মেসির পেনাল্টি মিসের দিনে আর্জেন্টিনাকে সেমিতে নিলেন মার্তিনেজ

ফুটবল, খেলা

স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম | 2024-07-05 10:00:12

মূল ম্যাচ ১-১ ব্যবধানে ড্র হওয়ায় ম্যাচ যাওয়ার কথা ছিল অতিরিক্ত সময়ে। তবে কোপার নতুন নিয়ম অনুযায়ী এবারের আসরে কোয়ার্টার ফাইনালে আর্জেন্টিনা ও ইকুয়েডরের মধ্যকার ম্যাচটি মূল সময় শেষে স্কোরলাইন সমান হওয়ায় ম্যাচ সরাসরি যায় টাইব্রেকারে। সেখানে আরও একবার আর্জেন্টাইনদের ঢাল হয়ে দাঁড়ালেন এমিলিয়ানো মার্তিনেজ। এবং তার দুর্দান্ত দুই সেভেই শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে ৪-২ ব্যবধানে জিতে সেমিতে উঠে যায় আর্জেন্টিনা। 

চোটের কারণে গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে পেরুর বিপক্ষে না খেললেও কোয়ার্টার ফাইনালে ফেরেন টুর্নামেন্টের বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের সবচেয়ে বড় তারকা লিওনেল মেসি। তবে ছিলেন না খুব একটা ছন্দে। মূল ম্যাচেও গোলের তেমন একটা সুযোগ করতে পারেননি। এমনকি সবচেয়ে বড় ভুল করে বসলেন শ্যুটআউটে। প্রথম শট নিতে গিয়েই মিস করে বসেন মেসি। বল ফেরে ক্রসবাড়ে লেগে। তবে কি ফিরতে বসলো ২০১৬? সেবারের কোপার ফাইনালে চিলির বিপক্ষে ম্যাচটি টাইব্রেকারে গেলে সেখানে প্রথম শটটি মিস করে বসেছিলেন মেসি এবং ঠিক এই ৪-২ ব্যবধানেই টাইব্রেকার হেরে শিরোপা হারিয়েছিল আলবিসেলেস্তেরা। 

তবে এবার আর তা হতে দেননি এমিলিয়ানো মার্তিনেজ। ইকুয়েডরের নেওয়া প্রথম দুটি শটই ঠেকিয়ে দেন ৩১ বছর বয়সী এই তারকা গোলরক্ষক। এদিকে মেসির মিসের পর টানা চারটি শটের গোল পায় লিওনেল স্কালোনির দল। এতেই টাইব্রেকার বাঁধা পেরিয়ে শেষ চারের টিকিট কাটল আর্জেন্টিনা। ২০২২ কাতার বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনাল ও

হিউস্টনের এনআরজি স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় আজ (শুক্রবার) সকালে আসরের প্রথম কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে আর্জেন্টাইনদের শুরু থেকেই বেশ চাপে রাখে ইকুয়েডর। ম্যাচের প্রথম ২৫ মিনিটে লক্ষ্যে তো দূরে থাক, কোনো শটই নিতে পারেনি লাওতারো-মেসিরা। তবে ম্যাচের ৩৫তম মিনিটে এসে সেই ডেডলক ভাঙে লিসান্দ্র মার্তিনেজ। মেসির নেওয়া কর্নার কিক থেকে অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার হয়ে বল যায় লিসান্দ্রোর কাছে। সেই বলটাই শেষমেশ জালে জড়ান ২৬ বছর বয়সী এই সেন্টার-ব্যাক। সেই ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকেই পরে বিরতিতে যায় দল দুটি। 

এদিকে ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই সমতায় ফেরানোর দারুণ এক সুযোগ পেয়েছিল ইকুয়েডর। ম্যাচের ৬২তম মিনিটে কর্নার পেয়েছিল ইকুয়েডর। তবে সেটা ঠেকাতে গিয়ে অনিচ্ছাকৃতভাবেই বল লাগে রদ্রিগো ডি পলের হাতে। সঙ্গেই রেফারিরি পেনাল্টির বাঁশি। সে পেনাল্টিটা নিতে আসেন অভিজ্ঞ এনার ভ্যালেন্সিয়া। এমিলিয়ানোকে তিনি ধোঁকাটা দিয়েই দিয়েছিলেন, তবে বারপোস্টকে দিতে পারেননি ফাঁকি। বলটা বারপোস্টে লেগে ফিরে আসে। আর এতেই সেই যাত্রায় লিড ধরে রাখে মেসিরা। 

তবে সেই লিড ম্যাচের একদম শেষ মুহূর্তে যোগ করা সময়ে গিয়ে আর ধরে রাখতে পারেনি আর্জেন্টিনা। যোগ করা সময়ে ৯০+১তম মিনিটে ডান পাশ থেকে ক্রস করেন জন ইয়েবোয়াহ। সে বলটায় মাথা ছুঁইয়ে দেন বদলি খেলোয়াড় কেভিন রদ্রিগেজ। দীর্ঘ ভিএআর পরীক্ষার পর গোলটা দেন রেফারি। নাটকীয়ভাবে ম্যাচটা সমতায় নিয়ে আসে ইকুয়েডর। 

পরে কোপার নিয়ম অনুযায়ী ম্যাচ যায় সরাসরি টাইব্রেকারে। সেখানে আরও একবার দক্ষতার প্রমাণ দিয়ে আকাশী-সাদাদের সেমিতে তোলেন এমিলিয়ানো। 

এ সম্পর্কিত আরও খবর