শিক্ষার্থীদের অসন্তোষের মাঝেই শাবিপ্রবির হল বন্ধ



আরাফ আহমদ, শাবিপ্রবি করেসপন্ডেন্ট
শাবিপ্রবি

শাবিপ্রবি

  • Font increase
  • Font Decrease

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) আবাসিক হল বন্ধ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে অসন্তোষ থাকা সত্ত্বেও শুক্রবার (২৪ মে) বিকেলের মধ্যে সকল হল খালি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ঈদের ছুটিতে সনাতন ধর্মসহ অন্যান্য ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীদের থাকার কোনো ব্যবস্থা না করায় অসন্তোষ এবং ক্ষোভ দেখা দিয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে। হল বন্ধ থাকায় মেয়েদেরকে সব চেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে। বিকল্প কোনো থাকার ব্যবস্থা না থাকায় বাধ্য হয়েই ক্যাম্পাস ছাড়তে হয়েছে তাদের।

বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো থেকে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়- ‘গ্রীষ্মকালীন ও পবিত্র ঈদ-উল--ফিতরের ছুটি উপলক্ষে ২৪ মে শুক্রবার বিকেল ৫টার মধ্যে শিক্ষার্থীদেরকে হল ছেড়ে দিতে হবে এবং ১৩ জুন সকাল ৯টার পর তারা হলে প্রবেশ করতে পারবে।’

এছাড়া রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, একই ছুটি উপলক্ষে ১৫ মে থেকে ১৩ জুন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।

হল বন্ধের এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার জন্য দীর্ঘদিন থেকে দাবি জানিয়ে আসছেন শিক্ষার্থীরা। ছুটির দিনে হল খোলা রাখার দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাৎও করেছিল শিক্ষার্থীরা। উপাচার্যের পক্ষ থেকে সন্তোষজনক কোনো আশ্বাস পাননি বলে জানান আবাসিক শিক্ষার্থী মো. তৌহিদুজ্জামান।

এদিকে শিক্ষার্থীদের দাবিকে উপেক্ষা করে হল বন্ধের বিষয়ে অটল রয়েছে শাবিপ্রবি প্রশাসন। শিক্ষার্থীদেরকে হল থেকে বের করে দেওয়ার জন্য বিদ্যুৎ, ইন্টারনেট এবং পানি লাইন বন্ধ করে দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের এক আবাসিক শিক্ষার্থী জানান, শিক্ষার্থীদের হল ছাড়া করতে শুক্রবার সন্ধ্যার পরপরই হলের দু’তলা থেকে পাঁচ তলা পর্যন্ত বিদ্যুৎ ও পানির লাইন বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে হল কর্তৃপক্ষের দাবি পানি ও বিদ্যুৎ সংস্কারের কারণে এসব লাইন বন্ধ করে রাখা হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. এসএম হাসান জাকিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় ‘২৪ মে’র পর থেকে হলে হলে পানির পাম্প স্থাপন, লাইন পরিষ্কার ও ইলেক্ট্রিক এর সংস্কার কাজ করা হবে এবং কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত এসবের সংযোগ বন্ধ থাকবে।’

ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, শাবিপ্রবি’র হল বন্ধের কোনো নিয়ম না থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক বিতর্কিত উপাচার্য অধ্যাপক ড. আমিনুল হক ভূইয়ার মেয়াদের শেষ সময়ে আবাসিক হল বন্ধের রীতি চালু হয়। ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল বন্ধ করার জন্য এবং সংঘর্ষের আশঙ্কা থেকে বেশ কয়েকবার হল বন্ধ করা হয়।

২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসে ছাত্রলীগের সংঘর্ষের ঘটনায় তৎকালীন উপাচার্য হল বন্ধ করলে শিক্ষার্থীরা দিনভর আন্দোলন করে এবং হল ও ক্যাম্পাস খুলে দেওয়ার দাবিতে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরবর্তীতে আন্দোলনের মুখে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন হল খুলে দিতে বাধ্য হয়েছিল। এর পরবর্তীতে প্রতি বছরই ছাত্রলীগের সংঘর্ষের অজুহাত দেখিয়ে হল বন্ধ করে আসছে শাবিপ্রবি প্রশাসন।

