জিতিনি, সে অভাবটা পূরণ করতে চাই…’ ওয়ানডে অনেক দিন ধরেই ভালো খেলে আসছে বলে এই ফরম্যাটেই প্রত্যাশাটা সবচেয়ে বেশি। শান্তও সেদিন আশা দেখেছিলেন এই ফরম্যাটকে ঘিরেই।
তবে সে পথে যে হাঁটবেন, শুরুর পথটা কিন্তু বেশ বন্ধুর। পূর্ণকালীন অধিনায়ক হওয়ার পর প্রথম সিরিজটা হেরেছেন। মোমেন্টামটা এখন বিপক্ষে। ওয়ানডে দলটাও খুব একটা থিতু নয় । তার ওপর সাম্প্রতিক ইতিহাসও তো বিপক্ষে! ওয়ানডে বিশ্বকাপে অষ্টম হয়ে টুর্নামেন্ট শেষ করার স্মৃতি তো একেবারে তরতাজা!
তবে সেসব পেছনে ফেলে সামনে এগোতে প্রস্তুত দল। শান্ত বললেন, ‘সব সময় চ্যালেঞ্জ থাকবে। আন্তর্জাতিক যেকোনো দলের বিপক্ষে খেলার আগে চ্যালেঞ্জ থাক। যেটা বললেন ২০১৫ থেকে ২০২২ পর্যন্ত আমরা খুব ভালো ক্রিকেট খেলেছি। কাজেই একটা বছর খারাপ যেতেই পারে। কিন্তু দল হিসেবে ঘুরে দাঁড়িয়ে এই বছরটা ভালোভাবে ফেরাটা গুরুত্বপূর্ণ। এরজন্য ভালোভাবে প্রস্তুত।’
সেটা করতে হলে বড় শর্তটা হচ্ছে একটা দল হিসেবে খেলা। শান্তও সেটা মানছেন এক বাক্যে। বললেন, ‘সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে দল হিসেবে আমরা খেলছি কিনা। আমরা জিতি কিংবা হারি। নিউজিল্যান্ড সিরিজটা যখন আমরা খেললাম আমরা দল হিসেবে খেলতে চেয়েছি। প্রত্যেকটা ম্যাচ যেকোনো পরিস্থিতিতে জিততে চেয়েছি।’
কাগজে কলমে শান্তর অধিনায়কত্বটা এক বছরের। কিন্তু শান্তর দৃষ্টিটা যে তা ছাড়িয়ে আরও দূরে, সেটা পরিষ্কার হয়ে গেল তার পরের কথায়। তিনি বললেন, ‘পরের বিশ্বকাপ আসা পর্যন্ত এটাই পরিকল্পনা থাকবে যে দল হিসেবে কতটা ভালো খেলছি এবং একজন আরেকজনকে কতটা সমর্থন দিচ্ছি। বিশেষ করে কারো যদি খারাপ সময় যায় ওই খেলোয়াড়কে আমরা কীভাবে ব্যাক করছি। পরের তিন বছরে এটা গুরুত্বপূর্ণ যে আমরা একসঙ্গে কতটা আছি।’