‘কোহলি ফর্মটা হয়তো ফাইনালের জন্য জমিয়ে রেখেছে’। ফাইনালের আগে ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে পুরো আসরজুড়ে অফ-ফর্মে থাকা বিরাট কোহলিকে নিয়ে ঠিক এই কথাটাই বলেছিলেন ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা। ফাইনালে কোহলির ছন্দে ফেরার আশায় ছিলেন দলের প্রধান কোচ রাহুল দ্রাবিড়ও। দলের অধিনায়ক ও কোচকে তাই মোটেও হতাশ করলেন না কোহলি। ঠিক ফর্মে ফিরলেন ফাইনালেই। প্রোটিয়া বোলারদের শুরুতে টপ-অর্ডারের বাকি ব্যাটাররা ব্যর্থ হলেও ইনিংসের ১৯তম ওভার পর্যন্ত টিকে ছিলেন কোহলি। শেষ পর্যন্ত এই ডানহাতি তারকা ব্যাটারের ৭৬ ও অক্ষর প্যাটেলের ৪৭ রানের চড়ে ফাইনালে ৭ উইকেটে ১৭৬ রানের বড় সংগ্রহ পেয়েছে ভারত।
সেমি-ফাইনাল পর্যন্ত আসরের ৭ ম্যাচে মিলে ১০.৭১ গড় এবং ১০০ স্ট্রাইক রেটে ৭৫ রান করেছিলেন কোহলি। সেই রান খরা কাটিয়ে ফাইনালে ৫৯ বলে ৬ চার ও ২ ছক্কায় করলেন ৭৬ রান, যা আগের ৭ ম্যাচের রানের চেয়ে ১ বেশি। এতে রোহিতের সেই কথাগুলোও যেন একদিন বাদেই মিলে গেল। আমরা বুঝি সে (কোহলি) কোন মানের ক্রিকেটার। ১৫ বছর ধরে খেললে ফর্ম কোনো সমস্যাই নয়।
কেনসিংটন ওভালে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা বেশ ঝোড়ো পেয়েছিল ভারত। প্রথম ওভারেই স্কোরবোর্ডে ওঠে ১৫ রান। তবে দ্বিতীয় ওভারেই বড় ধাক্কা খায় ভারত। কেশভ মহারাজের জোড়া আঘাতে তিন বলের মধ্যেই সাজঘরে ফেরেন রোহিত ও পান্ত। পরে দলীয় ৩৪ রানের মাথায় চাপ বাড়িয়ে ফেরনে সূর্যকুমার যাদবও।
আসরের ফাইনালে এসে রানে ফেরার দিনে অক্ষর প্যাটেলকে নিয়ে শুরুর সেই চাপ সামলে নেন কোহলি। চতুর্থ উইকেটে গড়েন ৭২ রানের সময় উপযোগী জুটি। সেখানে অক্ষর ৩১ বলে ৪৭ রান করে ফিরলেও ছন্দে এগোতে থাকেন কোহলি। পরে দলীয় ১৬৩ রানের মাথায় ইয়ানসেনের বলে রাবাদার হাতে ক্যাচ এই ডানহাতি ব্যাটার। শেষে ১৬ বলে ২৭ রানের ক্যামিও খেলেন শিবাম দুবে। আর এতেই ১৭৬ রানের বিশ্বকাপের ফাইনালের রেকর্ড সংগ্রহে পৌঁছে যায় ভারত। প্রোটিয়াদের হয়ে সেখানে দুটি করে উইকেট নেন মহারাজ ও নর্কিয়া।
এদিকে ভারতের এই ১৭৬ রানের সংগ্রহ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে করা সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। এর আগে ২০২১ আসরে সর্বোচ্চ ১৭৩ রান করেছিল অজিরা। রান তাড়ার সেই ম্যাচটি ৮ উইকেটে জিতেছিল তারা। এতেই নিজেদের প্রথম শিরোপা জিততে হলে তাই রেকর্ডই গড়তে হবে প্রোটিয়াদের।