এদিকে বেশ কয়েকজন আবাসিক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় এই বছর বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনৈতিক পরিবেশ অনেকটাই শান্ত। আর বিশ্ববিদ্যালয়ের হল বন্ধের রীতি না থাকলেও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কোনো ধরনের কথা না বলে বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সাবেক উপাচার্যের একটি বিতর্কিত অনিয়মকে নিয়ম হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘মাসের শেষের দিকে হঠাৎ করে হল বন্ধ করে দেওয়ায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিপাকে পড়েছে। আমাদের টিউশনি রয়েছে। টিউশনির টাকা দিয়ে অনেকে পড়ালেখা চালায়। তাছাড়া আমার মাস্টার্স পরীক্ষা চলতেছে এবং আমি চাকরির জন্যও প্রস্তুতি নিচ্ছি। এভাবে লম্বা ছুটিতে হল বন্ধ করে দিলে আমাদের পড়ালেখায় সমস্যা হবে। আর আবাসিক শিক্ষার্থীদেরকে হঠাৎ করে বের করে দিলে তারা থাকার জায়গা কোথায় পাবে?’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে মেয়েদের হলের এক শিক্ষার্থী জানান, ‘আমার টিউশনি রয়েছে এবং চাকরির জন্য পড়াশোনা করছি। ৩০ মে’র পর বাড়ি যাওয়ার ইচ্ছা ছিল। এখন অনেকটা বাধ্য হয়েই আমাকে ক্যাম্পাস ছাড়তে হয়েছে।’

আরেক শিক্ষার্থী নিখিলেশ কর বলেন, ‘আমি হলে ভর্তি এবং হলের নিয়মিত একজন শিক্ষার্থী। এই ছুটিতে সনাতন ধর্মাবলম্বী এবং মুসলিম বাদে অন্য ধর্মের শিক্ষার্থীদের থাকার জন্য কোনো ধরনের ব্যবস্থা রাখা হয়নি। বাধ্য করে অন্যান্য ধর্মের লোকদের বাড়িতে পাঠানো হচ্ছে। আমাদের তো ঈদ নেই আমরা কোথায় যাবো?

বিদ্যুৎ ও পানির লাইন বন্ধের বিষয়ে আবাসিক শিক্ষার্থী মো. তৌহিদুজ্জামান ও দ্বীন বন্ধু সরকার বলেন, ‘ছাত্ররা তাদের অধিকার বলে বার বার হলে থাকার দাবি জানালেও প্রশাসনের অনড় সিদ্ধান্ত খুবই অগণতান্ত্রিক এবং সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে যেভাবে বিদ্যুৎ বন্ধ করেছে তা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবিষ্যতের জন্য অশনি সংকেত।’

সাধারণ শিক্ষার্থীরা যখন হল বন্ধে অসন্তুষ্ট তখন রাজনৈতিক চাপের কারণে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হল খোলা রাখার দাবি জানাতে পারছে না বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন ছাত্রলীগের নেতাকর্মী জানান, হল খোলা রাখার জন্য আমরা হল প্রশাসনের সাথে কথা বলতে গেলে গ্রুপের নেতারা হল থেকে নেমে যাওয়ার জন্য চাপ দেন। অনেকটা বাধ্য হয়েই আমরা হল বন্ধের প্রতিবাদ করতে পারি না।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করলে রাজনৈতিক চাপের কথা অস্বীকার করে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রুহুল আমিন বলেন, ‘ছাত্রলীগের সকল নেতাকর্মী সমান। যেকোনো বিষয়ে তারা সবাই হল প্রভোস্ট, প্রক্টরের সঙ্গে কথা বলতে পারে।’

কোন পরিস্থিতির কারণে এই বছর হল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে তা জানতে বেশ কয়েকজন হল প্রভোস্টের সাথে যোগাযোগ করে এই প্রতিবেদক। পরিস্থিতির বিষয়টি খোলাসা করতে রাজি নন হল প্রভোস্টরা। যোগাযোগ করলে সৈয়দ মুজতবা আলী হলের প্রভোস্ট সহযোগী অধ্যাপক ড. আসিফ ইকবাল হল বন্ধের বিষয়ে কোনো ধরনের মন্তব্য করতে রাজি হননি।

