ফোবিয়া: ভীতি যেখানে গ্রাস করে সবকিছু



ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল
ফোবিয়া

ফোবিয়া

  • Font increase
  • Font Decrease

ভয় পাওয়ার ব্যাপারটা আমাদের সবার মাঝেই আছে।

পরীক্ষায় খারাপ করা, অফিসে দেরী হয়ে যাওয়া অথবা প্রিয়জনকে হারিয়ে ফেলার ভয়। তবে আজকের বিষয়টি এমন সাধারণ ও সামগ্রিক ভয় নিয়ে নয়। আজকে কথা বলা হবে ফোবিয়া নিয়ে।

কী এই ফোবিয়া?

কোন জিনিস বা বস্তু, সংখ্যা, পশু, স্থান, ঘটনা অথবা যেকোন কিছুর ব্যাপারে অতিরিক্ত ভীতি, বিরক্তিভাব, ঘেন্নাভাব ও অস্বস্তিভাব কাজ করাকেই বলা হচ্ছে ফোবিয়া (Phobia). ফোবিয়ার দরুন যে বিষয়টিতে সমস্যা শুরু হয় তার মুখোমুখি হলে প্যানিক অ্যাটাক কিংবা অ্যাংজাইটি অ্যাটাক দেখা দেয়। সাধারণ অ্যাংজাইটি ডিসঅর্ডারের মতো যেকোন বিষয়ে বিচলিত হয়ে পড়া নয়, ফোবিয়া নির্দিষ্ট একটি বিষয়ের সাথেই জড়িত থাকে এবং সমস্যা তৈরি করে।

কী কারণে ফোবিয়া দেখা দেয়?

জিনগত অথবা আশেপাশের পরিবেশজনিত কারণে ফোবিয়া দেখা দিতে পারে। পরিবারের কোন সদস্যের অ্যাংজাইটি ডিসঅর্ডারের সমস্যা থাকলে, নিজের মাঝেও সেই সমস্যা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এছাড়াও পূর্বের খারাপ অভিজ্ঞতা থেকেও ফোবিয়ার উৎপত্তি হতে পারে।

শারীরিক কোন সমস্যার জন্য মেডিকেশনের মধ্য থাকার ফলেও ফোবিয়া দেখা দিতে পারে। ট্রমাটিক ব্রেইন ইনজুরি কিংবা ডিপ্রেশনের কারণেও অনেক সময় ফোবিয়া দেখা দিয়ে থাকে।

ফোবিয়ার লক্ষণগুলো কী?

ফোবিয়ার ক্ষেত্রে খুব সাধারণ একটি লক্ষণ হচ্ছে প্যানিক অ্যাটাক। এছাড়াও বেশ কিছু লক্ষণ দেখা দেয়।

১. হার্টবিট অনেক বেড়ে যাওয়া।

২. শ্বাসপ্রশ্বাসে সমস্যা হওয়া।

৩. কথা জড়িয়ে যাওয়া বা কথা বলতে সমস্যা হওয়া।

৪. মুখের ভেতরের অংশ শুকিয়ে যাওয়া।

৫. পেটে ব্যথাভাব দেখা দেওয়া।

৬. বমিভাব দেখা দেওয়া।

৭. রক্তচাপ বেড়ে যাওয়া।

৮. হাত-পা কাঁপা।

৯. বুকে টানভাব বা ব্যথাভাব দেখা দেওয়া।

১০. মাথা ঘোরানো।

১১. অনেক বেশি ঘাম হওয়া।

ফোবিয়ার প্রকারভেদ

একশ’র উপরে বিভিন্ন ধরনের ফোবিয়া চিহ্নিত করা হয়েছে এ পর্যন্ত। এর মাঝে সবচেয়ে কমন কয়েকটি ফোবিয়ার বিষয়ে জানানো হলো।

অ্যাগোরাফোবিয়া

কোন স্থান অথবা পরিস্থিতিতে আটকা পড়ে যাওয়ার ভীতিকে বলা হয় অ্যাগোরাফোবিয়া। মূলত যাদের এই ফোবিয়া আছে, তারা মানুষজন ও ভিড়যুক্ত স্থান এবং ঘরের বাইরে উন্মুক্ত স্থানকে ভয় পায়। যাদের দীর্ঘসিন যাবত শারীরিক অসুস্থতা আছে, তাদের মাঝেই সাধারণত এই ফোবিয়াটি দেখা দেয় বেশি।

