শিক্ষার্থীদের চিন্তা করার সক্ষমতা স্বৈরতন্ত্রের জন্য হুমকি



জাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ/ছবি: বার্তা২৪.কম

অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ/ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

তেল, গ্যাস, খনিজসম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেছেন,‘ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের চিন্তা করার সক্ষমতা স্বৈরতন্ত্রের জন্য হুমকি।’

‘শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের যদি চিন্তা করার সক্ষমতা, প্রশ্ন করার আগ্রহ, সমাজ ও রাষ্ট্র বিষয়ে মনোযোগ বৃদ্ধি পায়, তবে সেটা স্বৈরতন্ত্র, নিপীড়ক, রাষ্ট্র এবং সমাজের প্রভুদের জন্য হুমকি। সে জন্য সরব হতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়কে,’ যোগ করেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে দুইদিনব্যাপী ‘কেমন বিশ্ববিদ্যালয় চাই: উচ্চশিক্ষা, নীতিমালা ও কাঠামো’ শীর্ষক শিক্ষক সম্মেলনের প্রথমদিন তিনি এসব কথা বলেন।

অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘কেমন বিশ্ববিদ্যালয় চাই- এর উত্তর এক কথায় বললে হবে, বর্তমানে যেমন বিশ্ববিদ্যালয় চলছে সে রকম বিশ্ববিদ্যালয় আমরা চাই না। বাংলাদেশে বহু রকমের বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। ঢাকা, জাহাঙ্গীরনগর, চট্টগ্রাম ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৭৩-এর অধ্যাদেশ দ্বারা পরিচালিত হয়। এটা শুধু অধ্যাদেশ নয়, এটা একটা ইতিহাস।’

তিনি আরো বলেন, ‘স্বৈরশাসকরা মানুষকে যেমন ভয় পায়, তার চেয়ে বেশি ভয় পায় বিশ্ববিদ্যালয়কে। আর এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ন্ত্রণ করতে যতো রকম অনিয়ম পদ্ধতি আছে তা প্রয়োগ করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে কেউ যেন প্রতিবাদ করতে না পারে সেজন্য সরকার পুতুল তৈরির একটা প্রকল্প নিয়েছে। রাষ্ট্র চায়, রোবট সোফিয়ার মতো শিক্ষার্থী। তাদের যেভাবে বলা হবে ঠিক সেভাবে চলবে। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষ থেকেই শিক্ষার্থীদের নির্যাতন করে অনুগত করা হয়। আর এখান থেকেই মাস্তান ও মেরুদণ্ডহীন তৈরি হচ্ছে।’

সম্মেলনের প্রথমদিনে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক, অধ্যাপক বখতিয়ার আহমদ, অধ্যাপক তানজিম উদ্দীন খান, অধ্যাপক একেএম শাহনাওয়াজ, অধ্যাপক রায়হান রাইন, অধ্যাপক আইনুন নাহার প্রমুখ।

এছাড়া সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন শুক্রবার (১২ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান সেমিনার কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।

সম্মেলন শেষে আগামী ১৩ এপ্রিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ সম্মেলনে উঠে আসা প্রস্তাব সরকার ও বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) কাছে তুলে ধরা হবে বলে জানান আয়োজকরা।

   

রবীন্দ্রনাথ ও বঙ্গবন্ধুর চিন্তা-ভাবনায় অপূর্ব মিল রয়েছে: ঢাবি উপাচার্য



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেছেন, পৃথিবী যতদিন থাকবে ততদিন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কর্ম, চিন্তা-ভাবনা, আদর্শ ও দর্শন বেঁচে থাকবে। বঙ্গবন্ধু সারাজীবন কৃষক, শ্রমিক ও মেহনতি মানুষের মুক্তির জন্য আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন, আর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কবিতা, গল্প, গান, রচনা, সাহিত্য ও শিল্পকর্মে দরিদ্র কৃষক ও শ্রমিকের মুক্তির গান গেয়েছেন। তাঁরা উভয়ই অসাম্প্রদায়িক চেতনা ধারণ, উগ্রজাতীয়তাবাদ পরিহার এবং আত্মশুদ্ধির পন্থা অবলম্বন করেছেন।

বুধবার (৮ মে) ঢাবির ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে 'সোনার বাংলা স্বপ্ন ও বাস্তবতা: রবীন্দ্রনাথ থেকে বঙ্গবন্ধু' প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এছাড়াও আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ সম্মাননীয় অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আজিজুল হক। রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল আরও বলেন, রবীন্দ্রনাথের চিন্তা-চেতনা দ্বারা প্রভাবিত হয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অসাম্প্রদায়িক চেতনা, গণতান্ত্রিক ও মানবিক মূল্যবোধ, দেশপ্রেম, মাটি ও মানুষের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা নিয়ে সারাজীবন আন্দোলন- সংগ্রাম ও অপরিসীম ত্যাগের মাধ্যমে আমাদেরকে স্বাধীন জাতিরাষ্ট্র উপহার দিয়েছেন।

