ঈদে চুল থাকুক সুস্থ ও সুন্দর!
কী ভীষণ ব্যস্ততা থাকে ঈদের আগ মুহূর্তে! ঘর গোছানো, রান্নার প্রস্তুতি, সবার ঈদ উপহার গোছানো আর সাথে নিজের ত্বক ও চুলের পরিচর্চা।
অদ্ভুত ধরণের আবহাওয়ার জন্য এই মাসে অনেকেই চুলের নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। কারোর চুল খুব বেশি ঝড়ছে, কারোর বা চুল খুব রুক্ষ হয়ে উঠছে। রোজার একদম শেষ সময়ে অনেকেই হয়তো পার্লারমুখী হবার মতো ফুসরত পাবেন না। সেক্ষেত্রে কাজের ফাঁকে ঘরে বসেই সেরে নিতে পারেন চুলের পরিচর্যা।
চুল পড়া কমাতে ও চুল কোমল করতে চমৎকার দুইটি ঘরোয়া পদ্ধতি শেয়ার করেছেন হীরা’স বিউটি কেয়ার-এর স্বত্বাধিকার ও বিউটিশিয়ান হীরা রাকসাম।
চুল পড়া কমাতে লিকার-মেহেদী
খুব বেশি চুল পড়ার সমস্যা দেখা দিলে পরপর দুইদিন এই উপায় অনুসরণ করলে, সমস্যা কমে যাবে অনেকখানি। এর জন্য প্রথমে খুব কড়া করে চায়ের লিকার তৈরি করতে হবে। লিকার তৈরি হয়ে গেলে চা পাতা ছেঁকে নিয়ে ঠাণ্ডা করতে হবে। এর সাথে পরিমাণমতো মেহেদী গুঁড়া মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করতে হবে।
তৈরিকৃত পেস্টটি চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত ভালোভাবে মাখিয়ে অন্তত এক ঘন্টা রেখে দিতে হবে। এরপর খুব হালকা ধাঁচের হার্বাল শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিতে হবে।
হীরা আরো জানান, কারোর বাসায় যদি মেহেদী গুঁড়া না থাকে, তবে মেহেদী পাতা বাটা ব্যবহারেও একই ফল পাওয়া যাবে।
চুল কোমল করতে ডিম-কন্ডিশনারের পেস্ট
চুলে খুব বেশি রুক্ষভাব দেখা দিলে এই পেস্ট ব্যবহারের বিকল্প নেই। এই পেস্ট ব্যবহারের পূর্বে চুলে অয়েল ম্যাসাজ করে নিলে ভালো ফল পাওয়া যাবে।
পেস্টটি তৈরিতে প্রয়োজন হবে একটি ডিমের সাদা অংশ, দুই টেবিল চামচ টক দই, একটি পাকা কলা ও পরিমাণ মতো যেকোন ভালো ব্র্যান্ডের কন্ডিশনার।
এই সকল উপকরণ একসাথে মিশিয়ে ঘন পেস্টের মতো তৈরি করতে হবে। এরপর এই পেস্টটি পুরো চুলে ভালোভাবে মাখিয়ে ঘন্টাখানেক অপেক্ষা করতে হবে। এক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে, পেস্ট যেন কোনভাবেই চুলের গোড়ায় না লাগে। কারণ এটা শুধু চুল কোমল করার ক্ষেত্রেই কার্যকরী। ঘন্টাখানেক সময় পার হয়ে গেলে হার্বাল শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিতে হবে।
একেবারেই সহজলভ্য ঘরোয়া উপাদান দিয়ে, ব্যস্ততার ভেতরেই চুলের সমস্যা অনুযায়ী ব্যবহার করতে পারবেন উপরোক্ত যেকোন পদ্ধতি। কেউ চাইলে চুল পড়া কমানোর পেস্টটি ব্যবহারের পরদিন চুল কোমল করার পেস্টটিও ব্যবহার করতে পারবেন।