টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জমজমাট এক ফাইনাল দেখার অপেক্ষায় আছে ক্রিকেটবিশ্ব। শিরোপা যেই জিতুক, আজ ফুরাবে দীর্ঘ সময়ের ক্ষণ। এবারই প্রথমবারের মতো দক্ষিণ আফ্রিকা জায়গা করে নিয়েছে বিশ্বকাপের ফাইনালে। অপরদিকে ভারত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসরের শিরোপা জেতার পর আজ ১৭ বছর পর শিরোপা পুনরুদ্ধারের মিশনে নামছে।
রোমাঞ্চকর এই লড়াই দেখতে তাই মুখিয়ে আছেন সাবেক ক্রিকেটাররাও। যাদের মধ্যে প্রোটিয়াদের সাবেক ক্রিকেটার এবি ডি ভিলিয়ার্সও আছেন। তিনি তো ভারতকে হারানোর টোটকাই জানিয়ে দিলেন। তার মতে, রোহিতদের থামাতে ৩০ থেকে ৪০ রানের মধ্যেই ফেরাতে হবে তাদের শুরুর চার ব্যাটারকে।
চলতি আসরে দক্ষিণ আফ্রিকা-ভারতের লড়াইটা যেন চলছে সমানে-সমান। এখন পর্যন্ত আসরে একটি ম্যাচও হারেনি দল দুটি। এতে প্রোটিয়াদের সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ হিসেবে থাকবে রোহিত শর্মার দল। তবে প্রোটিয়াদের সম্ভাবনাও কম দেখছেন না ডি ভিলিয়ার্স। তবে ম্যাচকে সহজ করতে দ্রুতই সাজঘরে ফেরাতে হবে ভারতীয় টপ-অর্ডারদের।
নিজের ইউটিউব চ্যানেলে এক ভিডিওবার্তায় ডি ভিলিয়ার্স বলেন, ‘শুরুতেই রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, সূর্যকুমার ও ঋষভ পান্তকে আউট করতে হবে। ৩০ থেকে ৪০ রানের মধ্যেই ভারতের ৩–৪ উইকেট তুলে নিতে হবে। তবে ভারত যদি ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে ভালো করে, দক্ষিণ আফ্রিকা চাপে পড়ে যাবে। আমার বিশ্বাস প্রোটিয়ারা অতীতের দলগুলোর ভুল থেকে শিক্ষা নিয়েছে। তাই তারা এখন ফাইনালে।’
ফাইনাল ম্যাচটি বার্বাডোজে। এর আগে ত্রিনিদাদে প্রথম সেমিতে আফগানদের ভুগিয়েছিল প্রোটিয়া পেসাররা। এতে বিশ্বকাপের বেশিরভাগ পিচ মন্থর এবং স্পিন সহায়ক থাকলেও বার্বাডোজের কেনসিংটন ওভালে রাবাদা-নর্কিয়া সুবিধা পাবে বলে মনে করেন ডি ভিলিয়ার্স, ‘এই টুর্নামেন্টের বেশির ভাগ উইকেট ফ্ল্যাট, মন্থর এবং পেসারদের জন্য খুব বেশি কিছু নেই। তবে আমি জানতাম, ত্রিনিদাদের উইকেটে নতুন বলে পেসারদের জন্য কিছু সুবিধা থাকবে। এই কথা বার্বাডোজকে নিয়েও বলা যায়। এখানেও ত্রিনিদাদের মতো বল দুদিকে খুব বেশি সুইং করবে না। তবে কিছুটা বাড়তি বাউন্স পাওয়া যাবে। আর এখানেই দক্ষিণ আফ্রিকার সুযোগ আছে।’
১৪ বছরের বর্ণিল ক্রিকেটীয় ক্যারিয়ার শেষে ২০১৮ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলেছেন ডি ভিলিয়ার্স। এর মাঝে প্রোটিয়ারা একাধিকবার সেমিতে উঠলেও ফাইনালে পৌঁছাতে পারেনি একবারও। ফাইনালে খেলার স্বাদ কখনো নেওয়া হয়নি ডি ভিলিয়ার্সের। তবে জাতীয় দল ছাড়ার ৬ বছর পর এইডেম মার্করামের হাত ধরে যখন প্রোটিয়ারা ফাইনালের মঞ্চে, তখন সেই আবেগে পুরো থমকে গিয়েছিলেন তিনি।
‘দক্ষিণ আফ্রিকা দলটি এই প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ ফাইনাল নিশ্চিত করার পর বেশ আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছিলাম। আমার স্ত্রী জিজ্ঞাসা করছিল, কেমন লাগছে? আমি চুপচাপ বসে ছিলাম, স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। এতই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলাম যে আমার চোখে কয়েক ফোঁটা পানিও চলে এসেছিল। খেলোয়াড়দের জন্য অনেক অনেক খুশি লাগছিল।’