ছয় বোন তিন ভাইয়ের মধ্যে সবার ছোট হওয়াতে খুব মনোযোগ পাননি পরিবারে। তবে লেখাপড়া করতে হবে এটা জানতেন। বাড়িতে পত্রিকা পড়ার একটা চল ছিল। আর সাংবাদিকদের আসা-যাওয়াও ছিল বেশ।
উচ্চমাধ্যমিক শেষ করার পর স্নাতক করার সময় থেকেই আগ্রহ জন্মাতে থাকে সাংবাদিকতার প্রতি। উইমেন এন্ড জেন্ডার স্টাডিস-এ স্নাতকোত্তর করার সময় নারী সাংবাদিকদের অবস্থান নিয়ে কাজ করে এই পেশায় আসার আগ্রহ। এরপর কাজের মাঝে ফিল্ম এন্ড মিডিয়ায় দ্বিতীয় মাস্টার্স করেন সাংবাদিকতার পাশাপাশি। সে সময় বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া ‘বক্স ক্যামেরা’ নিয়ে তৈরি করেন একটি ডকুমেন্টারি। পরে সাংবাদিকতা করতে গিয়ে যোগযোগ হয় হিজড়া জনগোষ্ঠীর সাথে। তাদের নিয়ে তৈরি করেন প্রামান্য চিত্র ‘দূরের মানুষ’।
সাংবাদিকতা বিষয়ে নানা কর্মশালা ও প্রশিক্ষণে অংশ নিয়েছেন। এর মধ্যে ওকলাহোমা বিশ্ববিদ্যালয় ও ইউএস স্টেট ডিপার্টমেন্টের আয়োজনে নারী সাংবাদিকদের লিডারশিপ ট্রেনিংয়ে অংশ নেন ওকলাহোমাতে। এছাড়া দেশেও কয়েকটি কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেছেন। এছাড়া ইন্টারন্যাশনাল উইমেন মিডিয়া ফোরাম (আইডাব্লিউএমএফ) আয়োজিত একটি কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করেন ওয়াশিংটন ডিসিতে ২০১১ সালে। সেখানেও আলোচনা হয় বিভিন্ন দেশে নারী সংবাদকর্মীদের অবস্থান, কাজের প্রতিবন্ধকতা ইত্যাদি বিষয়ে। যা আমাদের সাংবাদিকতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। টেলিভিশন সাংবাদিকতার প্রতি আগ্রহ থেকে কিছুদিন কাজ করেছেন এটিএন নিউজ চ্যানেলে। আবার ফিরেছেন প্রিন্ট মিডিয়ায়।
মূলধারার সাংবাদিকতায় নারীরা আরো বেশি করে যুক্ত হবে এবং নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে আরো বেশি নারী উন্নীত হবে এই আশা ছড়াতে কাজ করে যাচ্ছেন বিরামহীন। দৈনিক আমাদের নতুন সময়-এর প্রধান সম্পাদক এবং দৈনিক আমাদের অর্থনীতি-র সম্পাদক নাসিমা খানের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন, বিভাগীয় সম্পাদক-নারীশক্তি, ক্যামেলিয়া আলম
বার্তা২৪: নারীর শক্তি মূলত ক্ষমতায়নের ওপর নির্ভরশীল। আপনি আজ সম্পাদক হিসেবে সেই জায়গায় পৌঁছাতে পেরেছেন। আমার প্রথম প্রশ্ন সাংবাদিকতাকে কেন আপনি বেছে নিলেন?