এ বিষয়ে শাহপরান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান খান বলেন, ‘আমার একার পক্ষে হল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সিদ্ধান্তের সময় উপাচার্য, প্রক্টর, ছাত্র উপদেষ্টা, হলের প্রভোস্টবৃন্দসহ প্রশাসনের অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এর আগেও আমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে দায়িত্ব পালন করেছি তখন হল খোলা রাখা হত। ঐসময়েও সবার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হল খোলা রাখা হয়েছিল।’

   

গুচ্ছের 'এ' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত কুবি



কুবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামীকাল (২৭ এপ্রিল) গুচ্ছ অধিভুক্ত ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের 'এ' (বিজ্ঞান) ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) কেন্দ্র।

এবছর কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে কুবি ক্যাম্পাসসহ নয়টি উপকেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এসব কেন্দ্রে মোট ১০,১৩৪ জন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন।

উপকেন্দ্রগুলো হলো ক্যান্টনমেন্ট কলেজ, কুমিল্লা সেনানিবাস (বার্ড সংলগ্ন), ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড হাইস্কুল, কুমিল্লা সেনানিবাস (বার্ড সংলগ্ন), সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ (কোটবাড়ি), গভ. ল্যাবরেটরী হাইস্কুল (কোটবাড়ি), বর্ডার গার্ড পাবলিক স্কুল (বিজিবি সদর সপ্তর, কুমিল্লা), টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার (টিটিসি, কোটবাড়ি), কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড সরকারি মডেল কলেজ (শাকতলা, কুমিল্লা) এবং বার্ড হাইস্কুল (কোটবাড়ি)।

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার আহ্বায়ক কমিটি সূত্রে জানা যায়, প্রবেশপত্র ও নির্দেশিত অন্যান্য কাগজপত্রসহ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। কোন ব্যাগ, মোবাইল কিংবা ইলেকট্রনিকস ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করা যাবে না।

এ ব্যাপারে ভর্তি পরীক্ষার আহ্বায়ক ড. মো. সাইফুর রহমান বলেন, 'ভর্তি পরীক্ষায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটির সকল সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্ব থাকবেন। এদিন নিরাপত্তা-শৃঙ্খলা রক্ষায় ক্যাম্পাসে প্রক্টরিয়াল বডি, পুলিশ, আনসার এবং বিএনসিসি, রোভার স্কাউট সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন।' 

তিনি আরো বলেন, ‘ভর্তি পরীক্ষার ফৌজদারি অপরাধ ঠেকাতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেড। অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা এড়াতে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা থাকবেন। গরমে কেউ অসুস্থ হলে চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ মেডিকেল টিম থাকবে।'

সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, অন্যবারের মতোই ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ বাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডসহ সবার সাথে সমন্বয় করে উপাচার্যের নির্দেশ মোতাবেক কাজ করছি। আশা করি অন্যান্যবারের মতো এবারও ভর্তি পরীক্ষার কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে।

প্রসঙ্গত, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছভুক্ত ২৪ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘এ’ (বিজ্ঞান) ইউনিটে সবচেয়ে বেশি আবেদন পড়েছে। এই ইউনিটে মোট ১ লাখ ৭০ হাজার ৫৯৯ জন শিক্ষার্থী আবেদন করে। গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আগামী ৩ মে ‘বি’ (মানবিক) ইউনিট ও ১০ মে ‘সি’ (বাণিজ্য) ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

;