সোশ্যাল ফোবিয়া

নাম দেখেই বোঝা যাচ্ছে এটা কিসের বা কেমন ফোবিয়া হতে পারে। এই ফোবিয়ায় আক্রান্ত মানুষেরা সামাজিকতা বা অন্য মানুষের সাথে সাধারণ কথাবার্তা বলতেও ভয় পেয়ে থাকেন। কল রিসিভ করা কিংবা রেস্টুরেন্টে কোন খাবার অর্ডার দেওয়াও এদের জন্য কঠিন হয়ে পড়ে।

ক্লস্ট্রোফোবিয়া

বদ্ধ ও ছোট কোন স্থানে থাকার প্রতি ভীতি কাজ করে এই ফোবিয়া থাকার ফলে। এতে করে অনেকেই গাড়ি ও লিফটে চড়তে পারেন না।

হেমোফোবিয়া

শরীরের কোন স্থানে ক্ষতভাব বা রক্তের প্রতি এই ফোবিয়া কাজ করে। নিজের বা অন্যের রক্ত দেখার সাথে সাথেই এই ফোবিয়ায় আক্রান্তরা অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং তাদের প্যানিক অ্যাটাক হয়।

অ্যাক্রোফোবিয়া

এটা হলো উচ্চতাভীতি। উঁচু যেকোন স্থান যেমন পাহাড়, সেতু অথবা উঁচু বিল্ডিং এর থেকেও ভয় দেখা দেয়। এর ফলে ফোবিয়া আক্রান্ত ব্যক্তি যেকোন উঁচু জায়গায় যেতে ভয় পান এবং উঁচু কোন স্থানে গেলে অসুস্থ হয়ে পড়েন।

ডেন্টোফোবিয়া

দাঁতের চিকিৎসা, দাঁতের ডাক্তার এমনকি ডাক্তারের চেম্বার ও জিনিসপত্রের প্রতিও এই ফোবিয়ায় আক্রান্তদের ভীতি কাজ করে। জরুরি ভিত্তিতে দাঁতের চিকিৎসা প্রয়োজন হলেও তারা দাঁতের ডাক্তার দেখাতে চায় না।

ট্রিপোফোবিয়া

ট্রিপোফোবিয়ায় আক্রান্তরা একই স্থানে একসাথে অনেকগুলো গর্ত অথবা উঁচুনিচু জিনিসের দিকে তাকাতে পারে না। এতে করে তাদের অস্বস্তি ও খারাপ লাগা তৈরি হয়।

এছাড়াও মাকড়শা, সাপ, অন্ধকার, ৮ সংখ্যা, সাদা রঙ, ব্যাঙ, বই, হাসি, উচ্চশব্দ, ইঁদুর, একা থাকা, আলো কিংবা খাবার খাওয়াসহ চারপাশের সবকিছুতেই ফোবিয়া দেখা দিতে পারে।

ফোবিয়ার চিকিৎসা কী?

কগনিটিভ বিহাভিয়ারাল থেরাপি (CBT) হলো ফোবিয়ার সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে সবচেয়ে কমন থেরাপিউটিক ট্রিটমেন্ট। এছাড়াও অ্যান্টি-ডিপ্রেসেন্ট ও অ্যান্টি-অ্যাংজাইটি মেডিকেশনও ফোবিয়ার সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।

 

   

তাপপ্রবাহের কারণে হওয়া সাধারণ কিছু সমস্যা



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রচণ্ড তাপদাহে পুড়ছে দেশ। আমাদের দেশে মূলত নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়া থাকে। তবে ক্রমাগত পরিবর্তনশীল জলবায়ুর কারণে গত কয়েক বছরে আবহাওয়ায় বেশ পরিবর্তন এসেছে। এখন গরমে তাপমাত্রা বেশ বাড়তি থাকে। তাই গরমে এখন অসুস্থ হওয়ার ঘটনা বেড়ে গেছে। গরমের কারণে হওয়া সমস্যাগুলোকে অনেকেই গুরুত্ব দেয় না। তারা মনে করেন ঠান্ডা পানি পান করলেই সমাধান হবে। তবে গরমে অসুস্থ হওয়াকে অবহেলা করলে মৃত্যু ঝুঁকিও তৈরি হতে পারে। তাই উপসর্গ দেখার পরই সাবধান হতে হবে।