নাসিমা খান: আমাদের বাড়িতে সবসময় সাংবাদিকদের আসা-যওয়া ছিল। আবার আমি যখন স্নাতক পড়ছি তখন নাঈমুল ইসলাম খান বাংলাদেশ সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট জার্নালিজম এন্ড কমিউনিকেশন (বিসিডিজেসি) নামে একটি প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতেন। সেই প্রতিষ্ঠানের কাজ ছিল সাংবাদিকদের বিভিন্ন কর্মশালা, ট্রেনিং পরিচালনা, সাংবাদিকতা বিষয়ে গবেষণা ইত্যাদি। সেখানে ছাত্রাবস্থায় আমি খণ্ডকালীন স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করতাম। এসব মিলিয়েই আমার আগ্রহটা তৈরি। বিসিডিজেসি থেকে সাংবাদিকতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে বই বের হতো। সেগুলো পড়তাম। আমি কিছু কিছু প্রশিক্ষণ ও কর্মশালায়ও অংশগ্রহণ করেছিলাম। এছাড়া আমি মাস্টার্স করেছি উইমেন এন্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিষয়ে। আমার মাস্টার্সের ডিসারটেশনের বিষয় ছিল সংবাদপত্রে নারীর অবস্থান। ছয়টা বড় পত্রিকা নিয়ে আমি কাজটি করি, কাজটি করতে গিয়েই দেখলাম যে সাংবাদিকতায় নারীদের অংশগ্রহণ প্রায় না থাকার মতোই। কোনো প্রতিষ্ঠানে মাত্র দুইজন নারী কাজ করত। আবার কোনো প্রতিষ্ঠানে কোনো নারী সাংবাদিক ছিলও না। আবার যারা ছিল তারা সংবাদ মাধ্যমে কাজ করলেও মূলধারার সাংবাকিতা করত না, আর শীর্ষ পদে তখন একজন নারীও ছিল না। এই সব মিলেই আমার আগ্রহ বাড়তে লাগল।
এরপরে মাস্টার্স করার পরপরই আমি সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালং সিপিডিতে যোগ দেই। ডায়ালগ এন্ড কমিউনিকেশন সেকশন ওখানেও সাংবাদিকদের নিয়ে কাজ থাকত। সেখানে দেড় বছর কাজ করার পর বিশেষ পারিপারিক প্রয়োজনে কাজটি ছাড়তে হয়। এরপর বিসিডিজেসি; ও পাশাপাশি দৈনিক আমাদের সময়-এর কাজেও হাত দিলাম। তখন থেকেই পুরোপুরি সংবাদপত্রের সাথে যুক্ত হয়ে পড়ি।
বার্তা২৪: যে কোনো পাবলিক সেক্টরে কাজ করতে গিয়ে নারীর জন্য স্বতন্ত্র কিছু প্রতিবন্ধকতা কাজ করে, বিষয়টি নিয়ে আপনার অভিজ্ঞতা কী রকম?
নাসিমা খান: যেহেতু আমি মিডিয়ায় কাজ করি তাই বলি, সাংবাদিক হিসেবে একজন নারী যখন কাজ করতে যায়, তার প্রথম বাধাই থাকে তার পরিবার। আমি সেই বাধা পাইনি, আমি ভাগ্যবান। আমি যখন সাংবাদিকতা করতে যাব বলে মনস্থির করেছি তখন প্রশ্ন আসে নাইট শিফট করার বা বাইরে কাজ করা। আমার চাকরির ইন্টারভিউ বোর্ডেই এই প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছিল যে এই কাজে ছেলে মেয়ের পার্থক্য যেহেতু থাকে না সেক্ষেত্রে আমি নাইট শিফট করতে পারব কিনা? চাকরির ধারা অনুযায়ী নাইট শিফটের কাজ করব। তখন আমার ছোট মেয়ে ছিল সাড়ে আট মাস বয়সের। ব্রেস্ট ফিড করাতে হতো, দেখা যেত রাত সাড়ে ১১টায় তাকে খাইয়ে পরদিন সাতটা পর্যন্ত অফিস করে ফিরে এসে তাকে আবার খাওয়াতে হতো। সেই সময় নাঈমুল ইসলাম খান আমায় সহযোগিতা করেছে, ইন্সপায়ারও করেছে এই বলে যে, একটা নাইট শিফটে কী ধরনের কাজ আছে তা না করলে তো শেখা সম্পূর্ণ হবে না! সেখানে সিইও ছিলেন মঞ্জুরুল ইসলাম এবং হেড অব নিউজে ছিলেন মুন্নী সাহা, তাদের সহযোগতিা সেখানে কাজ করা সব নারীই পেয়েছি। বহু কর্মস্থলে সেই সহযোগতিাটুকু থাকে না। একে আমি মনে করি মেয়ের কাজে অবস্থান তৈরিতে একটি বাধা। কারণ এই সহযোগিতা চাইতে গিয়ে যখন বললাম, পারব না বা নাইট শিফট না করে হয় কিনা। তখন একজন মেয়েকে তার সহকর্মী পুরুষের তুলনায় পিছিয়ে দেয়। অথচ সেখানে মেয়েটির কোনো হাত নেই। কিন্তু তার এই না পারার জায়গাটায় যখন একজন পুরুষ এগিয়ে আসে, তখন নারীর অবস্থান আর সেখানে হয় না। ফলে অবস্থানের দিক থেকে নারীরা পিছিয়ে যায়।
বার্তা২৪: আপনি যখন একজন প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ পদ, এডিটর, হিসেবে আপনার প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছেন, তখন আপনার অধীনে নারীদের আপনি কতটা সহযোগিতা করতে পারেন? কী ধরনের সহযোগিতা?
নাসিমা খান: আমার প্রতিষ্ঠানে আমার যেই সহযোগিতা সেটা হচ্ছে আমার নারী কর্মীটি তার যে কোনো সমস্যা নিয়ে আমার কাছে যে কোনো সময় আসতে পারে, চাইতে পারে। আমি না থাকলে ফোন করতে পারে বা আমাদের প্রধান সম্পাদকের কাছে যেতে পারে। অর্থাৎ কোনো প্রটোকল আমাদের অফিসে নেই, বিশেষ করে মেয়েদের জন্য।
এছাড়া আমার অফিসে প্রতি মাসে নারীদের নিয়ে একটি চা খাওয়ার সেশন হয়, যেখানে নারী কর্মীরা একসাথে বসে অফিসের বা কারো ব্যক্তিগত সমস্যা থাকলে বলে। আবার কী করলে নারীদের জন্য অফিস আরেকটু আরামদায়ক বা স্বচ্ছন্দ হবে, সেসব বিষয়েও আলোচনা করি।
তবে এসময় যেই অভিযোগটা বেশি পাই তা হচ্ছে কিছু পুরুষ কলিগের অসহযোগিতা। আবার কখনো হয়তো ডেস্কে বসে পুরুষ কর্মীটি এমন মন্তব্য করে যেটি একজন নারীর জন্য স্বস্তিদায়ক নয়। আমাদের প্রধান সম্পাদক আমাদের মিটিংয়ে এসব নিয়ে আলোচনা করেন এবং আমরা সেগুলো সমাধানের চেষ্টা করি।
বার্তা২৪: ডিসিসান মেইকার হিসেবে নারীদের অবস্থান কতটা এই সমাজে?