ঢাবিতে জৈব সম্পদ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) প্রাণিবিদ্যা বিভাগ এবং বাংলাদেশ প্রাণিবিজ্ঞান সমিতির যৌথ উদ্যোগে "Transformation of Poverty through Improvement of Health & Innovative Utilization of Bio-Resources" শীর্ষক দিনব্যাপী এক আন্তর্জাতিক দ্বিবার্ষিক সম্মেলন এবং প্রাণিবিজ্ঞান সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন নাহার, এমপি, বাংলাদেশ বন বিভাগের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমির হোসেন চৌধুরী, মৎস অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মো. আলমগীর, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো. মোস্তফা ফিরোজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাণিবিদ্যা বিভাগের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. শেফালী বেগম, মৎসবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রোকনুজ্জামান, বাংলাদেশ প্রাণিবিজ্ঞান সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. হামিদা খানম, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. লোকমান হোসেন, সহ-সভাপতি ড. তপন কুমার দে, এসিআই এগ্রিবিজনেস-এর প্রেসিডেন্ট ড. এফএইচ আনসারী এবং প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিদ মজুমদার বাবু বক্তব্য রাখেন। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আব্দুল হামিদ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার দারিদ্র বিমোচন এবং উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ বিনির্মাণে প্রাণি সম্পদের যথাযথ ব্যবহারের উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, এক্ষেত্রে নতুন নতুন উদ্ভাবনে শিক্ষক, গবেষক, শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্টদের সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। প্রাণি সম্পদে সমৃদ্ধ হওয়ার ক্ষেত্রে প্রাণিকুলের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য এন্টিবায়োটিক ব্যবহারের ক্ষেত্রে সকলকে আরও সচেতন হতে হবে। জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও স্বাস্থ্যসম্মত প্রাণিসম্পদ উৎপাদনের মাধ্যমে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে এই সম্মেলন সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন নাহার বলেন, প্রাণিসম্পদে সমৃদ্ধ হওয়ার মাধ্যমে আমিষের চাহিদা মেটাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার নানা উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে চলেছে। এসব উদ্যোগের ফলে দেশে খাদ্য চাহিদা পূরনের পাশাপাশি মানুষের স্বাস্থ্যগত উন্নতিও ঘটেছে। বন্যপ্রাণির আবাসস্থল ও জীববৈচিত্র সংরক্ষণে আইনের যথাযথ প্রয়োগ ও সরকারের কঠোর অবস্থান তুলে ধরে তিনি বলেন, বন্যপ্রাণি রক্ষায় সকলকে আরও সচেতন হবে।

উল্লেখ্য, সম্মেলনে দেশব্যাপী অনুষ্ঠিত প্রাণিবিজ্ঞান অলিম্পিয়াডের বিজয়ীদের পুরস্কার প্রদান করা হয়। এতে স্নাতক পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী ফায়রুজ হুমায়ারা ইতু এবং রানার্স-আপ হয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী নাফসি মোনতাইননা।

প্রসঙ্গত, এই সম্মেলনে দেশ ও বিদেশের শিক্ষাবিদ, গবেষক, শিক্ষার্থী এবং পেশাজীবীরা অংশগ্রহণ করেন।

;

গুচ্ছের 'এ' ইউনিটের পরিক্ষার জন্য প্রস্তুত জবি



জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গুচ্ছভুক্ত ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের 'এ' (বিজ্ঞান) ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে শনিবার (২৭ এপ্রিল)। পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে আয়োজন করতে সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি)।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও পাঁচটি উপকেন্দ্রসহ মোট ছয়টি কেন্দ্রে 'এ' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বেলা ১২ টায় শুরু হয়ে পরীক্ষা চলবে ১টা পর্যন্ত। পরবর্তীতে আর্কিটেকচার ব্যবহারিক (ড্রয়িং পরীক্ষা) বিকাল সাড়ে ৩ টা থেকে সাড়ে ৪ টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।

যেসব ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী পরীক্ষা কেন্দ্র হিসেবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে নির্ধারণ করেছিল তাদের আসন বিন্যাস জবি ক্যাম্পাস ও এর আওতায় থাকা উপকেন্দ্রগুলোতে সাজানো হয়েছে। উপকেন্দ্রগুলো হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজ, সরকারি বাংলা কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ এবং রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ। এসব কেন্দ্রে মোট পরীক্ষা দিবেন ৫৩ হাজার ৮১৫ জন শিক্ষার্থী।

জবি ক্যাম্পাস জুড়ে থাকবে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এদিন শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষায় ক্যাম্পাসে ৭০ জন পুলিশ, প্রক্টরিয়াল বডি এবং বিএনসিসি, রোভার স্কাউট ও রেঞ্জার ইউনিটের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন। তীব্র গরমে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সেবায় জবি কেন্দ্রের বাইরে ভ্রাম্যমাণ পানি বিতরণের বুথ ও চিকিৎসক থাকবে। পাশাপাশি পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়েও একটি মেডিকেল টিম প্রস্তুত থাকবে কেউ অসুস্থ হলে দ্রুত চিকিৎসা প্রদানের জন্য।

