জিতলেই শেষ ষোলো নিশ্চিত। এমন সমীকরণ নিয়ে গত রাতে ফ্রান্স আর নেদারল্যান্ডস মুখোমুখি হয়েছিল। তবে সে ম্যাচে জিতল না কেউ। এবারের ইউরোর প্রথম গোলহীন ড্রয়ে দুই দলেরই শেষ ষোলোর অপেক্ষা বেড়ে গেল আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত।
সুযোগ সবচেয়ে বেশি তৈরি করেছে ফ্রান্সই। কিলিয়ান এমবাপে চোটের কারণে ছিলেন না। আঁতোয়ান গ্রিজমান তার ফাঁকা জায়গাটা পূরণ করতে পারলেন না। একের পর এক মিসের পসরা সাজিয়ে বসেছিলেন তিনি। ওদিকে নেদারল্যান্ডস একবার ফরাসিদের জালে বল জড়িয়েও গোলের দেখা পায়নি।
গত রাতে লাইপজিগ স্টেডিয়ামে ফরাসিরাই ছড়ি ঘুরিয়েছে ডাচদের ওপর। প্রথমার্ধে সুযোগ তৈরি করেছিল কম করে হলেও ৩টি। গ্রিজমান একবার ফাঁকা জালেও বল জড়াতে পারেননি। একাধিকবার ডাচ গোলরক্ষক বার্ট ভেরব্রুখেনও দেয়াল তুলে দাঁড়িয়েছেন। দ্বিতীয়ার্ধেও চলেছে একই দৃশ্য।
তবে এ অর্ধে গোলের সুযোগ পেয়ে গিয়েছিল। জাভি সিমন্স বল জড়ান জালে। কিন্তু তাদের পথ আগলে দাঁড়ায় লাইন্সম্যানের পতাকা। ডিপাইয়ের শটের সময় জাভি ছিলেন অফসাইডে। ভিএআর দেখেও সিদ্ধান্তটা রইল একই। ফলে ড্রই হয় ম্যাচের নিয়তি।
গোলশূন্য এই ড্রয়ের পর ফ্রান্স আর নেদারল্যান্ডস দুই দলই রইল অপেক্ষায়। আগামী মঙ্গলবার নিজেদের শেষ ম্যাচে হার এড়াতে পারলেই দ্বিতীয় রাউন্ডে চলে যাবে দুই দল।