মানুষকে ভালোবেসে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে ব্রিটিশ সরকার প্রদত্ত নাইটহুট উপাধি ত্যাগ করেছিলেন, ঠিক তেমনি নিজের জন্য খোঁড়া কবরের সামনে দাড়িয়ে পাকিস্তানি শাসকদের সাথে বাঙালির অধিকার প্রতিষ্ঠা ও মুক্তির ব্যাপারে আপোস করেননি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।এভাবেই বঙ্গবন্ধু ও রবীন্দ্রনাথের দর্শন ও চিন্তা-ভাবনায় অপূর্ব মিল রয়েছে।

প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর কবিতা ও সাহিত্য কর্মে সমাজের নানা অসংগতি, কুসংস্কার, বৈষম্য, মানুষের কষ্ট, প্রকৃতি, পরিবেশ, মানবপ্রেমসহ বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেছেন।

বঙ্গবন্ধু ও রবীন্দ্রনাথ উভয়ই উগ্রজাতীয়তাবাদ বিরোধী ছিলেন। তাঁরা উভয়ই বিশ্বাস করতেন উগ্র জাতীয়তাবাদ সমাজে সংঘাত সৃষ্টি করে। অসাম্প্রদায়িক ও মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন সমাজ প্রতিষ্ঠায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চিন্তাভাবনা ও দর্শন সকলের সামনে সবসময় তুলে ধরতে হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

অধ্যাপক ড. সৈয়দ আজিজুল হক মূল প্রবন্ধে বলেন, সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধু ও রবীন্দ্রনাথের ভাবনায় ও কর্মে অনেক মিল ছিল। বাঙালির ন্যায়সংগত অধিকার আদায়ে আত্মশক্তি অর্জনে উভয়ই সোচ্চার ছিলেন। রবীন্দ্রনাথের শ্রেষ্ঠ সৃজনশীল কাজগুলো তৎকালীন পূর্ববঙ্গের গ্রাম্যজীবন ও পদ্মাপাড়ের মানুষের জীবন নিয়ে রচিত।

প্রসঙ্গত, আলোচনা পর্ব শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংগীত বিভাগ ও নৃত্যকলা বিভাগের যৌথ উদ্যোগে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।

;

কুবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন



কুবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৩তম জরুরী সিন্ডিকেট সভায় 'মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে' বিশ্ববিদ্যালয় ও হলসমূহ বন্ধের 'অবৈধ' সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার ও অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে প্রথমে বিক্ষোভ মিছিল ও পরবর্তীতে পাঁচ হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের ব্যানারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

বুধবার (৮ মে) বেলা ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা।

এর আগে সাড়ে ১১টায় তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং অনতিবিলম্বে ক্লাস পরীক্ষা চালুর দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল চত্ত্বর থেকে শুরু হয়ে উপাচার্যের বাসভবন পর্যন্ত যায় এবং সেখান থেকে বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্যের সামনে এসে শেষ হয়।

অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের আবাসিক শিক্ষার্থী সবুজ মিয়া বলেন, 'উপাচার্য স্যার বলেছেন হলসমূহে প্রচুর পরিমাণে অস্ত্র এবং টাকা ঢুকেছে। আমি বলতে চাই, হলগুলোতে বিশুদ্ধ পানি এবং খাবারের অভাব। শিক্ষার্থীরা কী অবস্থায় আছে আপনি একটিবারের জন্য খবর নিয়ে দেখেছেন? আপনার কাছে বিনীত অনুরোধ, যেভাবে জরুরি সিন্ডিকেট সভার মাধ্যমে হল এবং ক্যাম্পাস বন্ধ করেছেন ঠিক একইরূপ ভাবে জরুরি সিন্ডিকেট সভার মাধ্যমে আমাদের হল এবং ক্যাম্পাস চালু করতে হবে। আমাদের দাবি যদি পূরণ না করা হয়, আমরা আরও কঠোর থেকে কঠোরতর হতে বাধ্য হব।'

এ ব্যাপারে শেখ হাসিনা হলের আবাসিক শিক্ষার্থী লাবিবা ইসলাম বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয়ের হল আমার অর্জন, আমি নিজের যোগ্যতায় এখানে থাকতে এসেছি। মাননীয় উপাচার্য যে ভিত্তিহীন বক্তব্য দিয়ে হল এবং বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করেছেন আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। আমরা এর আগেও করোনার কারণে একটা সেশন জটে পরেছি আরেকটা সেশনজটে পরতে চাই না। আমরা চাই শীঘ্রই যেন এই সমস্যার সমাধান হয়। সাধারণ শিক্ষার্থীর নামে যে অপবাদ দিয়েছেন সেটার জন্য উপাচার্যকে আমাদের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।'