চিকিৎসক থমাস ওয়াটার্স এই নিয়ে সাবধান হওয়ার জন্য জোর দিয়েছেন। গরমে যে সব সমস্যা বেশিরভাগ মানুষের মধ্যে দেখা যায়, সেগুলো হলো-

১। ফুসকুঁড়ি বা হিট র‍্যাশ

গরমে ঘাম হওয়া খুবই স্বাভাবিক। তাপ অতিরিক্ত বেশি হওয়ার কারণে গরমে ঘাম এবং ঘাম জমেও বেশি। কনুই, হাঁটুর পেছনের অংশ, ঘাড় ইত্যাদি স্থানে ঘাম জমে লাল ছোট ছোট ঘামাচি ও ফুসকুঁড়ি দেখা যায়।


২। হিট ক্র্যাম্পস

গরম আবহাওয়ায় অনেকেই ব্যায়াম বা শারীরিক পরিশ্রম করেন। গরমের মধ্যে পেশিতে চাপ পড়ার কারণে অনেক সময় ব্যথা হতে পারে। একে হিট ক্র্যাম্প হতে পারে। কারণ এমনিতেই গরমে ঘাম বেশি হয়। এরপর যারা অতিরিক্ত পরিশ্রম করেন তাদের শরীর থেকে অতিরিক্ত লবণ এবং তরল বের হয়ে যায়।

৩। ক্লান্তি বা হিট এক্সহসশন

প্রাকৃতিকভাবে মানুষের শরীরে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত রাখার কিছু কর্মকাণ্ড ঘটে থাকে। গরমের সময় শরীরের ভেতর থেকে ঘাম বের করে দেয়। এতে অভ্যন্তরে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত থাকে। তবে অতিরিক্ত গরমে শরীর ঘাম বের করা বন্ধ করে দেয়। কারণ শরীররের রক্তনালী সংকুচিত হয়ে যায়। এই কারণে শরীর ঠান্ডা হতে পারেনা।


৪। হিট স্ট্রোক

অতিরিক্ত গরমে শরীরে তাপমাত্রা সহনীয় মাত্রার চেয়ে বেড়ে যায়। হঠাৎ এই পরিবর্তন শরীর নিতে পারে না। ১০৩-১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রা হলেই হিট স্ট্রোকের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। হিট স্ট্রোক অনেক গুরুতর হতে পারে। এমনকি এই কারণে মৃত্যুও হতে পারে।

দিন দিন তাপমাত্রা অনেক বেড়ে যাচ্ছে। বৃষ্টিহীন একটানা খা খা রোদের কারণে অনেক মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছে। তাই জরুরি কাজ ছাড়া সকালে ১ টা থেকে বিকাল ৩টার মধ্যে বাইরে যাওয়া এড়িয়ে চলুন।

তথ্যসূত্রঃ ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক

;

জেনে নিন ওটস খাওয়ার অপকারিতা



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শুভ সূচনায় সুন্দর দিন। সকাল সক্রিয়তার সাথে শুরু করতে পারলে পুরোদিন অনেক ভালো কাটে।  তাই সকালের খাবার হতে হয় পুষ্টিসম্পন্ন। ব্রেকফাস্টে উন্নত পুষ্টির খাবার খেলে পুরোদিন শরীরে তা সরবরাহ হয়।  সকালে অনেকেই ভারী খাবার খেতে পারেন না। তাই হালকা কিন্তু পুষ্টি সম্পন্ন খাবার খেতে পছন্দ করেন, যা পেটও ভরাবে। 

সকালের নাস্তায় অনেকে ওটস খেতে পছন্দ করেন। ওটস একটি পুষ্টিকর খাবার, উচ্চ ফাইবার এবং প্রোটিন, এবং অনেক স্বাস্থ্য সুবিধা প্রদান করে, যেমন কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানো এবং হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি। বিশ্বাস করা হয়, ওটস খুবই পুষ্টিকর একটি খাবার। তবে এইটা কতটা সত্য, তা নিয়ে এখন সন্দীহান বিশেষজ্ঞরা। মার্কিন চিকিৎসক স্টিভেন গুন্ড্রি ওটস বা ওট থেকে বানানো খাবার খাওয়ার বিরুদ্ধে সতর্ক করেছেন।  

