ব্যাটিং ব্যর্থতায় ইংল্যান্ডকে হারানো হলো না নিগারদের
শারজার উইকেট যে এমনকিছু হবে সেটা জানা ছিল উভয় দলের। আর তাই একাদশে স্পিনার ভারি করে নামে বাংলাদেশ ও ইংল্যান্ড। স্পিনারদের সেই লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত জিতলো ইংল্যান্ড। ইংলিশদের ১১৮ রানের জবাবে বাংলাদেশ ইনিংস গুটিয়ে যায় ৯৭ রানে। ২১ রানের ব্যবধানে শেষ হাসি হাসে ইংল্যান্ড।
টসে জিতে ইংল্যান্ড ব্যাটিংয়ে বেশিদূর যেতে পারেনি। ২০ ওভারে তাদের ইনিংস থামে ৭ উইকেটে ১১৮ রানে। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪০ বলে ৪১ রানের ইনিংস খেলেন ইংলিশ ওপেনার ড্যানি ইয়াট হজ। পাওয়ার প্লেতে কোনো উইকেট না হারিয়ে ইংল্যান্ড তোলে ৪৭ রান। কিন্তু পাওয়ার প্লে শেষ হতেই টপাটপ বেশ কয়েকটি উইকেট হারায় তারা। দারুণ দক্ষতার সঙ্গে বাংলাদেশের বোলাররা দলকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনে। দুই স্পিনার নাহিদা আক্তার ও ফাহিমা খাতুন দুটি করে উইকেট পান। মিডিয়াম পেসার রিতু মনি আগের ম্যাচের ফর্ম বজায় রাখেন এই ম্যাচেও। আগের ম্যাচে তিন উইকেট শিকার করে ম্যাচ সেরা হয়েছিলেন। এই ম্যাচে ৪ ওভারে ২৪ রানে ২ উইকেট পান তিনি।
জিততে হলে করতে হবে ১১৯ রান। টি- টোয়েন্টিতে এটা বড় কোনো স্কোর নয়। তবে শারজার স্পিন সহায়ক উইকেটে এই রানই যে ১৬০ এর সমান! রান তাড়ায় নামা বাংলাদেশের শুরুটা ভালো হয়নি। দুই ওপেনার সাথী রানী ও দিলারা আক্তার সিঙ্গেল ডিজিটেই আউট। ৪.১ ওভারে ১৭ রানে দুই ওপেনারকে হারিয়ে বিপদে পড়ে বাংলাদেশ দল। কিন্তু তৃতীয় উইকেট জুটিতে অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি ও সোভহানা মুস্তারি দলকে সামনে এগিয়ে নেন। দুজনেই যেভাবে খেলছিলেন তাতে মনে হচ্ছিল জয়ের সুবাস পাচ্ছে বাংলাদেশ।
শেষ ১০ ওভারে ম্যাচ জিততে বাংলাদেশের প্রয়োজন দাড়ায় ৭৭ রান। হাতে জমা ৮ উইকেট। খুব কি কঠিন কোনো কাজ? কাজটা আসলেই কঠিন হয়ে যায় ড্রিঙ্কস ব্রেকের পর। ঝুঁকিপূর্ণভাবে দ্বিতীয় রান নিতে গিয়ে রানআউটের ফাঁদে পড়েন নিগার সুলতানা জ্যোতি। ২০ বলে শেষ হয় তার ১৫ রানের ইনিংস। স্বর্ণা আক্তার ক্রস ব্যাটে খেলতে গিয়ে সারাহর স্পিনে বোল্ড হন। এই দুটো উইকেট পতনের পর বাংলাদেশের ইনিংসের গতি ধীর হয়ে আসে। শেষের দিকে মুস্তারি দ্রুত গতিতে রান তোলার চেষ্টা চালান। কিন্তু বলের চেয়ে রানের ব্যবধান কমিয়ে আনতে পারেনি বাংলাদেশ।
শেষ ৩০ বলে ম্যাচ জেতার জন্য প্রয়োজন দাড়ায় ৪৯ রানের। শেষের ওভারে সেই হিসেব দাড়ায় ২৮ রানের। বিশাল চ্যালেঞ্জ জিততে পারেনি বাংলাদেশ। চলতি নারী বিশ্বকাপে এটি বাংলাদেশের প্রথম হার। স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচে ১৬ রানে জিতে ভালো ভাবেই পাস করেছিল বাংলাদেশ দল। কিন্তু পরের ম্যাচেই ‘ইংলিশ পরীক্ষায়’ ফেল!