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার আহ্বায়ক কমিটি সূত্রে জানা যায়, প্রবেশপত্র ও নির্দেশিত অন্যান্য কাগজপত্রসহ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। কোন ব্যাগ, মোবাইল কিংবা ইলেকট্রনিকস ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করা যাবে না।

ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে জবি ক্যাম্পাসে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা রোধে প্রত্যেকটি উপ-কেন্দ্রে ইতিমধ্যেই বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে যানজট নিরসনে ভিক্টোরিয়া পার্কের মোড় থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হবে যানবাহন।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে আমাদের সার্বিক প্রস্তুতি চূড়ান্ত পর্যায়ে। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে আমরা কয়েকদফা কথা বলেছি৷ নিরাপত্তা রক্ষার্থে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম বলেন, কেন্দ্রগুলো ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার জন্য ভালোভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে। জবি কেন্দ্রে ১২ হাজার ৫৭৯ জন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৫ হাজার ২৯৬ জন, সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজে ৩ হাজার, সরকারি বাংলা কলেজে ৬ হাজার ৭৪০জন, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজে ৩ হাজার এবং রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজে ৩ হাজার ২০০ জনের আসন বিন্যাস করা হয়েছে।

সার্বিক বিষয়ে জবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেন, ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে আমাদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। কেন্দ্রে নিরাপত্তা রক্ষায় পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল বডি থাকবে।

উল্লেখ্য, ২০২৩-২৩ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছভুক্ত ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের 'এ' (বিজ্ঞান) ইউনিটে সবচেয়ে বেশি আবেদন পড়েছে। এই ইউনিটে মোট ১ লাখ ৭০ হাজার ৫৯৯ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেন। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষ কেন্দ্র ছিলো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আগামী ৩ মে 'বি' (মানবিক) ইউনিট ও ১০ মে 'সি' (বাণিজ্য) ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

;

খাবারের টাকা বাঁচিয়ে ইবি শিক্ষার্থীর বৃক্ষরোপণ



ইবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশব্যাপী চলমান তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি পেতে ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের লক্ষ্যে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) বৃক্ষরোপণের কর্মসূচি গ্রহণ করেছে শাখা ছাত্রলীগ। এরই অংশ হিসেবে ব্যক্তি উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ করে যাচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের কর্মী মেজবাহুল আহমেদ।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকাল এবং গতকাল বিকেলে বঙ্গবন্ধু হলের আঙ্গিনায় এবং হলের চারিপাশে এই বৃক্ষরোপণ করেন তিনি। এসময় তাকে আম, কাঁঠাল, নিম, পেয়ারা, বরই, আমলকীও সুপারিসহ নানা ফলজ ও ঔষধি বৃক্ষরোপণ করতে দেখা যায়।

মেজবাহ জানান, দেশব্যাপী চলমান তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ যে নির্দেশনা প্রদান করেছে তারই অংশ হিসেবে আজকের এই বৃক্ষরোপণ করে যাচ্ছি। আমার লক্ষ্য আগামী আরো কিছুদিন টানা এই কর্মসূচি চলমান রাখবো এবং গাছগুলোর যত্ন করবো। পাশাপাশি আমি অন্যান্য সাধারণ শিক্ষার্থী ও নেতাকর্মীদের আহ্বান করবো যেনো তারাও বৃক্ষ রোপণ করে। কেননা এই তাপপ্রবাহ থেকে নিজেদের বাঁচিয়ে রাখতে বৃক্ষরোপণের বিকল্প নেই।

তিনি আরো বলেন, আমি আমার খাবারের টাকা থেকে কিছু টাকা বাঁচিয়ে এই উদ্যোগ হাতে নিয়েছি। আশা করি আমার দেখাদেখি আরো অনেকেই এগিয়ে আসবে।

এর আগে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ৬টি নির্দেশনা এবং ২০০০ বৃক্ষরোপণের প্রতিশ্রুতি দেন শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত। একইসঙ্গে ব্যক্তি উদ্যোগে সর্বোচ্চ সংখ্যক বৃক্ষ রোপণকারীকে বিশেষ পুরস্কার প্রদান করা হবে বলেও জানিয়েছেনন এই নেতা।

;