উল্লেখ্য, গত ৫ মে (রোববার) আবাসিক হল নিয়ে 'উস্কানিমূলক ও মানহানিকর' মন্তব্যের প্রতিবাদে উপাচার্যকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর চিঠি দেয় শিক্ষার্থীরা। এছাড়া ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে হল ও বিশ্ববিদ্যালয় আনুষ্ঠানিকভাবে খুলে দেওয়ার দাবি করেছিলেন তারা।

;

ঢাবিতে শুরু হচ্ছে আন্ত:বিশ্ববিদ্যালয় হ্যাকাথন প্রতিযোগিতা



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) তৃতীয় বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে 'কোড সামুরাই-২০২৪' শীর্ষক এক আন্ত:বিশ্ববিদ্যালয় হ্যাকাথন প্রতিযোগিতা। আগামী ১০-১১ মে অনুষ্ঠিত হবে এ প্রতিযোগিতা। প্রথম ও দ্বিতীয় পর্বের মাধ্যমে নির্বাচিত দেশের ২৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়রনত সিএসই শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে গঠিত ৪৬টি দল অংশ নেবে।

বুধবার (৮ মে) ঢাবির সিএসই বিভাগ মিলনায়তনে হ্যাকাথন উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল (সিএসই) বিভাগ, বাংলাদেশ জাপান ইনফরমেশন টেকনোলজি (বিজেআইটি) এবং গ্লোবালগিক্স (Globalgeeks) যৌথভাবে এ হ্যাকাথনের আয়োজন করছে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কোড-সামুরাই হ্যাকাথন ২০২৪-এর আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. উপমা কবির। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সিএসই বিভাগের বর্তমান চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এবং বিভাগীয় অধ্যাপক ড. মোঃ মামুনুর রশীদ।

তিনি বলেন, হ্যাকাথন এক ধরনের প্রায়োগিক সমস্যা সমাধানের প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা। হ্যাকাথনে অংশ নেওয়া প্রতিযোগীরা বিভিন্ন ধরনের বৈশ্বিক কিংবা স্থানীয় সমস্যার সফটওয়্যারভিত্তিক সমাধান বের করার সুযোগ পায়। আধুনিক প্রযুক্তি শিল্পের বিকাশ ও মানুষের জীবনধারার উন্নতিতে দারুণভাবে ভূমিকা রাখছে হ্যাকাথন। ইন্টারনেট অব থিংস (আইওটি), কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই), ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (ভিআর) ও রোবোটিক্স-এগুলো এখন প্রযুক্তিনির্ভর সমাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ।

তিনি আরও বলেন, কোড সামুরাই হ্যাকাথনের লক্ষ্য হলো, শিক্ষার্থীদের আসন্ন শিল্প বিপ্লবের টেকনিক্যাল বিষয়গুলোতে জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে তাদেরকে প্রস্তুত করা, যাতে তারা সমাজ ও অর্থনীতিতে আরও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে। এ আয়োজন তাদের ভবিষ্যত ক্যারিয়ারে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।

১০ মে সকাল ৯টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের মিলনায়তনে হ্যাকাথনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে। উক্ত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. লুৎফর রহমান, বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় এর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ। উদ্বোধনের পর দুপুর ১১টায় সিএসই বিভাগের কম্পিউটার ল্যাবরেটরীতে প্রতিযোগিতা শুরু হবে। এছাড়াও উপস্থিত থাকবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের সম্মানিত চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক ও বিভাগীয় সম্মানিত শিক্ষকবৃন্দ। টানা ২৪ ঘণ্টার এ হ্যাকাথন পরের দিন অর্থাৎ শনিবার দুপুর ১১টা পর্যন্ত চলবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের সম্মানিত ডিন ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু।

শনিবার বিকাল ৪টায় নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে হ্যাকাথনের সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বিজয়ীদলের হাতে পুরস্কার তুলে দেবেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ. রহমান। এছাড়া আরও উপস্থিত থাকবেন জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি, জাইকা প্রধান মি. ইচিগুচি তোমোহিদে, JETRO বাংলাদেশ প্রতিনিধি ইয়ুজি আন্দো, পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল আব্দুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী, এনবিপি, বিএসপি, এনডিসি, পিএসসি। সমাপনী অনুষ্ঠানে আরও থাকবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার, ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু, ডীন প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদ এবং অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, চেয়ারম্যান, কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগ। উক্ত সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল।