নাসিমা খান: নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে দেশে নারীর সংখ্যা খুবই কম। নেই বললেই চলে। নারীরা শিক্ষায় কিছুটা এগিয়ে, কিন্তু কয়টা নারী আজ শীর্ষ নির্বাহী হিসেবে তার অবস্থান গড়তে পেরেছে? আজ প্রায় ৬৪টা জেলার মধ্যে মাত্র ৮জন নারী, যাদের একজন আবার কিছুদিন আগে ওএসডি হলো। আমাদের প্রধানমন্ত্রী যেমন বলেছেন, নারী এত বেড়েছে যে কিছুদিন পরে আমাদের পুরুষদের কোটা দিতে হবে। কোটায় আসা যে নারী, তারা অধিকাংশই তো অধস্তন। কয়টা নারী শীর্ষপদে আছেন? প্রায় দুশোটি ইংরেজি, বাংলা ও অনলাইন পত্রিকার মাঝে নারী সম্পাদক রয়েছেন মাত্র ছয়জন। সিগনিফিকেন্ট রোল হিসেবে যে নারী আসছে, তাদের কিন্তু বহু কাঠখড় পুড়িয়ে অবস্থান গড়তে হয়েছে। প্রেসক্লাবে প্রথম সেক্রেটারি হিসেবে প্রথম নারী ফরিদা ইয়াসমীন। উনি প্রায়ই দুঃখ করে বলেন, কতটা শ্রম দিয়ে তাকে অবস্থান ধরে রাখতে হচ্ছে। আবার এই জায়গায় আসতেও তাকে প্রচণ্ড কষ্ট করতে হয়েছে। বহু প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে একজন নারীকে আসতে হয়, যেখানে একজন পুরুষকে হয়তো এতটা শ্রম দিতে হয় না।
বার্তা২৪: এবার ব্যক্তিগত এক বিষয় নিয়ে কথা বলি, আমাদের সোসাইটিতে সন্তানের নামের সাথে বাবার নামের পদবিটি যুক্ত হয়, একে আপনি কোন দৃষ্টিতে দেখেন?
নাসিমা খান: একে আমি ট্রাডিশন হিসেবে দেখি। সোশ্যাল কালচারের অংশ হিসেবে। কিন্তু আমি সবচেয়ে অপছন্দ করি যখন বিয়ের পরে মেয়েরা স্বামীর পদবি গ্রহণ করে।
বার্তা২৪: কর্মজীবন ও পারিবারিক জীবনের সঙ্গী হিসেবে নাঈমুল ইসলাম খান কেমন?
নাসিমা খান: প্রথম কথা, জীবন সঙ্গী হিসেবে সাপোর্টটা না দিলে আমার এই জায়গায় আসবার কথা ছিল না। আমি একটা ঘটনা জানাই, আমি যখন মাস্টার্স পরীক্ষা চলার সময় আমার মেয়ের ডেঙ্গু হয়, ওর বয়স সাড়ে সাত মাস। তখন আমি মনে মনে সিদ্ধান্ত নিই যে পরীক্ষা আর দেব না। তখন নাঈম বলল, নাহ, পাস ফেল যা-ই করো, পরীক্ষা দিতে হবে তোমার। ফলে মাস্টার্স পাস করি। এভাবে জীবনে নানা ধাপে তাঁর সহযোগিতা পেয়েছি। আর সাংবাদিকতাতে তো তার হাত ধরেই আসা। আর আমি বলতে চাই, এই সাপোর্ট আসলে একজন নারী বা পুরুষের বহু সময়ে লাগে। পরিবার, ভাইবোন, হাজবেন্ড, কলিগ সবার কাছ থেকেই প্রয়োজন হয়। এই সাপোর্ট ছাড়া আসলে এগিয়ে যাওয়া যায় না।
বার্তা২৪: কাজের ক্ষেত্রে এমন কোনো দুঃখজনক বা বিরক্তির কোনো ঘটনা কি আছে যা আপনি এখনো মনে করলে অস্বস্তিবোধ করেন?
নাসিমা খান: সিপিডি-তে ঘটা একটা ঘটনা আমার এই মুহূর্তে মনে পড়ছে। সেখানে সংলাপগুলো হতো প্রেসক্লাবে বা ... আমরা যখন সেখানে যেতাম আমাদের পুরুষ সহকারী সামনে বসে আমাদের পেছনে মালামালের সাথে বসিয়েছে। তখন প্রথম কাজে যোগ দিয়েছি তাই কিছু বলতে পারিনি। পরে আমি মিটিংয়ে প্রসঙ্গটি বললে আমাদের প্রধান নির্বাহী ড. দেবপ্রিয় আমাদের জন্য আলাদা গাড়ির ব্যবস্থা করেন। এ ঘটনার পর আমার সাথে ওই সহকারী বেশ কিছুদিন কথা বলেনি। এমন আরো অনেক স্মৃতি আছে যা কাজ কবতে গিয়ে পেয়েছি। সেখানে প্রতিবাদ করে হয়তো আমার জায়গাটি আমার নিতে হয়েছে।
বার্তা২৪: সাংবাদিকতার জীবনে কোনো সুখস্মৃতি?