তিনি জানান, আমেরিকায় যেসব ওটস জাতীয় খাবারে গ্লাইফোসেটের উপস্থিতি রয়েছে,এই ব্যাপারটি তিনি বেশ জোর দিয়ে বলেন। তিনি উল্লেখ করেন গ্লাইফোসেট একটি ভেষজনাশক। স্টিফেন তার বর্ণনায় একে ‘সবচেয়ে  বিষাক্ত’ বলে অভিহীত করেন।

ওটস, ওটস দুধ এবং এই জাতীয় পণ্য প্রচুর পরিমাণে অন্ত্রের মাইক্রোবায়োমকে মেরে ফেলে। এছাড়া কিছু কোম্পানির ওটসে এক প্রকার  নিষিদ্ধ হার্বিসাইড সনাক্ত করা হয়েছে। এই হারবিসাইড ক্যান্সার সহ স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি করে।

প্রতিদিন ওটস খাওয়ার ফলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা ও ব্যথা হয়। ওটস খাওয়ার কারণে পেটে গ্যাস জমিতে থাকে। যাদের বেশি পরিমাণে ফাইবার জাতীয় খাবার খাওয়ার অভ্যাস নেই তারা হঠাৎ ওটস খাওয়া শুরু করলে সমস্যা দেখা যায়। তাদের পেট ফোলা ও ফাঁপা ছাড়াও অস্বস্তির সমস্যা দেখা যায়।

ওটস খাওয়া অন্ত্রের সমস্যা বাড়িয়ে তুলতে পারে। এন্টারোকোলাইটিস, ক্রোনস ডিজিজ, ডাইভারটিকুলাইটিস ধরনের রোগে আক্রান্ত রোগীদের সংবেদনশীল খাবার খেতে হয়।  তাই এই ধরনের রোগীদের ওটস এড়াতে হবে।   

এছাড়া ওটসে বেশি পরিমাণে শ্বেতসার থাকে। তাই ডায়বেটিসের রোগীদের ওটস খাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক হতে হবে।  কারণ তাদের নিয়ন্ত্রিত কার্বোহাইড্রেট খাওয়া নিশ্চিত করতে হয়।

পাশাপাশি যারা রক্তশূণ্যতায় ভুগছেন তাদেরও ওটস এড়িয়ে চলা উচিত। অন্ত্রের ট্র্যাক্ট থেকে রক্ত প্রবাহিত হওয়ার সময় আয়রন সম্পূর্ণভাবে শোষিত হতে পারে না ওটসের কারণে। 

তথ্যসূত্রঃ দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস+এইচএসএন স্টোর

;

গরমে যেসব খাবার না খাওয়াই ভালো



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। গরমে অতিষ্ঠি হচ্ছে জনজবীন। এই গরম থেকে স্বস্তি পেতে অনেকেই নানা রকম ঠান্ডা পানীয় ও ফ্রিজ থেকে ঠান্ডা খাবার খাচ্ছেন। সাময়িকভাবে এই ঠান্ডা পানীয় ও খাবার খেয়ে শান্তি পাওয়া গেলেও ঠান্ডা এই খাবারগুলি শরীরকে আরও গরম করে দেয়। এই তালিকায় কী কী রয়েছে? চলুন জেনে নেওয়া যাক-

 

টক দই

টক দই শরীরের জন্য উপকারী হলেও গরমের সময় না খাওয়াই ভালো। তা ছাড়া গরম বলে নয়, সারা বছরই অনেকে টক দই খেতে পছন্দ করেন। তবে আয়ুর্বেদ শাস্ত্র কিন্তু অন্য কথা বলছে। অত্যধিক টক দই শরীরের ভেতর থেকে গরম করে তোলে। এতে গ্যাস ও অম্বলের সমস্যা সৃষ্টি করে। 


ফ্রিজের ঠান্ডা পানি

অনেকেই বাইরে থেকে ফিরেই ঢকঢক করে কিছুটা ঠান্ডা পানি পান করছেন। যা মোটেও শরীরের জন্য ভালো নয়। পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, ফ্রিজের ঠান্ডা পানি শরীরের জন্য একেবারেই উপকারী নয়। শরীর ঠান্ডা হচ্ছে মনে হলেও আদতে তা হয় না। বরং শরীরের উত্তাপ বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে হজমের গোলমালও শুরু হয়।

