ক্যারিয়ারের মধ্য গগনে দাঁড়িয়ে তিনি। ঠিকঠাক মতো শেষ করতে পারলে সর্বকালের সেরাদের অন্যতম যে হবেন সেই বাজি ধরাই যায়। নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন বিরাট কোহলি। কিন্তু ২০১৭ সালে আনুশকাকে বিয়ে করতেই পাল্টে যেতে শুরু করে তার দৃষ্টিভঙ্গি। জীবন সঙ্গিনীর কাছ থেকে অনেক কিছুই শিখেছেন। সেই গল্প নতুন করে ফের শোনালেন ভারত অধিনায়ক।
অকপটে ভারতীয় গণমাধ্যমে বিরাট বলছিলেন, 'অনেক কিছু নতুন করে দেখতে শিখিয়েছে। আগে খুব চাপা স্বভাবের ছিলাম। বাস্তববাদীও ছিলাম না আমি। কিন্তু আনুশকাকে জীবনসঙ্গী হিসেবে পেয়ে দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাল। মানুষ হিসেবেও আমাকে বদলে দিয়েছে। একগুঁয়ে ছিলাম- অনেক কিছুই বুঝতাম না। কিন্তু আনুশকা আমাকে বদলে দিয়েছে। ওর কাছে আমি কৃতজ্ঞ।'
তবে ব্যাট হাতে শাসনের পেছনে আছে পরিশ্রমের গল্প। কিভাবে বোলারদের শাসন করেন, সেই গল্পটাও শোনালেন কোহলি। জানাচ্ছিলেন, 'বোলারদের আমি ভালো করে পর্যবেক্ষণ করি। খেয়াল করি ডেলিভারির আগে ওর শরীরী ভাষা কি রকম ছিল! একটা ব্যাপার মাথায় রাখতে হবে- যদি খুব ভয় পেয়ে থাকি তবে এসব কিছুই খেয়াল করতে পারব না। কিছুতেই আউট হওয়া চলবে না। ভয় দূর করতে পারলে সামনে শাসন করা যায়।'
কিপিংও করেছিলেন কোহলি। তাও আবার ধোনির জায়গায়। ২০১৫ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে সেই ম্যাচটা এখনো মনে আছে। ভারত অধিনায়ক যেখানে ভয়ও পেয়েছিলেন।
কোহলি বলছিলেন, 'আমি ধোনির জায়গায়-আমি ওর জায়গায় কিপিং করেছিলাম। ২০১৫ সালে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে একটা ম্যাচে। মাহি ভাই এসে বলে, ‘দু’তিন ওভার একটু কিপিং করে দে।’ আমি কিপিং করেছিলাম। তখন বুঝেছি মাহি ভাইকে কত কি করতে হয়। কিপিং করার সময় একটু ভয় লাগছিল। ভয় পাচ্ছিলাম- আমার নাকে না বল লেগে যায়। মনে হচ্ছিল হেলমেট পরে ফেলি। কিন্তু তার পরে ভাবলাম- এটি খুব লজ্জার হয়ে যাবে।'