নাসিমা খান: আমি যেদিন ‘দৈনিক অর্থনীতি’র অফিসিয়ালি সম্পাদক হিসেবে যোগদান করি। আমার মনে আছে, আমার বাসায় বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে অনুষ্ঠান চলছিল। এরমাঝে হঠাৎ করেই নিউজটি নাঈমুল ইসলাম খান যখন সবাইকে বলে জানিয়ে আমাকে সারপ্রাইজড করেছিল। আর প্রত্যেকে আমাকে অভিনন্দন জানায়, ভীষণ ভালো লাগার এক স্মৃতি আমার জন্য।
বার্তা২৪: ক্ষমতায়নের শীর্ষে উঠে আসতে পেরেছেন সিড়ির বহু ধাপ পেরিয়ে, প্রথম ধাপে আজ যে মেয়েটি উঠতে যাচ্ছে তাদের জন্য কিছু বলুন।
নাসিমা খান: আমি তো বলব, প্রথমেই শিক্ষার কথা। পড়াশোনার ব্যপারে কখনো কম্প্রোপাইজ না করা। বাধা আসবেই জীবনে এটা সামলে সামনে চলতে হবে। আমার বিয়ে হবে, বেবি হবে, পরিবার, সমাজ, কর্মস্থলে নানা বাধা আসবে, তাকে স্বাভাবিক মনে করে এগিয়ে যাবার ব্যাপারে ডিটারমাইন্ড হতে হবে। আমার কলিগেরা কেউ আমাকে সাপোর্ট করবে, কেউ করবে না, এই বাধাগুলোকে পজিটিভলি সামাল দিয়ে কাজে মনোযোগী হওয়া। বাধাকে শক্তিতে রূপান্তর করা। কনসেনট্রেশন থাকতে হবে আমি করতে পারি এবং আরো কিভাবে নিজের যোগ্যতা দক্ষতা বাড়ানো যায়। নিজের কাজে ফোকাস করা। কে আমাকে করতে দিচ্ছে না, কে কী করছে তা নিয়ে সময় অপচয় না করে এগিয়ে যাওয়ার লক্ষে অবিচল থাকা। তাহলেই কোনো মেয়ে আর পিছিয়ে যাবে না। দেরিতে হলেও মেয়েদের কাজের জন্য সমাজ তৈরি হচ্ছে। এখন নারীদের ছাড়া যে প্রতিষ্ঠান চালানো সম্ভব না সেটা সবাই বুঝতে পারছে।
একটা সময় ছিল প্রেসক্লাবসহ অনেক কর্মক্ষেত্রেই নারীদের জন্য আলাদা টয়লেট ছিল না, এখন প্রায় সব অফিসেই মেয়েদের আলাদা টয়লেট আছে। আবার এখন দাবি উঠছে অফিসে ডে কেয়ার করার। এই ডে কেয়ার তো মেয়েদের জন্যই শুধু না এটা সকল কর্মজীবী নারী ও পুরুষের প্রয়োজন। এখন তা করার বিষয়ে চিন্তা করছে সরকার। কাজ করতে করতে পথ তৈরি হয়েই যায়। তাই কাজকে গুরুত্ব দিয়ে দেখবার মানসিকতা প্রতিটি মেয়ের যেন থাকে। কাজের মাধ্যমেই আসবে স্বাধীনতা আসবে মর্যাদা।