পাতিলেবু

গরমে পাতিলেবুর শরবতের জনপ্রিয়তা কম নয়। রাস্তাঘাটে তো বটেই, এমনকি বাইরে থেকে ঘেমে ফিরে অনেকেই লেবুর শরবতে চুমুক দিতে ভালবাসেন। লেবুতে ভিটামিন সি ভরপুর পরিমাণে রয়েছে। তবে ঘন ঘন লেবুর শরবত খাওয়া কিন্তু একেবারেই ঠিক নয়। লেবুতে থাকা অ্যাসিড উপাদান শরীরের উত্তাপ বাড়িয়ে দেয়। সেই সঙ্গে বদহজম, গ্যাস-অম্বলের সমস্যা তো রয়েছেই।

;

প্রচণ্ড রোদে চোখের যত্নে করণীয়



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র তাপদাহে নাজেহাল অবস্থা শহরবাসীর। ঘড়ির কাঁটায় সকাল ৮টা বাজতে না বাজতেই চড়া রোদে চোখ ঝলসে যাওয়ার অবস্থা। এই গরমে শরীরের পাশাপাশি যত্ন নিতে হবে চোখেরও। চক্ষু বিশেষজ্ঞদের মতে, অতিরিক্ত তাপ চোখের মারাত্মক ক্ষতি করে। দীর্ঘক্ষণ কড়া রোদ থাকলে চোখের ছানি হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে, এমনকি রেটিনার ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাও থাকে।

অনেক সময় ধরে রোদে থাকার পর অনেকের চোখ জ্বালাপোড়া করে, চোখ লাল হয়ে যায়, চোখের পাতা ফুলে যায়। কড়া রোদের কারণে অনেকেই ভাইরাল ও ব্যাক্টেরিয়াল কনজাংটিভাইটিসেও আক্রান্ত হন। এই সমস্যা ছাড়াও চোখের পাতার মূলে কিছু তৈল গ্রন্থি থাকে। এই গ্রন্থিতে সংক্রমণের ফলে আঞ্জনি সংক্রান্ত সমস্যাও দেখা যায়। গরমের দিনে চোখের যত্ন না নিলে অন্ধত্ব এবং ক্যানসারের ঝুঁকিও থাকে।

চলুন জেনে নেই গরমে চোখ ভাল রাখতে গেলে কোন নিয়মগুলো মেনে চলতে হবে-

১) কনট্যাক্ট লেন্স পরার সময়ে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। অবশ্যই হাত পরিষ্কার করে ধুয়ে তবেই লেন্স পরবেন। লেন্স পরিষ্কার না থাকলে সূর্যের তাপে এবং দূষণের জেরে চোখে সংক্রমণের আরও বেড়ে যায়।

রোদে সানগ্লাস ব্যবহার করুন। 

২) সানগ্লাস দিয়ে চোখ ঢাকা শুধু ফ্যাশন নয়, এই গরমে তা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বটে। তবে যে কোনও সানগ্লাস ব্যবহার করলেই চলবে না। ইউভিএ এবং ইউভিবি দুই ধরনের রশ্মির হাত থেকেই চোখকে সুরক্ষিত রাখবে এমন সানগ্লাস ব্যবহার করাই শ্রেয়।

৩) আপনার কনট্যাক্ট লেন্সটি যদি ইউভি রশ্মির হাত থেকে সুরক্ষা প্রদান করে সে ক্ষেত্রেও আপনাকে সানগ্লাস পরতে হবে। সানগ্লাস ব্যবহার করলে তবেই পুরো চোখটি কড়া রোদের হাত থেকে সুরক্ষা পাবে।

৪) গরমে শরীরে পানির ঘাটতি হয়, এতে শরীর যেমন অসুস্থ হয়ে পরতে পারে, তেমনই চোখের স্বাস্থ্যেরও ক্ষতি হয়। চোখ অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে গেলে চোখে খচখচ করা, চোখ লাল হয়ে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা দেখা য়ায়। তাই গরমে কোনও ভাবেই শরীরে অয়ানির ঘাটতি হতে দেওয়া যাবে না।

তথ্যসূত্র- আনন্দবাজার পত্রিকা

;