উল্লেখ্য, প্রতিযোগিতায় সেরা পারফরম্যান্সকারী দলগুলোর জন্য ১০ লাখ টাকার বেশি মূল্যের পুরস্কার জিতে নেওয়ার আকর্ষণীয় সুযোগ রয়েছে। অংশগ্রহণকারী বাকিদের জন্যও থাকছে বিশেষ স্বীকৃতি। পাশাপাশি জাপানে ইন্টার্নশিপ এবং মর্যাদাপূর্ণ আইটি ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ পাবেন যোগ্য প্রতিযোগীরা।

প্রসঙ্গত, প্রতিযোগিতার গত দুইবারের বিজয়ীরা জাপানে ইন্টার্নশিপ করার মাধ্যমে প্রযুক্তিগত দক্ষতা অর্জন করার সুযোগের পাশাপাশি জাপানের সংস্কৃতির সাথের পরিচয় হতে পেরেছে। এছাড়া বিজয়ীরা বর্তমানে দেশের সফটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রিতে অবদান রাখছে।

;

স্থানীয় দোকানির মারধরে রক্তাক্ত চবি শিক্ষার্থী



চবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

স্থানীয় সবজি বিক্রেতাদের হাতে মারধরের শিকার হয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) এক শিক্ষার্থী। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম আনাস মাহদী নামের এক শিক্ষার্থী। তিনি চারুকলা ইনস্টিটিউটের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র।

মঙ্গলবার (৭ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নং গেটের বাজারে সন্ধ্যা ৭ টার দিকে মারধরের এই ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সন্ধ্যা ৭টার দিকে ২ নং ফটকে বাজার করতে আসেন ওই শিক্ষার্থী। সেখানে সবজি বিক্রেতার সাথে তরকারির দরদাম নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে বিষয়টি হাতাহাতি পর্যন্ত গড়ায়। এসময় পাশ থেকে আরোও কয়েকজন স্থানীয় বিক্রেতা এসে ওই শিক্ষার্থীকে মারধর করে বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা। এসময় ভুক্তভোগীর মাথায় মোটা বাঁশ দিয়ে আঘাত করলে মাথা ফেটে রক্তাক্ত হয়ে যায়।

মারধরের শিকার আনাস মাহদী বলেন, আমি বাজার করার জন্য ২ নং গেটে গেছিলাম। সেখানে (রহমানিয়া হোটেলের পাশের) একটি দোকানে সবজি কিনতে গেলে দেখি দোকানে অন্যান্য দোকানদারদের চেয়ে দাম বেশি চায়। আমি তাকে দাম কমানোর জন্য বললে সে আমার সাথে তুই তোকারী শুরু করে। তখন তার সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আমাকে ওই দোকানিসহ আরও চার পাঁচজন মিলে আমাকে মারধর করে। তাদের মধ্য থেকে একজন মোটা বাঁশ দিয়ে আমার আঘাত করে এতে তৎক্ষণাৎ আমার মাথা ফেটে পুরো গেঞ্জি রক্তে ভিজে যায়। সেখানে আমি একা ছিলাম পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন বড় ভাই এসে আমাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে মেডিকেলে নিয়ে আসে।

তিনি আরও আরোও বলেন, পরবর্তীতে চবি মেডিকেলে প্রাথমিক ট্রিটমেন্ট শেষে প্রক্টর স্যার কে জানালে তিনি ঘটনাস্থলে আসেন এবং আমাকে হাটহাজারী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে বলেন। পরে আমি হাটহাজারী থানায় একটি একটি সাধারণ ডায়েরি করছি। প্রশাসনের কাছে আমার সাথে ঘটে যাওয়া এমন ঘটনার বিচার চাচ্ছি।

এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চেয়ে এবং বিশ্ববিদ্যালয়কে বাদী হয়ে মামলা করার দাবি জানায় চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আল আমিন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। ২নং গেটে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থীরায় বাজার করতে যায়। সেখানকার স্থানীয়রা প্রায় শিক্ষার্থীদের সাথে হিস্র আচরণ করে থাকে। তারা আজকে একজন শিক্ষার্থীকে রক্তাক্ত করেছে এর সুষ্ঠু বিচার কামনা করছি আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে। যদি এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার না হয় আর পরবর্তীতে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আরো বড় কিছু তৈরি হয় তাহলে সেটার দায়ভার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকেই নিতে হবে।

এ বিষয়ে চবি মেডিকেলের দায়িত্বরত ডা. আতাউল গনি পারভেজ বলেন, মারধরের ঘটনায় তার (ভুক্তভোগী) মাথা থেকে রক্ত ঝরেছে অনেক। আনাস মাহদীকে তাৎক্ষণিকভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. অহিদুল আলম বলেন, ২ নং ফটকে মারধরের ঘটনা শুনে আমি তাৎক্ষণিক ওই জায়গায় যাই। পরে স্থানীয় দোকানদের সাথে কথা বলে তাকে (ভুক্তভোগী) মেডিকেলে পাঠাই। সে হাটহাজারী থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছে। এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ কর্তৃপক্ষ নেবে।

;